বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
কলকাতা
 

ভস্মীভূত তিন গাড়ি...। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে চাঁদনি চক এলাকার ম্যাডন স্ট্রিটে। প্রথমে একটি গাড়ির বনেট থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। নিমেষে সেটি দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে। সেটি থেকে বাকি দু’টি গাড়িতেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। দমকলের তিনটি ইঞ্জিন আগুন নেভায়। যান্ত্রিক গোলযোগ ও তীব্র গরমের জন্যই এই ঘটনা বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান দমকলের। -নিজস্ব চিত্র

৯ মাসে ৯৫৪ প্রসূতির মৃত্যু রাজ্যে
অ্যানিমিয়া ও যথেচ্ছ সিজারকে দায়ী করছে স্বাস্থ্যভবন

 

বিশ্বজিৎ দাস, কলকাতা: গত এপ্রিল-ডিসেম্বর, এই ৯ মাসে পশ্চিমবঙ্গে ৯৫৪ জন প্রসূতির মৃত্যু হল। স্বাস্থ্যভবন সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক সরকারি অনুষ্ঠানে প্রসূতিদের রেফার আটকাতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।  স্পষ্ট করে বলেছেন, মায়েদের মৃত্যু যেকোনও উপায়ে রুখতে হবে। তারপরই এই মর্মান্তিক পরিসংখ্যান! স্বভাবতই উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্যকর্তারা। তাঁদের অবশ্য দাবি, এইসব প্রসূতিমৃত্যুর কারণ ‘রেফার’—খুব কম ক্ষেত্রেই। তাঁদের আরও সাফাই, বরং অনেক ছোট-মাঝারি নার্সিংহোমের গাফিলতির জন্য মায়েদের মৃত্যু বাড়ছে। প্রসব-পরবর্তী জটিলতা হলেই তারা ঝামেলা এড়াতে আশঙ্কাজনক রোগীদের সরকারি হাসপাতাল বা মেডিক্যাল কলেজে রেফার করছে। একেবারে মুমূর্ষু অবস্থায় তাঁরা আসছেন। 
এই ৯৫৪টি মৃত্যুর পিছনে চার-পাঁচটি প্রধান কারণ আছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। এক নম্বরে অ্যানিমিয়া। দু’নম্বর কারণ অত্যধিক সিজার। তিন নম্বর কারণ সেপটিসিমিয়া বা রক্তের প্রাণঘাতী সংক্রমণ। আর দু’টি বড় কারণ হল—ডায়াবেটিস এবং প্রেগন্যান্সি ইনডিউজড হাইপ্রেশার। 
স্বাস্থ্যভবন সূত্রের খবর, বর্তমানে বাংলায় মাতৃমৃত্যুর হার ১০৩। যেকোনও রাজ্য বা দেশে মাতৃমৃত্যুর কম হারকে স্বাস্থ্য ও সামাজিক ক্ষেত্রে উন্নয়নের অন্যতম সূচক ধরা হয়। বাম জমানার তুলনায় গত ১১ বছরে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন হয়েছে। সার্বিক উন্নতি হয়েছে বেশিরভাগ সূচকের। কিন্তু, এর‌ই মধ্যে দপ্তরকে বেগ দিচ্ছে তিন-চারটি সূচক। এক, টিনেজ প্রেগন্যান্সি বা কিশোরীকালেই গর্ভবতী হয়ে পড়া। দুই, অ্যানিমিয়া এবং তিন, মাতৃমৃত্যুর হার। প্রতি এক লক্ষ প্রসবে একশোর বেশি মায়ের মৃত্যু কোনওভাবেই মানা যায় না। অভ্যন্তরীণ বৈঠকে আত্মসমীক্ষায় স্বাস্থ্যকর্তারাই একথা বলছেন। 
গত ন’মাসে বাংলায় আনুমানিক ১০ লক্ষ প্রসব হয়েছে। সেদিক থেকে মাতৃমৃত্যুর হার একশোর কিছুটা নীচেই এসেছে। রবিবার এমনই দাবি করেছেন এক অন্যতম শীর্ষকর্তা। একইসঙ্গে তিনি স্বীকার করেছেন, সংখ্যা হিসেবে এটা মোটেই উপেক্ষা করার মতো নয়। ৯৫৪টি মৃত্যুর মধ্যে অন্তত ৪৮ শতাংশ ক্ষেত্রে মায়েদের সিজার হয়েছিল। সিজার পরবর্তী জটিলতা এর অন্যতম কারণ হতে পারে। সার্বিকভাবে মাত্র ১৪-১৫ শতাংশ প্রসব সিজারের মাধ্যমে হওয়া উচিত, সেটা এখানে হচ্ছে প্রায় ৩৮ শতাংশ! 
পিজি হাসপাতালের প্রসূতিবিভাগের প্রধান ডাঃ সুভাষ বিশ্বাস বলেন, আরও দু’টি কারণ আমাদের চোখে পড়েছে। একটি হল, করোনা হয়ে যাওয়া মায়েদের ক্ষেত্রে মৃত্যুহার বেশি। তাঁদের ফুসফুস ও হার্টের দুর্বলতা চোখে পড়ছে। দ্বিতীয়ত, বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসাজনিত জটিলতা। বহু ক্ষেত্রে প্রাইভেটে এসব চিকিৎসা হচ্ছে। কিন্তু কেস অত্যন্ত জটিল হলেই রেফার করা হচ্ছে সরকারি জায়গায়। তখন অবস্থা এতটাই খারাপ থাকছে, কিছুই করবার থাকছে না। 
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের প্রসূতি বিভাগের প্রধান ডাঃ অলক দে বলেন, ৩ অ্যানিমিয়া নিয়েও প্রসব করাতে আসছেন গ্রামগঞ্জের বহু মা। এঁদের বাঁচানো কার্যত অসম্ভব। পুষ্টিকর খাদ্য, সময়মতো চেক আপ, কম সন্তান—এই তিনটি প্রধান বিষয়ের উপর জোর দিতে হবে সবার আগে।  

6th     February,   2023
 
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ