বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
রাজ্য
 

তথাগতর ট্যুইটে কাঠগড়ায় দিলীপ, কৈলাস
টাকা দিয়ে ‘নগরীর নটীদের’ প্রার্থী করা ছিল ভুল

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ২ মে জনতার রায়ে বাংলায় কার্যত ধুয়েমুছে সাফ হয়ে গিয়েছে বিজেপি। এবার বিদ্রোহের আঁচ দলের অন্দরেই। মঙ্গলবার তাতে কার্যত ইন্ধন জোগালেন দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথাগত রায়। কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য নেতৃত্বকে সরাসরি নিশানা করেছেন তিনি। প্রার্থী তালিকায় একগুচ্ছ চিত্রতারকা জায়গা পেয়েছেন। ব্যর্থ অভিনেত্রীদের নামসহ টিকিট বিলি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তথাগতবাবু। উল্লেখ্য, ভোটের মাস তিন আগে থেকেই চিত্রতারকাদের জালে তুলেছিল বিজেপি। তা নিয়ে দলের আদি কর্মী ও নেতাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তথাগত রায়ের ট্যুইট বার্তার পরই সেই ক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার ব্যাপক সমর্থন নজরে আসে। বহু মন্তব্য উঠে আসে।

তথাগত রায় লিখেছেন—পায়েল, শ্রাবন্তী, পার্নো ইত্যাদি ‘নগরীর নটীরা’ নির্বাচনের টাকা নিয়ে কেলি করে বেড়িয়েছেন। আর মদন মিত্রের সঙ্গে নৌকাবিলাসে গিয়ে সেলফি তুলেছেন (এবং, হেরে ভূত হয়েছেন)। তাঁদেরকে টিকিট দিয়েছিল কে? কেনই বা দিয়েছিল? দিলীপ কৈলাস সুপ্রকাশ অরবিন্দ প্রভুরা একটু আলোকপাত করবেন কি? পরে তথাগতবাবু ফের ট্যুইট করে বলেন, মদন মিত্রর সঙ্গে সেলফি তুলেছিলেন পার্নো মিত্র নয়, তনুশ্রী চক্রবর্তী। 
এই ট্যুইট বার্তার পরই রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে যায়। কারণ, ভোটপ্রচারে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং এবারের নির্বাচনে দিল্লি থেকে কোটি কোটি টাকা এসেছে বলে অভিযোগ করেছেন। সেই সূত্র ধরেই যেন তথাগত রায় নির্বাচনের টাকার খেলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বলেছেন, পরাজিতরা টাকা নিয়ে কেলি করে বেড়িয়েছেন। অর্থাৎ ভোটের দু’মাস আগে দলে যোগ দিয়েই টিকিট পাওয়ার পাশাপাশি মোটা টাকাও পেয়েছেন তাঁরা। তথাগতের ট্যুইট বার্তায় রয়েছে এমনই ইঙ্গিত। প্রসঙ্গত, তথাগতবাবু যাঁদের নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা টলিউডের পরিচিত মুখ। তাঁদের মধ্যে পায়েল সরকার বেহালা পূর্ব কেন্দ্রে হেরেছেন। বেহালা পশ্চিম ও বরানগরে হেরেছেন যথাক্রমে শ্রাবন্তী ও পার্নো। বক্তব্য জানতে তথাগতবাবুর নিশানায় থাকা তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু পার্নো এবং তনুশ্রী চক্রবর্তী তাঁরা ফোন ধরেননি, টেক্সট মেসেজেরও জবাব দেননি।
তথাগতবাবুর এই ট্যুইট এদিন ভাইরাল হয়। এদিনই নির্বাচনোত্তর হিংসার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলায় পা রেখেছেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। সূত্রের দাবি, বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতির এই মনোভাবের কথা নাড্ডার কানে তোলা হয়। পুরো বিষয়টি নিয়ে বক্তব্য জানতে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের সঙ্গেও একাধিকবার যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তাঁদেরও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তাঁদের সহকারীদের তরফে জানানো হয়, নেতারা নাড্ডার সঙ্গে বৈঠকে ব্যস্ত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজ্য বিজেপির এক শীর্ষ নেতার দাবি, তথাগতবাবু সত্যি কথাই বলেছেন। কারণ, কিছু চিত্রতারকাকে দিয়ে প্রার্থী তালিকা ভরে দেওয়া মোটেও উচিত হয়নি। যদিও ওই নেতার দাবি, গোটা ভোটপর্ব পরিচালনা করেছেন অমিত শাহ। দিলীপ ঘোষের কিছুই করার ছিল না। 
অন্যদিকে, নেতাজি সুভাষচন্দ্রের নাতি তথা দলের প্রাক্তন সহ-সভাপতি চন্দ্রকুমার বসুর অভিযোগ, স্রেফ হিন্দুত্বের রাজনীতি করতে গিয়েই বিজেপি বাংলার ক্ষমতা দখলে ব্যর্থ হল। বিপুল অর্থ নিয়ে প্রচারে ঝাঁপিয়েও কোনও লাভ হয়নি। দলের এই ভুল রণকৌশলের জন্য তিনি কার্যত নেতৃত্বকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন। গোটা বিষয়টি নিয়ে চন্দ্রবাবু মঙ্গলবার দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডাকে চিঠিও দিয়েছেন। 

5th     May,   2021
 
 
কলকাতা
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ