বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
কলকাতা
 

খুদে ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনে
দোষী সাব্যস্ত দুই গেম টিচার
জি ডি বিড়লা কাণ্ড: সাজা ঘোষণা ৩১ মার্চ

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: জিডি বিড়লা স্কুলের চার বছরের  শিশুকন্যার উপর যৌন নির্যাতনের ঘটনায় ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দুই শিক্ষককে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত। ওই দুই গেম টিচারের  নাম অভিষেক রায় ও মহম্মদ মফিজুদ্দিন। বুধবার আলিপুরের বিশেষ পকসো আদালতের বিচারক মানসরঞ্জন সান্যাল ধৃতদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ ও পকসো আইনে দোষী সাব্যস্ত করেন। শুক্রবার সাজার মেয়াদ ঘোষণা করবে আদালত। এই মামলার বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি মাধবী ঘোষ বলেন, ধৃতদের বিরুদ্ধে ওই শিশুর উপর যৌন নির্যাতনের প্রমাণ মিলেছে। সরকারপক্ষ আদালতে সমস্ত তথ্যপ্রমাণ পেশ করেছে। আমরা ধৃতদের চরম সাজার দাবি জানিয়েছি। যদিও দুই শিক্ষকের পক্ষ থেকে এদিন বলা হয়, তারা ঘটনার সঙ্গে কোনওভাবেই জড়িত নয়। তাঁদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। এদিন রায় ঘোষণার পর শিশুকন্যার বাবা বলেন, ‘কলকাতা পুলিসের উপর আমাদের আস্থা ছিল। এই মামলায় পুলিসি তদন্তকে সাধুবাদ জানাই। দেরিতে হলেও আদালত থেকে ন্যায়বিচার পাওয়ায় ভালো লাগছে। সরকারপক্ষকেও ধন্যবাদ। অপরাধীরা যে জঘন্য কাজ করেছে, তার জন্য তাদের কড়া সাজা হওয়া উচিত। তাহলে খুশি হব’। তিনি বলেন, ‘সেদিন কালো মেঘ আমাদের বাড়িকে গ্রাস করেছিল। বিশ্বাস করুন, আজ দেখতে পাচ্ছি বাড়িটা আলোময় হয়ে উঠেছে। আমাদের মেয়ে সবটা ঠিকমতো বুঝতে পারছে না। তবে আমাদের আনন্দে ওর মধ্যে কেমন খুশি খুশি ভাব। আনন্দে জড়িয়ে ধরছে আমাদের’।
২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর ঘটনাটি ঘটেছিল যাদবপুর থানা এলাকার জিডি বিড়লা স্কুলে। ওই শিশুকন্যাকে স্কুলের বাথরুমে নিয়ে গিয়ে তার উপর যৌন নির্যাতন চালিয়েছিল স্কুলেরই দুই শিক্ষক। শিশুটি অসুস্থবোধ করলে বাড়ির লোকজন তাকে স্কুল থেকে নিতে এলে শিশুটি কান্নাকাটি জুড়ে দেয়। বিষয়টি বুঝতে পেরে শিশুটির বাবা‑মা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিস অভিযুক্ত দুই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে। তাদের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়। আদালতের নির্দেশে শিশুটির মেডিকো লিগ্যাল করানো হয়। পাশাপাশি শিশুর ছাড়াও তার বাবা‑মা বিচারকের কাছে গোপন জবানবন্দি দেন। তাকে পরীক্ষা‑নিরীক্ষার জন্য তৈরি হয় মেডিক্যাল বোর্ড। এই ঘটনায় অভিযুক্ত দুই শিক্ষককে শনাক্ত করে শিশুটি। মুখ্য সরকারি আইনজীবী শিবনাথ অধিকারী জানান, ঘটনার পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পুলিস আদালতে চার্জশিট পেশ করে। অভিযোগ গুরুতর হওয়ায় জামিনের আর্জি একাধিকবার নাকচ করে দেয় আদালত। ফলে তাদের জেল হেফাজতে রেখেই চলে বিচার। এই মামলায় আদালতে সাক্ষ্য দেন মোট ২১ জন। তারমধ্যে ছিলেন চিকিৎসক ছাড়াও ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ ও তিনজন পুলিস অফিসার। সরকারপক্ষ একাধিক নথিও আদালতে পেশ করে। এই মামলাকে ঘিরে এক সময় কলকাতায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছিল। এতবড় একটা স্কুলে নজরদারি ও নিরাপত্তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছিল। এদিকে, নানা আইনি গেরো কাটিয়ে দীর্ঘ পাঁচ বছর চার মাস বাদে এই মামলার রায় ঘোষণা হল এদিন। অভিযুক্তরা দোষী প্রমাণিত হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করে নির্যাতিতার পরিবার। 

30th     March,   2023
 
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ