বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
কলকাতা
 

বাঙুরে সাত ঘণ্টার অস্ত্রোপচারে
ক্যান্সারমুক্তি টালিগঞ্জের বৃদ্ধের
জেলাতেও ‘হুইপলস অপারেশন’

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ক্যান্সারমুক্তিতে জেলা হাসপাতালেও হল ‘হুইপলস অপারেশন’! হ্যাঁ, চমকে দেওয়া ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা হাসপাতাল এমআর বাঙুরে। ভূপাল দাস নামে এক ৭২ বছরের এক বৃদ্ধের অগ্নাশয়ের ক্যান্সার নির্মূল করতে অপারেশনটি এবার হল এক জেলা হাসপাতালে। সাধারণত দেখা যায়, এমন ক্ষেত্রে বড় বড় মেডিক্যাল কলেজের সার্জারি বিভাগের শিক্ষক চিকিৎসকদের অন্যতম হাতিয়ার এই অপারেশন। 
কী বৈশিষ্ট্য এই অস্ত্রোপচারের? অন্ত্রের ক্যান্সারের চিকিৎসায় এই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে পিত্তথলি বা গলব্লাডার, কমন বাইল ডাক্ট বা পিত্তনালী, প্যাংক্রিয়াস বা অগ্নাশয়ের একাংশ এবং ক্ষুদ্রান্ত্রের গোড়ার অংশ বা ডিওডিনাম বাদ দেওয়া হয়। অবশিষ্টাংশ অত্যন্ত সতর্কতায় ধাপে ধাপে জুড়ে দেওয়া হয়। রোগী শুধু যে প্রাণে বাঁচেন, তা-ই নয়, আগের মতো স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারেন। 
১৬ নভেম্বর বাঙুরের সার্জারি বিভাগের বেড ইন চার্জ তরুণ সার্জেন ডাঃ সিদ্ধার্থ মিশ্রের অধীনে সমগ্র অস্ত্রোপচারটি হয়। ডাঃ মিশ্র বলেন, মূল চ্যালেঞ্জ ছিল বাদ দেওয়া পর্বের শেষে পুনর্গঠন। সাধারণভাবে এক বা দু’টি জায়গা জোড়ার ঘটনা পাওয়া যায়। চিকিৎসাশাস্ত্রে এই প্রতিটি জোড়ার নাম ‘অ্যানাস্টোমোসিস’। এক্ষেত্রে তিনটি অ্যানাস্টোমোসিস করা হয়েছিল। সে কারণে অপারেশনটি করতে সাত ঘণ্টা পেরিয়ে যায়। 
বাঙুর সূত্রের খবর, ৯ নভেম্বর বৃদ্ধকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১৬ নভেম্বর অস্ত্রোপচার হয়। তারপর তিনদিন আইসিইউতে রেখে তাঁকে ওয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে। আজ, রবিবার ছুটি হতে পারে। বাদ দেওয়া অংশের নমুনা বায়োপ্সির জন্য পাঠালে অ্যাডিনো কার্সিনোমা নামক অত্যন্ত বিপজ্জনক ক্যান্সার মিলেছে। তবে রোগীর শরীরে যে আর কোনও ক্যান্সার নেই, তা জানা গিয়েছে পরীক্ষা-নিরীক্ষায়।  
বিশিষ্ট সার্জেন ডাঃ মাখনলাল সাহা বলেন, জেলাস্তরের হাসপাতালে যে এই অস্ত্রোপচার হচ্ছে, এটাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম সারির বেসরকারি হাসপাতালে অপারেশনটি করতে ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকা বেরিয়ে যেত। মাঝারি মানের কর্পোরেট হাসপাতালও কমপক্ষে তিন-চার লক্ষ টাকা খরচ হতো।
ভূপালবাবুর ছেলে সন্দীপ দাস বলেন, বাবার একদিন প্রচণ্ড পেটব্যথা হয়। আমরা বাঙুরের ইমার্জেন্সিতে নিয়ে যাই। সেখানে চিকিৎসার পর আউটডোরে আসতে বলা হয়। সেখানেই অপারেশনের লাভ-ক্ষতি সব বোঝানো হয়েছিল। চিকিৎসকদের প্রতি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ আমরা। সিংহভাগ খরচই হাসপাতাল দিয়েছে। দু-একটি জিনিস সরবরাহ না থাকায় কিনতে হয়েছে। সেগুলিরও নিয়মিত সরবরাহ হলে গরিব মানুষ উপকৃত হয়- বললেন সন্দীপ। 

27th     November,   2022
 
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ