বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
কলকাতা
 

কার্যত দৌড় করিয়ে ৫
রাউন্ড গুলি ষড়ঙ্গীকে
মিলল ফুটেজ, টার্গেট ছিল একাধিক সহকর্মী

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: প্রাণভয়ে দৌড়চ্ছেন এএসআই আর কে ষড়ঙ্গী। তাঁর সঙ্গেই রুদ্ধশ্বাসে দৌড়চ্ছেন আরও তিন সিআইএসএফ জওয়ান। পিছনে উদ্যত একে-৪৭ হাতে তাঁদের তাড়া করছেন আর্মারি (অস্ত্রাগার) ইনচার্জ অক্ষয়কুমার মিশ্র। তাঁদের লক্ষ্য করে পরপর ছ’রাউন্ড গুলি চালিয়ে দিলেন অক্ষয়। তাও সবাই কোনওরকমে রক্ষা পেলেন। কারণ, কেউ গাছের আড়ালে লুকিয়ে পড়েন। কেউ ঝাঁপ দেন ক্যাম্পাসের পুকুরে। এরপরই এলোপাথাড়ি গুলিবৃষ্টি শুরু করেন অক্ষয়। গুলি লেগে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ষড়ঙ্গী। গুলিবিদ্ধ হন সিআইএসএফের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ডান্ট সুবীর ঘোষও। মোট পাঁচটি গুলি লাগে ষড়ঙ্গীর শরীরে। পুরো ঘটনা সিআইএসএফ ক্যাম্পাসের আর্মারির বাইরে থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজে ধরা রয়েছে। সেই ফুটেজ  সংগ্রহ করেছে পুলিস। 
শনিবার ভরসন্ধ্যায় একেবারে নিখুঁত পরিকল্পনায় ‘অপারেশন মোজো’ সফল করে কলকাতা পুলিস। নিরস্ত্র অবস্থায় হামলাকারীকে ঠান্ডা মাথায় আটক 
করা হয়। তাঁকে ঘটনাস্থল থেকে নিয়ে যাওয়া হয় নিউ মার্কেট থানায়। সেখানে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। রবিবার মেডিক্যাল পরীক্ষার পর তাঁকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়। ১৪ দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। মৃত এএসআই’র দেহ এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ময়নাতদন্তের জন্য। জানা যায়, পাঁচটি গুলির 
মধ্যে তিনটি ষড়ঙ্গীর শরীর ফুঁড়ে বেরিয়ে গিয়েছে। বাকি দু’টি আটকে যায় বাঁ দিকের কাঁধ এবং 
কপালে। এদিন বিকেলে তাঁর দেহ কফিনবন্দি করে নিয়ে যাওয়া হয় কুঁদঘাটের বাড়িতে। 
লালবাজার সূত্রে খবর, সিআইএসএফ বিল্ডিংয়ে আর্মারির বাইরে দু’টি সিসি ক্যামেরা রয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, শনিবার ছ’টা নাগাদ সিআইএসএফ জওয়ানদের রোল-কল করা হয়। আগের ‘শিফট’ শেষ হওয়ার পর জওয়ানদের থেকে আগ্নেয়াস্ত্র আর্মারিতে তুলে রাখেন অক্ষয়। তিনি ওই অস্ত্রাগারের ইনচার্জ ছিলেন। সব অস্ত্র তুলে রেখে আর্মারির দরজা তালাবন্ধ করে চাবি পকেটে ঢোকান তিনি। তারপরই আচমকা রুদ্রমূর্তি ধরেন। সেন্ট্রিতে কর্তব্যরত জওয়ানের হাত থেকে ছিনিয়ে নেন একে-৪৭ রাইফেল। বারাকের দিকে দৌড়তে শুরু করেন। ক্যাম্পাসের ভিতর একটি পুকুরের ধারে গল্প করছিলেন আর কে ষড়ঙ্গী এবং সুবীর ঘোষ সহ আরও দু’জন। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গিয়েছে, তাঁদের লক্ষ্য করে একের পর এক গুলি ছুড়ছেন অক্ষয়। গুলিতে লুটিয়ে পড়েন ষড়ঙ্গী। গুরুতর জখম হন সুবীর ঘোষ। মোট ১৫ রাউন্ড গুলি চালান তিনি। শেষমেশ ৪ নম্বর বারাকে ঢুকে ভিতর থেকে দরজা আটকে দেন তিনি। 
অক্ষয়ের মূল টার্গেট কারা ছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয় বলেই জানাচ্ছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের দাবি, প্রাথমিক জেরায় সিআইএসএফের একাধিক প্রশাসনিক আধিকারিকের নাম উঠে আসছে। কিন্তু কেন তাঁদের টার্গেট করা হল? পুলিসি জেরায় অভিযুক্ত বলেন, তাঁকে সহকর্মীরা মানসিকভাবে হেনস্তা করত। শনিবার সন্ধ্যায়ও এমন কোনও ঘটনা ঘটেছিল কি না, তার খোঁজ নিচ্ছেন গোয়েন্দারা। পুলিস সূত্রে খবর, তদন্তের স্বার্থে অক্ষয়কে ওই জায়গায় নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করানো হতে পারে।

8th     August,   2022
 
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ