বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
কলকাতা
 

পকেটে ‘বৈধ’ নিয়োগের চিঠি, ট্রেনে উঠে জরিমানা আদায়
বালিগঞ্জে আসল চেকারের জালে ভুয়ো ‘টিটিই’

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বালিগঞ্জ স্টেশন থেকে বৃহস্পতিবার হাতেনাতে ধরা পড়ল চার ‘ভুয়ো’ টিকিট পরীক্ষক (ট্রেন টিকিট এগজামিনার)। আপাতত তাঁরা আরপিএফের হাত ঘুরে জিআরপি’র হেফাজতে। ধৃতরা হল তামিলনাড়ুর বাসিন্দা সুরেশ দীপক (৩৭), প্রশান্ত ভি (৩০), কার্তিকেয়ন ই (২৯) এবং জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দা ভূপিন্দার শর্মা (২৪)। ধৃতদের দাবি, তাঁরা আদৌ ‘ভুয়ো’ নয়। কারণ, তাঁদের কাছে রয়েছে ‘বৈধ’ নিয়োগপত্র। এসব দেখে চক্ষু চড়কগাছ রেলকর্তাদের একাংশের। ওই নিয়োগপত্র দেখে প্রাথমিকভাবে তাঁদের অনুমান, ধৃতরা প্রতারণার শিকার হয়েছেন। রেলের কোনও দুষ্টচক্র তাঁদের প্রতারিত করেছে। ভুয়ো নিয়োগপত্র দিয়ে তাঁদের মাধ্যমে টাকা তোলা হচ্ছে। কারা করছে এই কাজ? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে রেল কর্তৃপক্ষ। ধৃতরা নিয়োগের বিষয়ে অন্য কোনও গল্প ফাঁদছে কি না, সেই দিকও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন রেলকর্তারা। রেলকর্তাদের একাংশের ধারণা, রেলে চাকরির নামে প্রতারণার জাল ছড়িয়ে রয়েছে গোটা দেশেই। কেউ কেউ বলছেন, ‘সর্ষের মধ্যেই ভূত’, এই ঠগবাজিতে জড়িত রেলকর্তাদেরই একাংশ।
আরপিএফ সূত্রের খবর, এদিন বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ এই চার ‘ভুয়ো’ টিটিই’কে পাকড়াও করেন ‘বৈধ’ টিটিইরা। গত কয়েকদিন ধরেই ট্রেনে ভেন্ডার সহ বিভিন্ন কামরায় উঠে এই চারজন সন্দেহজনক কার্যকলাপ চালাচ্ছিল। ‘বৈধ’ টিটিই’দের একাংশ এ নিয়ে তক্কে তক্কে ছিলেন। এদিন সুযোগ পেতেই প্রতারকদের জালে তোলে টিটিই’রা। জিজ্ঞাসাবাদে সন্দেহ আরও বাড়ে। তখন তাঁরা তাঁদের নিয়োগপত্র দেখান। রেলকর্মীদের দাবি, কর্মস্থলে কেউ নিয়োগপত্র সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে যান নাকি? তাছাড়া ওই নিয়োগপত্রগুলি ভুয়ো। সূত্রের খবর, ধৃতরা প্রতারণার শিকার। মোটা টাকার বিনিময়ে রেলে চাকরি পেয়েছিলেন তাঁরা। প্রতারকরা তাঁদের ‘কর্মস্থলে’ ছেড়ে দিয়ে চম্পট দিয়েছে। যদিও রেলকর্তাদের অপর একটি অংশ এতটা সরলীকরণে রাজি নয়। তাঁদের বক্তব্য, প্রতারকরা গোটা বিষয়টি গুলিয়ে দিতেই এই ধরনের ফাঁদ পেতেছে। কেননা, টিটিই’দের প্রতিদিন কোন জায়গায় ডিউটি করতে হবে, তা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি ডিউটি শেষে আদায় হওয়া জরিমানার অর্থ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জমা করতে হয়। যা আদপে রেলের রাজকোষে জমা পড়ে।
স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে, ধৃতরা কোথায় ডিউটিতে জয়েন করেছিলেন? কার কাছে তাঁরা রিপোর্ট করতেন? জরিমানা বাবদ সংগৃহীত অর্থ কার পকেটে ঢুকত? এক্ষেত্রে ভারতীয় রেল তার হকের টাকা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল। সংশ্লিষ্ট মহলের দৃঢ় ধারণা, রেলের নিজস্ব কর্মী-অফিসারদের যোগসাজশ না থাকলে এই ঘটনা ঘটা অসম্ভব। প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক অতীতে ভুয়ো আইএএস, আইপিএস, ডাক্তার, শিক্ষক গ্রেপ্তারের একাধিক ঘটনা ঘটেছে। এবার ‘ভুয়ো’ টিটিই’র দাবি অনুযায়ী তাঁরাই প্রতারণার শিকার হয়ে মোটা টাকা খুইয়েছেন। এমন ঘটনা নতুন। পূর্ব রেল অবশ্য অনেক রাতে বিবৃতি দিয়ে গ্রেপ্তারের কথা স্বীকার করলেও টাকার বিনিময়ে চাকরির প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছে।

2nd     June,   2023
 
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ