বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
কলকাতা
 

প্লাস্টিক থেকে জ্বালানি তেল
তাক লাগিয়েছে সিন্দ্রাণী গ্রাম পঞ্চায়েতের
উদ্যোগ, অপেক্ষা অনুমোদনের

সংবাদদাতা, বনগাঁ: প্লাস্টিক দূষণ ছড়ায়। তবে নাগরিক প্রয়োজনীয়তার কারণে প্লাস্টিক ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব নয়। বাতিল প্লাস্টিককে অন্যভাবে ব্যবহার করতে পরিকল্পনা চলতেই থাকে প্রশাসনিক স্তরে। এবার উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা এলাকার সিন্দ্রাণী পঞ্চায়েত বাতিল প্লাস্টিক থেকে বানিয়ে ফেলল জ্বালানি তেল। পঞ্চায়েতের কর্মকর্তাদের দাবি, তাঁরা নিজেরা তেল তৈরি করে তা ব্যবহার করে দেখেছেন। এবার তা পাঠানো হবে সরকার অনুমোদিত কোনও পরীক্ষাগারে। সেখান থেকে অনুমোদন মিললে পুরোমাত্রায় উৎপাদন শুরু করা হবে। এই পদক্ষেপ পরিবেশ রক্ষায় বড়সড় ভূমিকা নেবে বলে মনে করছে পঞ্চায়েত।
মিশন নির্মল বাংলা প্রকল্পে ২০১৭- ২০১৮ অর্থবর্ষে খয়রামারিতে গড়ে তোলা হয় সিন্দ্রাণী নব দিগন্ত উদ্যান। তৎকালীন মহকুমা শাসকের উদ্যোগে এই বাগান তৈরি হয়েছিল। এই পঞ্চায়েতের মধ্যে থাকা ২২০০ পরিবারের বাসস্থান থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করে সেই উদ্যানে নিয়ে এসে জমা করেন পুরকর্মীরা। সেখানে জ্বালানি প্রস্তুতের জন্য প্লাস্টিক প্রক্রিয়াকরণের কাজ হয়। জৈবসার ও পলিথিন থেকে তৈরি হয় তেল। একই সঙ্গে ফেলে দেওয়া পলিথিন পুড়িয়ে তেল তৈরির সময় যাতে দূষণ না ছড়ায় সেদিকেও খেয়ালে রেখেছে পঞ্চায়েত। পলিথিনজাত গ্যাসকে বিকল্প জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করে পলিথিন পোড়ানোর ব্যবস্থা হয়েছে। বাগদা ব্লকের স্যানিটেশন সুপারভাইজার নির্মল চক্রবর্তীর তত্বাবধানে এই কাজ চলছে। তিনি বলেন, ‘আমরা পরীক্ষামূলকভাবে পলিথিন থেকে জ্বালানি তেল তৈরি করেছি। অনুমতির অপেক্ষায় আছি।’
তেলের পাশাপাশি পচনশীল বর্জ্য থেকে জৈবসার তৈরির কাজও চলছে পঞ্চায়েত পরিচালিত এই উদ্যানে। কচুরিপানা, কলাগাছ থেকে ঘর সাজানোর সরঞ্জাম তৈরি করা হচ্ছে। জৈবসার তৈরি করে বর্জ্যকে সম্পদে পরিণত করার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। এর ফলে পঞ্চায়েতের আয় বাড়বে বলে আশাবাদী পঞ্চায়েত প্রধান সৌমেন ঘোষ। তিনি বলেন, প্রতিদিন বাড়ি বাড়ি ঘুরে বর্জ্য সংগ্রহ করা হয়। সেই জঞ্জালের পরিমাণ কম নয়। এই বিপুল পরিমাণ বর্জ্য থেকে পচনশীল ও অপচনশীল জঞ্জাল পৃথক করে তা সম্পদে পরিণত করা হচ্ছে। পাশাপাশি ফেলে দেওয়া প্লাস্টিকের বোতল একত্রিত করে অস্থায়ী পাঁচিল তৈরি বা গাছের গোড়া বাঁধানোর কাজও হচ্ছে। ২০১৮ সালে কমলাবাস এলাকায় ডেঙ্গুর মারাত্মক প্রকোপ দেখা দিয়েছিল। রোধ করতে হিমশিম খেতে হয়েছিল প্রশাসনকে। এরপর এলাকা সাফসুতরো রাখার চিন্তাভাবনা শুরু করেছিল পঞ্চায়েত। তখন বাগান তৈরি করে বর্জ্যকে সম্পদে পরিণত করার পরিকল্পনা নিয়েছিল পঞ্চায়েত। কর্মকর্তাদের দাবি,  তারপর থেকে আর ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়নি। পঞ্চায়েতের এই কাজে খুশি পুর নাগরিকরা। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, পঞ্চায়েত থেকে বাড়ির জঞ্জাল নিয়ে যাওয়া ফলে এলাকা পরিষ্কার থাকে। মশা-মাছির উৎপাতও কমেছে। 

1st     July,   2022
 
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ