বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
রাজ্য
 

করোনা আক্রান্তকে হাসপাতালে ভর্তির
টোপ দিয়ে বিজ্ঞাপন, প্রতারিত জনৈক

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আপনার কেউ কি করোনায় আক্রান্ত? সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালে বেড দরকার? আইসিইউ প্রয়োজন? বাড়িতেই কি অক্সিজেন সিলিন্ডারের ব্যবস্থা করতে হবে? মুশকিল আসানের চাবিকাঠি রয়েছে নীচের লিঙ্কে। এমনই সব প্রশ্নকে সামনে রেখে সোশ্যাল সাইটে দেওয়া বিজ্ঞাপন স্বভাবতই নজর কেড়েছে অনেকের। পোস্তার বাসিন্দা পবনকুমার শর্মার চোখও এড়ায়নি বিজ্ঞাপনটি। করোনায় আক্রান্ত বন্ধুকে বাঁচাতে হাতের কাছে এমন সুযোগ হাতছাড়া করতে চাননি তিনি। ফাঁদে পা দিতেই টাকা গায়েব পবনকুমারের। তিনি এক নন, ইতিমধ্যেই তাঁর মতো অনেকে টাকা খুইয়েছেন ওই লিঙ্কে ক্লিক করে বেড বুক করতে গিয়ে। পোস্তা থানায় এ নিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। প্রতারণা, ষড়যন্ত্র সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। তবে এখনও পর্যন্ত এই মামলায় কেউ ধরা পড়েনি।
পবনকুমার শর্মার অভিযোগ, ঘটনা ঘটেছে এপ্রিল মাসের শেষ সপ্তাহে। তাঁর এক বন্ধু করোনায় আক্রান্ত হয়ে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তখন। তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, রোগীকে আইসিইউ’তে রাখতে হবে। কিন্তু তাদের হাসপাতালে আইসিইউ’তে কোনও বেড খালি নেই। তারা রোগীকে অন্য হাসপাতালে দ্রুত স্থানান্তর করতে বলে। এই অবস্থায় অনেক ছোটাছুটি করেও কোথাও আইসিইউ বেডের ব্যবস্থা করতে পারেননি পবনবাবু। সেই সময় সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট ঘাঁটতে গিয়ে তাঁর নজরে আসে বিজ্ঞাপনটি। সঙ্গে দেওয়া রয়েছে ফোন নম্বর। সেই নম্বরে ফোন করার পর এক ব্যক্তি জানান, তিনি স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্মী। করোনা রোগীদের হাসপাতালে ভর্তির ক্ষেত্রে তিনি সাহায্য করে থাকেন। 
তবে জেনারেল বেড়ের জন্য লাগবে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। আর আইসিইউ বেড দরকার হলে গুনতে হবে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নগদে টাকা মেটাতে হবে। তাই কিছু টাকা অনলাইনে ‘অ্যাডভান্স’ হিসেবে পাঠাতে হবে। 
পাশাপাশি নিজেকে স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে পরিচয় দেওয়া সেই ব্যক্তি জানান, তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ না করলে কোথাও বেড মিলবে না। কেউ যদি তাঁকে এড়িয়ে বেড খোঁজার চেষ্টা করেন, তাহলে সেই খবর তাঁর কাছে চলে আসবে এবং সেই ভর্তি তিনি আটকে দেবেন। 
কথার জালে জড়িয়ে গিয়ে ওই শর্ত মেনে নেন পবনকুমার। তিনি সেই মতো কিছু টাকা অ্যাডভান্স হিসেবে অনলাইনে পাঠিয়ে দেন। কিন্তু পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, টাকা নিলেও কোনও হাসপাতালে ভর্তি করার কোনও এক্তিয়ারই নেই ওই ব্যক্তির। ততক্ষণে পবনকুমার বুঝে গিয়েছেন তিনি ঠগের পাল্লায় পড়েছেন। এর আগে বহু গরিব মানুষের সঙ্গে একই কায়দায় প্রতারণা করে টাকা হাতিয়েছে ওই ব্যক্তি। এরপর তিনি আর দেরি না করে পোস্তা থানায় প্রতারণার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ফোন নম্বরের সূত্র ধরে প্রতারকের হদিস পাওয়ার চেষ্টা করছে পুলিস।

5th     May,   2021
 
 
কলকাতা
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ