বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
কলকাতা
 

বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের অভাবে ধুঁকছে
বরানগর স্টেট জেনারেল হাসপাতাল

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকের অভাবে ধুঁকছে বরানগর স্টেট জেনারেল হাসপাতাল। এই হাসপাতালে বর্তমানে একজনও শল্য চিকিৎসক নেই। ফলে, অপারেশন শিকেয়। অপারেশনের রোগীদের হয় আর জি কর কিংবা অন্য হাসপাতালে ছুটতে হচ্ছে। নির্দ্ধিধায় রেফার করে দিচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আসলে এই স্টেট জেনারেল হাসপাতালে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো থাকলেও একে কার্যত পঙ্গু করে রেখে দেওয়ায় সাধারণ মানুষের ক্ষোভ রয়েছে। হাসপাতালের এক কর্মী বলেন, ডাক্তার যে নেই, তা সংশ্লিষ্ট জায়গায় একাধিকবার বলা হয়েছে। যে ক’জন চিকিত্সক রয়েছেন, তাঁদের দিয়েই পরিষেবা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকলে তা মানুষেরই কাজে লাগত।
এই হাসপাতালে ১০০টি বেড রয়েছে। প্রতিদিনই কয়েকশো রোগীর ভিড় হয় আউটডোরে। বরানগর পুর এলাকায় বড় হাসপাতাল বলতে এটাই। ফলে রোগীর চাপ রয়েছে। কিন্তু, প্রয়োজনের তুলনায় বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকের সংখ্যা অনেক কম। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এখানে একজন অ্যানাস্থেটিকস রয়েছেন। যেখানে কমপক্ষে চারজন প্রয়োজন। কার্ডিওলজিস্ট কেউ নেই। হার্টের রোগীদের দেখতে হয় জেনারেল ফিজিশিয়ানদেরই। একইভাবে নেই সার্জেনও। অর্থোপেডিক ডাক্তার ছিলেন একজন, তাঁকেও বদলি করা হয়েছে। সেই স্থান এখনও পূরণ হয়নি। তাই, হাড়ের সমস্যা বা দুর্ঘটনায় কেউ আহত হয়ে হাসপাতালে এলে তাঁকে রেফার করা ছাড়া দ্বিতীয় কোনও উপায় নেই।
তবে ইএনটি, আই, ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞরা এই হাসপাতালে রয়েছেন। রয়েছেন কয়েকজন জেনারেল ফিজিশিয়ান ও মেডিসিনের ডাক্তার। তাঁরাই এই হাসপাতালের পরিষেবা ধরে রেখেছেন। কিন্তু, তাঁরা নিয়ম করে আউটডোর করতে পারেন না। ল্যাবরেটরিতে টেকনিশিয়ান বলতে রয়েছেন একজন। ফলে তাঁর পক্ষে সব পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হয় না।
জানা গিয়েছে, হাসপাতালে দু’টি এক্স-রে মেশিন ছিল। তার মধ্যে একটি অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যেটা পড়ে রয়েছে, তার উপর চাপ বাড়ছে। সেটা একবার বিগড়ে গেলে এক্স-রে লাটে উঠবে। ইউএসজি মেশিন আছে বটে, তবে সেটি মাঝেমধ্যে খারাপ হয়ে যায়। সেই সময় বাইরে থেকেই পরীক্ষা করাতে হয় রোগীদের।
সম্প্রতি হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতি বৈঠকে বসে সমস্যাগুলিকে চিহ্নিত করেছে। সমিতির সদস্য তথা বরানগর পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ অঞ্জন পাল বলেন, বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকের অভাব রয়েছে। এ নিয়ে আমরা স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম এবং স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে জানাব। নতুন ইউএসজি মেশিনের প্রয়োজন। বিষয়টি সাংসদ সৌগত রায়কে জানানো হয়েছিল। তিনি নতুন মেশিন কেনার জন্য ১৮ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ করেছেন। নতুন মেশিন এলে এই সমস্যা অনেকটাই মিটবে। পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দিলীপনারায়ণ বসু বলেন, ডাক্তার না থাকার কথা জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিককে জানানো হয়েছে। একই কথা বলেন পুরসভার চেয়ারপার্সন অপর্ণা মৌলিকও। - ফাইল চিত্র

12th     August,   2022
 
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ