বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
কলকাতা
 

ধৃতের বয়ান বার বার বদলে সন্দেহ বাড়ছে পুলিসের
মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে সন্দেহভাজন
প্রবেশের ঘটনার তদন্তে এবার সিট 

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে বহিরাগত ব্যক্তি ঢুকে পড়ার ঘটনায় বিশেষ তদন্ত দল বা সিট তৈরি করল লালবাজার। আট সদস্যের এই টিমকে সুপারভাইজ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ দমন) মুরলিধর শর্মাকে। টিমে থাকছেন ডিসি ডিডি স্পেশাল ও ডিসি এসটিএফ। কীভাবে ওই অভিযুক্ত ঢুকল এবং কী ছিল তার উদ্দেশ্য, পুরো বিষয়টি সিট তদন্ত করে দেখবে। ধৃত হাফিজুলের পুরনো কোনও অপরাধের রেকর্ড রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সূত্রের খবর, রাজ্যের কোথাও সে অপরাধ করেছে কি না জানতে সিআইডি টিমও তাকে জেরা করেছে।
জেরায় হাফিজুল তদন্তকারীদের কাছে দাবি করেছে, স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করে সে কলকাতায় চলে আসে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে সমস্ত ঘটনা বলবে, এটাই ছিল তার উদ্দেশ্য। তিন-চারদিন আগে সে কলকাতায় আসে। গোপালনগর এলাকার একটি ফুটপাতে ছিল। সেখানে থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে প্রবেশ-প্রস্থানের রাস্তা সে ভালো করে ‘রেইকি’ করে। ধৃতের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী কোন রাস্তা দিয়ে বাড়ি থেকে বেরন তারও খোঁজ নেয় সে। এরপর শনিবার সন্ধ্যা হতেই খালপাড় ধরে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির পিছনের কচুবনে পৌঁছয়। মাঝরাতে গোটা এলাকা নিস্তব্ধ হয়ে পড়ার পরই সে পাঁচিল টপকে ভিতরে ঢোকে। ঘাপটি মেরে ওই বাড়িতেই বসেছিল। মুখ্যমন্ত্রীর বেরনোর জন্য অপেক্ষা করছিল সে। তার থেকেই তদন্তকারীদের অনুমান, বড় ধরনের কিছু ঘটানোই হাফিজুলের উদ্দেশ্য ছিল। তার বার বার বয়ান বদল পুলিসের সন্দেহ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। 
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, হাফিজুল হাওড়ার একটি কোম্পানিতে গাড়ি চালাত। কিছুদিন হল, সেখানে সে অনিয়মিত হয়ে পড়েছিল। তার আগেও বহু জায়গায় গাড়ি চালিয়েছে। তাকে চাকরি থেকে ছাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল, নাকি সে নিজেই ছেড়ে দিয়েছিল, এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলির সঙ্গে কথা বলছেন অফিসাররা। জানার চেষ্টা হচ্ছে, তার অতীত রেকর্ডও।  এদিকে, নিরাপত্তায় এত বড় গলদ সামনে আসার পরেও সেদিন মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে ডিউটিরত পুলিস কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না, খোলসা করেনি লালবাজার। তিনদিন কেটে গেলেও সেখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিস কর্মীদের কার কী ভূমিকা ছিল, তাও নির্দিষ্ট করা যায়নি কেন, প্রশ্ন উঠেছে। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাদ করা হলে যুগ্ম কমিশনার সদর শুভঙ্কর সিনহা সরকার কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
এদিকে, এবার থেকে ডিউটি চলাকালীন স্মার্ট ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না নবান্নে কর্মরত কনস্টেবল থেকে শুরু করে সাদা পোশাকের পুলিস কর্মীরা। মঙ্গলবার থেকে এই নিয়ম চালু হয়েছে। একটি নির্দেশিকাও জারি করেছেন ডিসি রিজার্ভ ফোর্স। সূত্রের খবর, ডিউটিতে যোগ দেওয়ার সময়ই তাঁদের স্মার্ট ফোন জমা দিয়ে দিতে হবে। অথবা ফোন বন্ধ রাখতে হবে। মূলত, নবান্নের বিভিন্ন তলায় যেসব কনস্টেবল নিযুক্ত রয়েছেন মঙ্গলবার তাঁদের স্মার্ট ফোন জমা দিয়েই কাজে যোগ দিতে দেখা গেল। তবে ছোট বেসিক ফোন ব্যবহার করায় কোনও বাধা নেই। 
রাজ্যের এক আধিকারিক জানান, স্মার্ট ফোন থাকলে কর্মরত অবস্থায় অনেকেই তা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। তাতে কর্তব্যে মনোযোগের অভাব ঘটতে পারে। তাই এই সিদ্ধান্ত। প্রসঙ্গত, রাজীব কুমার কলকাতা পুলিসের কমিশনার থাকাকালীনও এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সুরক্ষায় চারদিকের পাঁচিল কিছুটা উচুঁ করার এবং দু’টি ওয়াচটাওয়ার তৈরি করারও প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে।

6th     July,   2022
 
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ