বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
কলকাতা
 

প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে উঃ মাধ্যমিকে সফল বেগড়ির আদিত্য
বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ছেলের
ভবিষ্যৎ নিয়েই দুশ্চিন্তায় মা

সংবাদদাতা, উলুবেড়িয়া: ডোমজুড়ের বেগড়ির বাসিন্দা আদিত্য নস্কর জন্ম থেকেই মূক ও বধির। ছোট থেকেই হাতের আকার ইঙ্গিত ও ছবি দেখে পড়াশোনা করেছেন আদিত্য। মায়ের উৎসাহেই জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় পাশ করেছেন তিনি। তবে স্নাতকের পড়া কীভাবে হবে, তা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন দেখা দিয়েছে। কারণ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা পর্যন্ত মা’ই পড়িয়েছেন তাঁকে। এরপর কলেজের পড়া তিনি সামলাবেন কী করে, এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আদিত্য ও তাঁর পরিবার।
আদিত্য বেগড়ি বয়েজ হাইস্কুল থেকে ২২০ নম্বর পেয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করেছেন। নিজের শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে পরীক্ষায় সাফল্য পাওয়ায় খুশি সকলে। আদিত্যর মা শুভ্রা নস্কর বলেন, ছেলের যখন ছ’-সাত মাস বয়স, তখনই বুঝতে পারি ও কানে শুনতে পায় না। পরে দেখা যায়, কথাও ফোটে। বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা করিয়েও সুফল পাইনি। শুভ্রাদেবী বলেন, আর্থিক সঙ্গতি না থাকায় আদিত্যকে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ছাত্রছাত্রীদের জন্য যেসব স্কুল রয়েছে, সেখানে পড়াতে পারিনি। তাই সাধারণ স্কুলেই পড়াতে হয়েছে। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত আমি সব বিষয় পড়ালেও পরে অঙ্ক ও বিজ্ঞানের জন্য প্রাইভেট টিউটর রেখেছিলাম। যদিও আদিত্য খুব একটা বুঝতে পারত না। স্কুলের শিক্ষক ও প্রাইভেট টিউটরের কাছ থেকে সব লিখে আনার পর আমি বাড়ি এসে আকার ইঙ্গিতে ও ছবি এঁকে ওকে পড়াতাম। শুভ্রাদেবী বলেন, যেহেতু ও কানে শুনতে পায় না এবং কথা বলতে পারে না, তাই মুখস্থ করতে পারত না। সেকারণে ও সব সময় ছোট প্রশ্নের উপর জোর দিত। পরীক্ষায় বড় প্রশ্ন এলে ছেড়ে দিত। আমি নিজে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ বলে এতদিন ছেলেকে কষ্ট করে পড়াতে পেরেছি। কিন্তু কলেজের পড়া আমি কিছুই জানি না। তাই আমার পক্ষে পড়ানোও সম্ভব নয়। আর আমি না পড়ালে আদিত্য পড়বে কীভাবে, তা নিয়েই দুশ্চিন্তায় রয়েছি। 

26th     May,   2023
 
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ