বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
কলকাতা
 

বৃষ্টি বেসুরে বাজলেও ষষ্ঠীতেই
রেকর্ড ভিড় শহরতলির পুজোয়

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: দু’বছর পরে নিষেধাজ্ঞাহীন পুজো। এবার পুজোর আনন্দ বাঁধনহারা। আর তাই ষষ্ঠীতেই জনজোয়ার নেমে পড়েছিল শহরতলির রাজপথ থেকে গলিতে। হাওড়া থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি থেকে উত্তর ২৪ পরগনা যেন বাঁধা পড়েছিল একই সুরে। কোথাও কোথাও আবহাওয়া কিছুটা অসুরের ভূমিকা পালন করলেও টই-টইয়ের সুরে বিশেষ বাধ সাধতে পারেনি। কোথাও কোথাও ভিড় জমতে শুরু করেছিল দুপুর বেলাতেই। সময় যত গড়িয়েছে পথঘাট ঢেকেছে কালো মাথার অনর্গল স্রোতে।
ষষ্ঠীতেই চোখে পড়ার মতো ভিড় ছিল হাওড়া শহরের বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে। শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণের বিগ বাজেটের পুজোয় ভিড় জমতে শুরু করেছিল দুপুর থেকেই। রাতে তা জনসমুদ্রে পরিণত হয়। উত্তর হাওড়ার জটাধারী পার্ক, ছাত্র ব্যায়াম সমিতি থেকে মধ্য হাওড়ার পাগলা ফৌজ, কামারডাঙা শীতলাতলা বারোয়ারি, ইছাপুর শিবাজি সঙ্ঘ, ব্যাটরা নবীন সঙ্ঘের মতো পুজাগুলিতে উপচে পড়ে ভিড়।  শুধুমাত্র হাওড়াবাসী নয়, হুগলি কলকাতা সহ সংলগ্ন এলাকাগুলি থেকেও এসেছে মানুষ।
তবে শনিবার বিকেলে প্রবল বৃষ্টি হয় উলুবেড়িয়ায়, উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতে। সন্ধ্যার পর তা থেমেও যায়। তখন ফের পথে নামে মানুষের ঢল। কিন্তু আচকমা আবার শুরু হয় প্রবল ঝড়, সঙ্গে বৃষ্টি। এতে বাউড়িয়ার একাধিক মণ্ডপে ভালোরকম ক্ষতি হয়েছে।  
ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় কলকাতা শহরতলির বরানগর থেকে বারাকপুর জোয়ারের  মতো ওঠাপড়া করেছে মানুষের উপস্থিতি। বরানগরের ন’পাড়া দাদাভাই সঙ্ঘ, পাশের লোল্যান্ড সর্বজনীনে ব্যাপক ভিড় দেখা গিয়েছে। সোদপুরের  উদয়ন সঙ্ঘের থিম বিলুপ্ত যাত্রাপালা। সেই মন্ডপ দেখতে লম্বা লাইন। লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ছোটবেলায় যাত্রা দেখতাম। সেই স্মৃতি আবার ঝালিয়ে নিতে পেরেছি। বারাকপুরের পূজা মণ্ডপগুলিতেও রীতিমতো মেলা বসে গিয়েছিল। সন্ধ্যা  হতেই  বারুইপুরের পদ্মপুকুর থেকে ফুলতলা, সুবুদ্ধিপুর প্রগতি সংঘ, বিশ্ববাংলা পুরস্কারজয়ী ভাই ভাই সঙ্ঘ, শাসন বালক সঙ্ঘে  উপচে পড়েছিল ভিড়। একই ছবি দেখা গেল সোনারপুর, নরেন্দ্রপুর, গড়িয়ার বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে। সেলফি এবং ছবি তোলার হিড়িক চোখে পড়েছে। সকাল থেকেই ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন অনেকে। বিকেলের পর সেই ঝোঁক বৃদ্ধি পায়। রাজা দাস নামে গড়িয়ার এক বাসিন্দা বলেন, বৃষ্টি  ভাসালে ঠাকুর দেখা হবে না। তাই এদিনই সকাল থেকে বেরিয়ে পড়েছি। গঙ্গাপাড়ের হুগলিতে সকাল থেকেই একাংশের বাসিন্দাকে পুজো মণ্ডপ ঘুরতে দেখা গিয়েছে। কেউ কেউ ট্রেনে চেপে চলে গিয়েছেন পাশের শহরগুলিতে। মূলত তরুণ, তরুণীদের এই ভিড় দুপুরের পড়ে আরও বেড়েছিল। ষষ্ঠীর দিনই জনজোয়ার দেখে খুশি উত্তরপাড়া থেকে শ্রীরামপুর, চুঁচুড়া থেকে পাণ্ডুয়া, বলাগড়ের পুজো উদ্যোক্তারা। চুঁচুড়ার পুজো উদ্যোক্তা ইন্দ্রজিৎ দত্ত বলেন, ষষ্ঠীতে এমন ভিড় অনেক বছর দেখিনি।

2nd     October,   2022
 
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ