বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
কলকাতা
 

‘পর্দা লাইসেন্স রিনিউ হচ্ছে না’,
অভিযোগ শুনে অবাক ফিরহাদ
অনলাইন ব্যবস্থায় ঢুকলে বাড়তি আয়ের সম্ভাবনা

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ‘পর্দা লাইসেন্স রিনিউ করতে পারছি না। একটু ব্যবস্থা করে দিন।’ ফোনে এমন আর্জি শুনে রীতিমতো চমকালেন কলকাতার মেয়র। ‘পর্দা লাইসেন্স! সেটা আবার কী?’ সামনে বসে থাকা আধিকারিকদের জিজ্ঞেস করলেন। জানার পর এই খাতেও পুরসভার আয় বাড়াতে পর্দা লাইসেন্সের বিষয়টি অনলাইন ব্যবস্থায় ঢুকিয়ে দেওয়ার নির্দেশও দিলেন।  কী এই পর্দা লাইসেন্স? যা শুনে স্বয়ং মেয়র পর্যন্ত গেলেন চমকে। 
পুরসভার লাইসেন্স বিভাগের কর্তারা জানিয়েছেন, এটা ব্রিটিশ আমলে তৈরি একটি নিয়ম। তৎকালীন সময় রাস্তার ধারে স্থায়ী দোকানদাররা রোদ-বৃষ্টি থেকে দোকান বাঁচাতে সামনে দু’দিকে বাঁশ দিয়ে পর্দা টাঙিয়ে ছাউনি দিতেন। ফুটপাতের উপর এই ছাউনির জন্য আয়তন অনুসারে ফি নিত পুরসভা। লাইসেন্স বিভাগের কর্মীরা শহর ঘুরে ব্যবয়াসীদের থেকে পরচা কাটতেন। এই কর্মীদেরও বিশেষ নামে ডাকা হতো। তাঁদের বলা হতো ‘বেইলিফ’। স্বাধীনতার পরও সে ব্যবস্থা চালু ছিল। সেই ‘পর্দা’ বদলে এখন ‘শেড’ হয়েছে। কিন্তু করোনার পর নতুন লাইসেন্স, পুনর্নবীকরণ সহ যাবতীয় বিষয় হচ্ছে অনলাইনের মাধ্যমে। ‘পর্দা লাইসেন্স’ নিয়ে খুব একটা নাড়াচাড়া করা হয়নি। বর্তমান তথ্য অনুযায়ী, লাইসেন্স বিভাগে এক সময় ৩০০ জন কর্মী-আধিকারিক ছিলেন। অনলাইন চালু হওয়ার পর সেই সংখ্যা এখন কমে গিয়েছে। যে বেইলিফরা বিভিন্ন অঞ্চলে পর্দা লাইসেন্স ইস্যু করেন, তাঁদের সংখ্যাটা আটজনে নেমে এসেছে। পুরসভার এক আধিকারিক বলেন, গত অর্থবর্ষেও (২০২২-২৩) এই খাতে ৪৬ লক্ষ টাকা আয় হয়েছিল। কিন্তু এই নিয়মটি অনলাইনে ঢোকানো হয়নি। আবার বাজারে বাজারে ঘোরার কর্মী অপ্রতুল থাকায় এই লাইসেন্স থেকেও আর সেভাবে টাকা ওঠছে না। উত্তর এবং মধ্য কলকাতা ছাড়া সেভাবে পর্দা লাইসেন্সের পরচা ইস্যুও হয় না। কর্তৃপক্ষের হিসেব অনুযায়ী, অনলাইনে এটা ইস্যু হলে শহরজুড়ে শুধু এই লাইসেন্স থেকে অন্তত পাঁচ কোটি টাকা আয় হবে। মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘গত ২৫ বছর ধরে আমি কাউন্সিলার। বিষয়টি জানতাম না। পুরনো ব্যবস্থাটিকে সরল করে অনলাইনে ঢোকানো হবে। তাতে রাজস্ব বৃদ্ধি হবে। যাঁরা টাকা দিতে আগ্রহী তাঁরা এই লাইসেন্স করবেন।’ 

কী এই ‘পর্দা লাইসেন্স’?
ব্রিটিশ আমলের নিয়ম। তৎকালীন সময় রাস্তার ধারে বিভিন্ন স্থায়ী দোকানদাররা রোদ-বৃষ্টি থেকে দোকানঘরকে বাঁচাতে সামনের দু’দিকে বাঁশ দিয়ে পর্দা টাঙিয়ে ছাউনি দিতেন। ফুটপাতের উপর এই ছাউনির জন্য টাকা নিত পুরসভা। লাইসেন্স বিভাগের কর্মীরা শহর ঘুরে সংশ্লিষ্ট ব্যবয়াসীদের থেকে পরচা কাটতেন। স্বাধীনতার পরও এই ব্যবস্থা চালু ছিল। সেই পর্দা উঠে এখন শেড হয়েছে।

10th     June,   2023
 
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ