বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
কলকাতা
 

দশমীর রাতে শিয়ালদহে বাসের
ধাক্কায় মৃত একই পরিবারের ৩

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: মাত্র বাইশ দিন আগে বাবা হয়েছিলেন। পুজোর আগে পরিবারে নতুন সদস্যের আগমনে খুশির আমেজ ছিল সবার মনে। কিন্তু সেই সুখ মিলিয়ে গেল দশমীর রাতে। এক লহমায় বদলে গেল গোটা চিত্রটা। বাসের চালকের দায়িত্বজ্ঞানহীনতা ও বেপরোয়া গতিই কেড়ে নিল সদ্যোজাতের বাবা রাহুল প্রসাদের (৩০) প্রাণ। বুধবার রাত দেড়টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে শিয়ালদহ উড়ালপুলে। তিনি একা নন, বাসের চাকায় পিষে গিয়েছে তাঁর শ্যালিকা অদিতি গুপ্তা (১৮) ও মামাতো বোন নন্দিতা প্রসাদ (১৩)। আহত আরও তিনজন। তাঁরা সকলেই রাহুলের আত্মীয়। দুর্ঘটনার পর ৪৬ নম্বর রুটের সেই বেসরকারি বাসের কন্ডাক্টার ও খালাসিকে ধরা গেলেও চালক বেপাত্তা। তাদের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুন, খুনের চেষ্টা সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে লালবাজারের ফেটাল স্কোয়াড।
খিদিরপুরের কার্ল মার্কস সরণির বাসিন্দা রাহুল। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে বিয়ে, গত সেপ্টেম্বরে মাসে পুত্রসন্তান হয় তাঁর। পুজো উপলক্ষে বাড়ি ভর্তি লোকজন। শ্যালক, শ্যালিকা, মামাতো বোন আরও অনেকে এসেছিলেন। তাঁরা ঠিক করেন, দশমীর রাতে ঠাকুর দেখতে যাবেন। সদ্য সন্তানের জন্ম দেওয়ায় স্ত্রীকে ঘরে রেখেই রাহুলরা ছ’জন ঠাকুর দেখতে যান। দক্ষিণ কলকাতার কয়েকটি ঠাকুর দেখে তাঁরা যাচ্ছিলেন সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে। শিয়ালদহ উড়ালপুলের একধার দিয়ে হাঁটছিলেন তাঁরা। সেই সময় আচমকা ৪৬ নম্বর রুটের বেসরকারি বাসটি বেপরোয়া গতিতে এসে রেলিংয়ে ধাক্কা মেরে পিষে দেন রাহুল, নন্দিতা ও অদিতিকে। বাসের ধাক্কায় আহত হন বাকি তিনজন। বিপদ বুঝে চালক বাস ছেড়ে পালায়। পুলিস ছ’জনকেই হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে অদিতিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। গভীর রাতে মৃত্যু হয় রাহুল ও নন্দিতার। বাকি তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। খবর পাওয়া মাত্র রাহুলের পাড়ায় শোকের পরিবেশ নেমে এসেছে। স্বামীর মৃত্যুর খবর তাঁর স্ত্রীকে জানানো হয়নি। কীভাবে তাঁকে এই খবর জানানো হবে, ভেবে উঠতে পারছেন না এলাকার বাসিন্দারা।
খবর পেয়ে হাসপাতালে আসেন অদিতির বাবা ও রাহুলের পরিবারের সদস্যরা। অদিতির বাবার অভিযোগ, অন্য একটি বাসের সঙ্গে রেষারেষি করছিল ঘাতক বাসটি। যে কারণে এই দুর্ঘটনা। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। বাসের নম্বরের ভিত্তিতে গাড়ির মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন তদন্তকারীরা। চালকের নাম ও ঠিকানা হাতে পেয়েছে পুলিস। বৃহস্পতিবার সকালে তার বাড়িতে পুলিস গেলেও তাকে পাওয়া যায়নি। মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে তাকে খোঁজার চেষ্টা চলছে। বৃহস্পতিবার ধৃত কন্ডাক্টার ও খালাসিকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দেন। বাসের দুই যাত্রীর গোপন জবানবন্দির আবেদনও মঞ্জুর করেছেন বিচারক।
সেই ঘাতক বাস। (ইনসেটে) রাহুল প্রসাদ ও অদিতি গুপ্তা।

7th     October,   2022
 
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ