বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
রাজ্য
 

মেটাচ্ছেন হাজার হাজার সেলফির আব্দার
ঘরের ছেলে হয়েই বাড়ি
বাড়ি যাচ্ছেন রাজ চক্রবর্তী

অলকাভ নিয়োগী, বারাকপুর: পায়ে স্লিপার। চোখে চশমা। পরনে ঢিলেঢালা সাদা পাঞ্জাবি। সাতসকালেই বাড়ির দরজায় হাজির প্রার্থী! পরিচিত হাসিমুখ। কাউকে নমস্কার, কারও সঙ্গে করমর্দন, কারও আবার পা ছুঁয়ে প্রণাম। বাড়ির দরজায় তারকা পেয়ে সকলেরই বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস। শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলেই বাড়িয়ে দিচ্ছেন মোবাইল— একটা সেলফি প্লিজ! প্রার্থীর কোনও বিরক্তি নেই। উল্টে, নিজে সেই মোবাইল হাতে নিয়ে সেলফিও তুলে দিচ্ছেন। কারণ, ফোকাস, লাইট, ব্যাকলাইটের ব্যালান্স তাঁর হাতে মুঠোয়। বারাকপুরের এক গলি থেকে অন্য গলি তাঁর চেনা। বসন্তের দুপুরে লুকিয়ে সিনেমা দেখার গল্প এখনও নস্টালজিয়া। সেদিনের কলেজ পড়ুয়া, আজ টলিউডের পরিচিত চিত্র পরিচালক। তিনি রাজ চক্রবর্তী। এবার বারাকপুরের তৃণমূল প্রার্থী। তবে, তারকা হিসেবে নয়, ঘরের ছেলে হয়েই পায়ে হেঁটে বাড়ি বাড়ি প্রচারে যাচ্ছেন তিনি। তুলে ধরছেন মুখ্যমন্ত্রী উন্নয়ন, বাংলার ঐতিহ্য থেকে সংস্কৃতি রক্ষার বার্তা।
কলকাতা ছেড়ে রাজ চক্রবর্তী এখন বারাকপুরেই থাকছেন। ফ্ল্যাটও ভাড়া নিয়েছেন। রোজ সকাল ৮টায় বেরিয়ে পড়ছেন প্রচারে। বাইরে প্রচণ্ড গরম। তাই বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে কেবল এক গ্লাস ডাবের জল। কোনওদিন একবাটি ওটস। তারপর দুপুর পর্যন্ত প্রচার। বাড়িতে ফিরে একটা রুটি, টক ডাল, প্রচুর সব্জি ও টক দই। তারপর ফের প্রচার। রাতে বাড়িতে ফিরে আবার একটা রুটি, মাছ অথবা মাংস সঙ্গে সব্জি। প্রতিদিনের মতো সোমবার সকাল থেকে শুরু করেছিলেন বাড়ি বাড়ি প্রচার। এদিন বারাকপুর পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বড়পোল চাতাল থেকে তিনি প্রচার শুরু করেন। সঙ্গে ছিলেন বারাকপুরের বিদায়ী চেয়ারম্যান উত্তম দাস। রাজকে দেখে প্রতিটি বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন লোকজন। প্রতিটি বাড়ির দরজায় গিয়েছেন রাজ। সবাইকে বলছেন, আমার চার নম্বর বোতাম। মনে রাখবেন। সেলফির আব্দারে এক কিলোমিটার রাস্তা যেতেই লেগে গেল কয়েক ঘণ্টা। রাজের কথায়, প্রতিদিন কয়েক হাজার সেলফি’র আব্দার মেটাতে হচ্ছে। মানুষের ভালোবাসায় আমি আপ্লুত।
বয়স্ক মতুয়া ধর্মের এক মহিলা রাজকে পেয়ে জড়িয়ে ধরলেন। বললেন, মমতা আমার সন্তানের মতো। ওকে সুস্থ রেখ। কয়েকটি বাড়ির পর এক মহিলা তাঁর দুয়ারে দাঁড়িয়েই পা ধুইয়ে দিলেন রাজের। একজন তো জোর করে টেনে নিয়ে গেলেন বাড়ির ভিতরে মন্দির দেখাতে। ওল্ড ক্যালকাটা রোডে উঠতেই দেখি, এক বৃদ্ধাকে ঘিরে ভিড় করে রয়েছেন অনেকে। রাজ এগিয়ে যেতেই অবাক। ১০০ বছর বয়স। রাজকে দেখতেই বসে রয়েছেন তিনি। তাঁর কাছে গিয়ে আশীর্বাদ চাইলেন প্রার্থী। পাশের বাড়িতে একজন ছোট্ট শিশুকে কোলে তুলে আদর করলেন। আবেগতাড়িত হয়ে বললেন, আমার ছেলের বয়সও এইরকম।
প্রচারের ফাঁকে রাজ বললেন, মুখ্যমন্ত্রী মানুষের জন্য অনেক উন্নয়ন করেছেন। তিনি সবার মাথার উপর ছাতা হয়ে আছেন। আমরা বাংলায় শান্তি চাই। ভোটের দিন কোথাও যেন গুলি-বোমার শব্দ শুনতে না হয়। বাংলায় সব ধর্মের মানুষ একসঙ্গে বসবাস করেন। বিজেপিকে ভোট মানুষ কেন দেবে? ওরা তো সাত বছর কেন্দ্রে রয়েছে। ওদের একটা ভালো কাজ কেউ বলতে পারবে? ওদের ভোট দেওয়া মানে পশ্চিমবঙ্গকে আগামী ৫০ বছরের জন্য পিছিয়ে দেওয়া। মানুষ সেই ভুল করবে না। উন্নয়নের সঙ্গে বাংলা ঐতিহ্য, কৃষ্টি ও সংস্কৃতিতে বাঁচিয়ে রাখতে মানুষ আমাদেরই নির্বাচিত করবেন। 

14th     April,   2021
 
 
কলকাতা
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ