নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: জলের মতো টাকা খরচ করছেন পরিবারের লোকজন। হাসপাতাল, মর্গ— সর্বত্রই খোঁজা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তারপরও সোনারপুরের অচিন্ত্য মিস্ত্রি ও দীপঙ্কর মণ্ডলের কোনও খবর নেই। তাঁদের নাম রয়েছে নিখোঁজের তালিকায়। প্রশাসনের কাছেও তাঁদের ব্যাপারে কোনও খবর নেই। ফলে প্রতি ক্ষণে উদ্বেগ বাড়ছে এই দুই পরিবারের।
সোনারপুরের দীপঙ্কর মণ্ডল ও অচিন্ত্য মিস্ত্রি এবারই প্রথম ভিন রাজ্যে যাচ্ছিলেন কাজ করতে। তাঁদের প্রথম সফরে এমন বিপদ নেমে আসবে, তা কল্পনা করতে পারেননি পরিবারের লোকজন। দুর্ঘটনার পর দফায় দফায় পরিজনরা গাড়ি ভাড়া করে বালেশ্বর, কটক, মেদিনীপুর ইত্যাদি জায়গায় খুঁজেছেন তাঁদের। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। পরিবারের সদস্যরা বলেন, এখান থেকে গাড়ি ভাড়া করা মানে অনেক টাকা। এখনও পর্যন্ত এক লক্ষ টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে। একটি দল বাড়ি ফিরে আসছে। আরেকটি যাচ্ছে। কিন্তু কোনও সূত্র পাওয়া যাচ্ছে না। দুই যুবক কোথায় আছেন, কী অবস্থায় রয়েছেন কিছুই জানা নেই। 
এদিকে, কাকদ্বীপের মধুসূদনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চৌষট্টিবাড়ির বাসিন্দা গিয়াসউদ্দিন বাড়তি রোজগারের আশায় ভিন রাজ্যে যাচ্ছিলেন। টাকা জমিয়ে নিজের জমিতে বাড়ি নির্মাণের স্বপ্ন ছিল তাঁর। কিন্তু বালেশ্বরের ট্রেন দুর্ঘটনা সব আশা ওলট-পালট করে দিয়েছে। ঘটনার পর চারদিন পেরিয়ে গিয়েছে। এখনও খোঁজ মেলেনি করমণ্ডল এক্সপ্রেসের যাত্রী গিয়াসউদ্দিনের। তাঁর মতো গ্রামের আরেক যুবক সামসুল হুদাও নিখোঁজ। ইতিমধ্যেই এই গ্রাম থেকে দুই যুবক ওড়িশা গিয়েছেন। সেখানকার বিভিন্ন হাসপাতাল ও মর্গে খোঁজও করেছেন তাঁরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত খবর, নিখোঁজ দু’জনের খবর মেলেনি।