বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
কলকাতা
 

১০০ দিনের কাজ দেয় না কেন্দ্র,
দুর্ঘটনাস্থলে বসে সরব শ্রমিকরা
বাধ্য হয়েই ভিন রাজ্যে যান ভারতী, সইদুল, শাহিনরা

নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: টানা দু’বছর ধরে বন্ধ ১০০ দিনের কাজ। পেটের ভাত জোগাড় করতে নিরুপায় হয়ে যেতে হয় রাজ্যের বাইরে। কাজের খোঁজে শুক্রবারও করমণ্ডলে ভিন রাজ্যে যাচ্ছিলেন পরিযায়ী শ্রমিকদের একটি অংশ। দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। তারপর ঘটনাস্থলে কাতরাতে কাতরাতে বলেন, ‘১০০ দিনের টাকা দেয় না বলে যেতে হয় অন্য রাজ্যে।’ পাশাপাশি রেলের গাফিলতি নিয়েও গলা চড়ান।  বাড়ি ফিরে একটু সামলে ওঠার পর অনেকে জানালেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনে উঠে আর অন্য রাজ্যে যাবেন না। নিজের গ্রামেই খুঁজে নেবেন যে কোনও কাজ।
এই শ্রমিকদের একজন হলেন গোসাবার বাসিন্দা ভারতী সরদার। একশো দিনের টাকা পাওয়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর মেয়ে ও জামাইয়ের সঙ্গে চেন্নাইয়ে কাজ করতে যাচ্ছেন গত দু’বছর ধরে। শুক্রবারও রওনা দিয়েছিলেন। ট্রেন দুর্ঘটনায় বরাত জোরে বেঁচেছেন। ভারতীদেবী বলেন, ‘এখানে ১০০ দিনের কাজ বন্ধ। আগের কাজের মজুরির টাকা এখনও পাইনি। কী করে পেট চলবে? তাই বাধ্য হয়ে বাইরে যাই। সেখানে ধান কাটার কাজ করে দু’পয়সা রোজগার হয়।’ তবে এরপর ভারতীদেবী আর বাইরে যেতে চান না। বললেন, ‘এখানে কাজের ব্যবস্থা করে দিলে বাইরে যেতে কেউ চায় না। আমিও যেতে চাই না।’ ভয়াবহ দুর্ঘটনার সময়টা ক্ষণে ক্ষণে এই মহিলার চোখের সামনে ভেসে উঠছে। সেই অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে জানালেন, ‘একটা ঝাঁকুনি লাগল। ছিটকে পড়ে গেলাম। জানালার কাচ ভেঙে গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে মুখের উপর এসে পড়ল। পা সিটের তলায় 
আটকে গিয়েছিল। মনে হয়েছিল ভেঙে গিয়েছে। তার উপর চার-পাঁচজন মানুষ আমার শরীরের উপর পড়ে যায়। বেঁচে ফিরতে পারব ভাবিনি। তবে আর বাইরে যাব না। মেয়ে-জামাইকেও যেতে দেব না। প্রাণ থাকলে তবে তো কাজ? এখানে যা পাব তাই করব।’ 
ভারতীর মতোই বাসন্তীর কাঁঠালবেরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সইদুল ও শাহিন লস্করদের গলাতে একই সুর। জব কার্ড থাকার পরও গত দু’বছর ধরে এই রাজ্যে তাঁদের কাজ নেই। তাই চেন্নাইয়ে শ্রমিকের কাজ করতে যাচ্ছেন গত কয়েকবছর ধরে। সইদুল বললেন, ‘নিজের ও পরিবারের পেট ভরাতে কাজ করতে হয়। তাই একশো দিনের টাকা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর বাইরে যাই। এবার একেবারে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এলাম। আমি আর ট্রেনে চড়তে চাই না।’ শাহিন বলেন, ‘এখানে যা কাজ পাব, তাই করব। বাড়ির লোকজনও আর ট্রেনে চড়তে দিতে রাজি নয়।’ এই দু’জনের মতো ক্যানিং দু’নম্বর ব্লকের সইদুল মোড়ালও আর বাইরের রাজ্যে কাজ করতে যেতে চাইছেন না। আতঙ্কের রাত ভোলা সম্ভব নয়, তাই এখানে থেকেই যে কোনও কাজ করবেন বলে জানান তিনি।   

5th     June,   2023
 
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ