বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
কলকাতা
 

আইন থাকলেও
প্রয়োগ কোথায়!
মশাবাহিত রোগ রুখতে গিয়ে উঠছে প্রশ্ন

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কালীঘাট রোডে মুক্তদল ক্লাবের দিকে মুখ করে দাঁড়ালে ঠিক পাশেই একটি বাড়ি নজরে পড়বে। রাস্তা থেকেই বোঝা যায়, এ বাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ ঠিকমতো হয় না। পিছনের দিকে নীচের তলার ছাদ ভাঙা, দেওয়ালে গজিয়ে উঠেছে আগাছা। যত রাজ্যের আবর্জনা জমে কার্যত ‘ভাগাড়’ হয়ে উঠেছে জায়গাটি। অভিযোগ, এই বাড়ির ভিতরে নানা জায়গায় জল জমে মশার দেদার বংশবৃদ্ধি চলছে। বাড়ির মালিক প্রয়াত। এদিকে, ব্যাক্তিগত সম্পত্তি হওয়ায় তালাবন্ধ ঘরে সহজে ঢুকতে পারছে না কলকাতা পুরসভা। ফলে, দিনে দিনে কার্যত ভ্যাটে পরিণত হয়েছে জায়গাটি। কয়েকদিন আগেই ৮৩ নম্বর ওয়ার্ডের মহিম হালদার স্ট্রিটে এমনই তিন-চারটি তালাবন্ধ বাড়ির খোঁজ মিলেছে। সেক্ষেত্রেও তালা ভেঙে মশার লার্ভা নিধনে জীবাণুনাশক ছড়াতে পারেনি পুরসভা। 
এমন পরিস্থিতি একটি বা দু’টি ক্ষেত্রে নয়। শহরের প্রায় সর্বত্র, বিশেষ করে পুরনো কলকাতার বিভিন্ন অংশে আকছার রয়েছে এই সমস্যা। বাগবাজার, শোভাবাজার, গিরিশ পার্ক, শ্যামবাজার, বড়বাজার, তপসিয়া, ট্যাংরা, ভবানীপুর সহ নানা এলাকায় এমন অনেক বাড়ি রয়েছে। বাড়িগুলির মধ্যে মশার বংশবৃদ্ধি চললেও যে কোনও সময় ঢুকে ব্যবস্থা নিতে পারেন না পুরসভার ভেক্টর কন্ট্রোল বিভাগের কর্মীরা। যদিও পুরসভার আইনেই এই সংস্থান রয়েছে। কিছু নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে বন্ধ বাড়ির তালা ভেঙে পুরকর্মীরা জনস্বার্থে কাজ করতেই পারেন। কিন্তু বাস্তব হল, আইনি সুযোগ থাকলেও এতদিন তা খুব একটা ব্যবহার বা প্রয়োগ করাই হয়নি। ডেঙ্গুর সাম্প্রতিক বাড়বাড়ন্তের প্রেক্ষিতে তাই প্রশ্ন উঠছে, হাতে ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও কেন পুরসভা তা প্রয়োগ করছে না? এর ফলে তো শেষপর্যন্ত শহরবাসীকেই ভুগতে হচ্ছে! কিছু ক্ষেত্রে পুরনো বাড়ি নিয়ে শরিকি সমস্যা থাকায় পুরকর্মীদের সাফাইয়ে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ফলে মশাবাহিত রোগ দমনে সারা বছর নানা ‘হম্বিতম্বি’ চললেও কোথাও না কোথাও ‘ফাঁক’ থেকেই যায়। 
এসব ক্ষেত্রে পুরসভার আইন কী বলছে? প্রথমে বাড়ির মালিককে নোটিস পাঠানো হয়। কোনও সাড়া না পেলে আইনি পদক্ষেপ করা হয়। কলকাতা পুরসভার মুখ্য পতঙ্গবিদ ডঃ দেবাশিস বিশ্বাস বলেন, পুর-আইনের ৫৪৬ নম্বর ধারায় আমরা বাড়ির মালিকের অনুমতি ছাড়াই পুলিসকে সঙ্গে নিয়ে তালা ভেঙে বাড়িতে ঢুকতে পারি। সেক্ষেত্রে স্থানীয় থানাকে আগে থেকে জানাতে হয়। ওই পাড়ায় অন্তত দু’জন পরিচিত বা বিশিষ্ট মানুষেকে প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে সঙ্গে রাখতে হয়। পুরো প্রক্রিয়ায় সময় লেগে যায় অনেকটাই। এক স্বাস্থ্যকর্তা বলেন, এই আইনের সাহায্য নিয়ে কোনও কাজই হয় না বললে ভুল হবে। তবে, প্রক্রিয়াটি সময়সাপেক্ষ। তবে এবার আরও কড়া হাতে এই আইনের প্রয়োগ করা হবে। যেভাবেই হোক ঠেকাতে হবে মশাবাহিত রোগের সংক্রমণ।

8th     August,   2022
 
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ