বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
কলকাতা
 

একবালপুর হিংসা বা আইএসএফ তাণ্ডব
এখনও ‘হাতিয়ার’ নকশাল দমন আইন
৫১ বছরের পুরনো অস্ত্র লালবাজারের

সুজিত ভৌমিক, কলকাতা: নকশাল দমনের জন্য তৈরি হয়েছিল এই আইন। আজ থেকে ঠিক ৫১ বছর আগে। আইনের পোশাকি নাম ওয়েস্টবেঙ্গল মেইনটেন্যান্স অব পিস অ্যান্ড পাবলিক অর্ডার অ্যাক্ট, ১৯৭২। সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়ের জমানায় তৈরি এই আইনটি সম্প্রতি নতুন করে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে কলকাতা পুলিসের কাছে। একবালপুরের হিংসা বা ধর্মতলায় আইএসএফ’এর তাণ্ডবই হোক—সব ক্ষেত্রেই এখন লালবাজারের ‘হাতিয়ার’ সত্তর দশকের সেই আইন। বিষয়টিকে সাম্প্রতিক সময়ের নিরিখে নজিরবিহীন বলেই মানছেন পুলিস কর্তারা। 
গত ২১ জানুয়ারি ভাঙড়ে আইএসএফ-তৃণমূল সংঘর্ষের রেশ এসে পড়েছিল ধর্মতলা চত্বরে। পুলিসের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ার পর্বে সেদিন তাণ্ডব চালিয়েছিল আইএসএফ কর্মী-সমর্থকরা। এই ঘটনায় হেয়ার স্ট্রিট থানায় কলকাতা পুলিস ওয়েস্টবেঙ্গল মেইনটেন্যান্স অব পিস অ্যান্ড পাবলিক অর্ডার অ্যাক্টের ৮ এবং ৯ নম্বর ধারায় মামলা দায়ের করেছে। আবার, গত বছর লক্ষ্মীপুজোর রাতে একবালপুরের ডোমপাড়াতে দুই গোষ্ঠির হিংসার ঘটনায় কলকাতা পুলিস মোট পাঁচটি মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছিল। যার মধ্যে বর্তমানে একটি মামলার তদন্তভার নিয়েছে এনআইএ। বাকি চারটি মামলার তদন্ত করছে কলকাতা পুলিসের ‘সিট’। লালবাজার সূত্রের খবর, একবালপুর কাণ্ডে ৫১ বছরের পুরনো সেই আইনে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।  
বাংলায় নকশাল দমনে তৈরি হওয়া এই আইনের ৮ ও ৯  নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, একদল মানুষ ইচ্ছাকৃতভাবে সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করলে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা যাবে। কোন কোন ক্ষেত্রে তার প্রয়োগ হবে, তাও বলা ছিল আইনে। সরকার বা লোকাল বডি বা কর্পোরেশনের নিয়ন্ত্রণাধীন ভবন, যানবাহন, রেললাইন, ট্রাম লাইন, রাস্তা, ক্যানেল, বিমানবন্দর, নিকাশি, খনি, জরুরি পরিষেবা এবং কারখানার ক্ষতিসাধন করলে এই ধারা প্রয়োগ করা যাবে। এতকাল এই ধরনের হিংসাত্মক ঘটনায় ১৯৮৪ সালের সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস বিরোধী আইনের ৩ নম্বর ধারায় মামলা দায়ের করতেই অভ্যস্ত ছিল লালবাজার। একবালপুর ও ধর্মতলার ক্ষেত্রে সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস বিরোধী আইনের ৩ নম্বর ধারার পাশাপাশি নকশাল দমনে তৈরি ৫১ বছরের পুরানো আইনের ধারাও প্রয়োগ করা হয়েছে। যা কার্যত নজিরবিহীন! কারণ হিসেবে লালবাজার বলছে, সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস বিরোধী আইনের ৩ নম্বর ধারায় সাজা পাঁচ বছর। সেখানে নকশাল দমন আইনের ৮ ও ৯ নম্বর ধারা দুটিতে যথাক্রমে সাত ও ১০ বছর পর্যন্ত সাজা ও জরিমানা হতে পারে। ক্ষেত্র বিশেষে, সাজা ও জরিমানা দুটিই হতে পারে। কলকাতা পুলিসের এক কর্তার কথায়, তিন দশকের বেশি সময়ের কর্মজীবনে এই আইনে মামলা দায়ের হয়েছে এমনটা নজরে আসেনি।    

29th     January,   2023
 
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ