বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
রাজ্য
 

শেষ ৩ দফা ভোট একদিনে চাইলেন মমতা
কোভিডের প্রকোপ রুখতে সুপারিশ তৃণমূল সুপ্রিমোর

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আক্রান্তের সংখ্যা রোজ লাফিয়ে বাড়ছে। তার মধ্যেই চলছে বিধানসভা নির্বাচন। আগামী ২২, ২৬ ও ২৯ এপ্রিল রাজ্যে শেষ তিন দফার ভোটগ্রহণ। করোনা মোকাবিলায় এই তিন দিনের ভোট একসঙ্গে করাতেই পারে নির্বাচন কমিশন। তাতে তাঁর কোনও আপত্তি নেই, বৃহস্পতিবার একথা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী, ‘একদিনে’ ভোট করার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আর্জিও রেখেছেন তিনি।
আগামী কাল, শনিবার রাজ্যে পঞ্চম দফার নির্বাচন। ৪৫টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে। যাবতীয় প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সেরে ফেলেছে কমিশন। কিন্তু সংক্রমণ ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়ায় বাড়ছে আতঙ্ক। বিশেষত জনসভাগুলিতে করোনা বিধি না মেনে কয়েক হাজার মানুষের উপস্থিতি বড় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এই অবস্থায় শেষ তিন দফার নির্বাচন ‘কাটছাঁট’ হওয়া নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। নির্বাচন কমিশন প্রাথমিকভাবে সেই সম্ভাবনায় জল ঢাললেও চর্চা থামেনি। কারণ, স্বয়ং তৃণমূল সুপ্রিমো জানিয়েছেন, কমিশন মনে করলে শেষ তিন দফার ভোট এক বা দু’দিনে করাতেই পারে। শুধু তার আগে ৭-৮ দিন প্রচারের জন্য সময় পাওয়া গেলে ভালো হয়। শেষ তিন দফার ভোট একসঙ্গে করানোর প্রস্তাবকে সমর্থন জানিয়ে ট্যুইট করেন প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এস ওয়াই কুরেশিও। এই প্রেক্ষাপটে আজ, শুক্রবার করোনা পরিস্থিতি ও নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছে নির্বাচন কমিশন। দুপুর দুটোয় বালিগঞ্জের বেদি ভবনে এই বৈঠক হবে। তার ২৪ ঘণ্টা আগেই মমতার আর্জিতে স্পষ্ট ইঙ্গিত, ভোট প্রচারের থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ মানুষের স্বাস্থ্য-সুরক্ষা। 
১৭ তারিখের পরের তিন দফার ভোটগ্রহণ একদিনে করা কি সম্ভব? রাজ্যের নির্বাচনী আধিকারিকদের কাছে এদিন বিষয়টি জানতে চেয়েছিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র। উত্তরে বিশেষ পুলিস পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে জানান, এই মুহূর্তে বাংলায় ১,০৭১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে। ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম দফার নির্বাচন একদিনে করাতে গেলে ২,৪৬১ কোম্পানি বাহিনী দরকার। অর্থাৎ অতিরিক্ত ১,৪০০ কোম্পানি ছাড়া ভোটগ্রহণ সম্ভব নয়। তা না হলে বুথ দখল হয়ে যাবে। এই অবস্থায় নির্বাচন কমিশনের আজকের বৈঠক থেকে কী বেরিয়ে আসে, সেদিকেই নজর সকলের।
একটি বেসরকারি বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমে এদিন সাক্ষাৎকার দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেও তাঁর গলায় ছিল করোনা নিয়ে আশঙ্কার কথা। এক্ষেত্রে সরাসরি গেরুয়া শিবিরের দিকে আঙুল তুলে তিনি বলেন, ‘বিজেপির ভিন রাজ্যের নেতারা বাংলায় আসছেন। সঙ্গে থাকছে ২০টা কনভয়। বিজেপির হয়ে প্রচার করছে, টাকা বিতরণ করছে। করোনা পরিস্থিতিতে এত লোকের আনাগোনা বেড়েই চলেছে।’ এত ‘বহিরাগত’ মানুষের রাজ্যে আসাই করোনা বৃদ্ধির কারণ বলে ঘুরিয়ে ইঙ্গিত তৃণমূল নেত্রীর। বুঝিয়ে দিয়েছেন, বিষয়টিতে কমিশনের নজর দেওয়া প্রয়োজন।
বাংলায় প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে ভাষায় কথা বলছেন, তার তীব্র প্রতিবাদও জানিয়েছেন মমতা। পরামর্শ দিয়েছেন, বাংলার সংস্কৃতি বুঝে বিজেপি নেতাদের সংযত হওয়া উচিত। এবারের নির্বাচনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে বিভিন্ন অডিও টেপ। তা নিয়ে আক্রমণাত্মক ছিলেন মমতা। তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘আমার কাছে একটি পেন ড্রাইভ আছে। তাতেও বেশ কয়েকটি ভিডিও রয়েছে।’ কিন্তু সৌজন্য দেখিয়েই তা প্রকাশ করছেন না তিনি।
এদিন ছিল পয়লা বৈশাখ। সকালেই রাজ্যবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান তৃণমূল নেত্রী। দুপুরে বেলেঘাটার আলোছায়া সিনেমা হলের সামনে থেকে বউবাজার পর্যন্ত রোড শো করেন মমতা। ফুলবাগান মোড়, কাঁকুড়গাছি মোড়, মানিকতলা, আমহার্স্ট স্ট্রিট ঘুরে আসা রোড শোতে ছিল জনপ্লাবন। রাস্তায় দু’ধারে মানুষের মধ্যে উন্মাদনা দেখা গিয়েছে। তাঁর সঙ্গে এদিন রাজপথে হাঁটেন সমাজবাদী পার্টির সাংসদ জয়া বচ্চন। অমিতাভ-জায়ার কণ্ঠেও শোনা গিয়েছে, ‘খেলা হবে’ স্লোগান। তাঁর সাফ কথা, ‘রাজ্যে কোনও পরিবর্তন করার দরকার নেই। মমতা উন্নতি করেছেন। আরও উন্নতি করবেন। ফলে খেলা তো হবেই। আপনারা শুধু ময়দানটা পরিষ্কার রাখুন।’

16th     April,   2021
 
 
কলকাতা
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ