বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
কলকাতা
 

গুপ্তিপাড়ার শ্রীবৃন্দাবনচন্দ্র
ও রথযাত্রার ভাণ্ডার লুঠ
রাধাবিনোদিনী বিন্তি বণিক

হুগলি জেলার বহু প্রাচীন জনপদ গুপ্তিপাড়া। এর একদিকে বর্ধমান আর অপরদিকে গঙ্গার ওপারে নদিয়া জেলা। গুপ্তিপাড়ার ঐতিহ্যবাহী বহুশ্রুত-বহুবিখ্যত রথোৎসবের সূচনা সম্ভবত ১৭৪০ খ্রিস্টাব্দে স্বামী মধুসূদানন্দের উদ্যোগে হয়েছিল। অতএব, এবছর ২৮৩ তম রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। মহাসমারোহের সঙ্গে এই উৎসব প্রারম্ভ হয় প্রতিবছর জ্যৈষ্ঠ পূর্ণিমায় স্নানযাত্রার দিন থেকে। সুউচ্চ স্নানবেদিতে আনা হয় প্রাচীন বিশালাকার জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রা বিগ্রহত্রয়কে। ১০৮ কলস সুরভিত গঙ্গাজলে স্নান করানো হয়।  আর তখন অগুনতি দর্শনার্থীর উৎসুক ভক্তিপূর্ণ দৃষ্টির নির্নিমেষ চাহনিতে যেন অভিষেক চলে তাঁদের। এরপর টানা পনেরো দিন অনবসরে কাটিয়ে অঙ্গরাগ সেরে নতুন করে সেজে  আষাঢ়ী শুক্ল দ্বিতীয়া তিথিতে প্রভাতে রথে চড়ে যাত্রা করেন মাসির বাড়িতে। দুটি পর্যায়ে হয় এই রথযাত্রা। প্রথম পর্যায়ে রথ যায় গুপ্তিপাড়ার হরিমন্দির অবধি। তারপর বিকেল চারটের সময় দ্বিতীয় পর্যায়ে হরিমন্দির থেকে যাত্রা শুরু করে রথ যায় বড়বাজারে মাসির বাড়িতে অর্থাৎ গুণ্ডিচা মন্দিরে। টানা সাত দিন সেখানে কাটাবার পর উল্টোরথের দিন ফিরে আসেন মন্দিরে। তবে এই রথ আর উল্টোরথের মাঝে ঘটে গুপ্তিপাড়ার রথযাত্রার বড় ও বিশেষ দুটি উৎসব, যার জন্য এখানকার রথযাত্রা অনন্য। 
ষোড়শ শতকের ঘটনা। শান্তিপুরের কোনও এক ব্রাহ্মণ গঙ্গানদীতে স্নানের সময় হঠাৎ দেখেন, কী যেন জলে ভেসে যাচ্ছে! তিনি তৎপরতার সঙ্গে যখন তা তুললেন জল থেকে, দেখেন এক দারু (নিম্ব কাষ্ঠ ) নির্মিত বিগ্রহ। বিগ্রহ প্রাপ্তিকে নিজের পরম সৌভাগ্য বলে ভাবলেন ব্রাহ্মণ আর তারপর সযত্নে নিজের গৃহে তাঁর সেবা শুরু করলেন। 
বেশ কিছুদিন অতিক্রান্ত হল। হঠাৎ একদিন রাতে ব্রাহ্মণ স্বপ্নাদেশ পেলেন,  বিগ্রহ তাঁকে বলছেন, ‘আমি তো সন্ন্যাসীর ঠাকুর রে! তোর সেবায় আমি সন্তুষ্ট। কিন্তু, এবার আমায় সন্ন্যাসীর কাছে দিয়ে আয়।’ ব্রাহ্মণ সেই স্বপ্নকে তেমন গ্রাহ্য করলেন না। আবার একদিন বিগ্রহ বললেন, ‘আমায় সন্ন্যাসীর কাছে রেখে এসো! না হলে কিন্তু অমঙ্গল হতে পারে তোমার।’ ব্রাহ্মণ সংকল্প করলেন, যা হওয়ার হবে, বিগ্রহের সেবাপুজো তিনি কখনওই ত্যাগ করবেন না। নিজের অমঙ্গলের কথা জেনেও পুজো চালিয়ে গেলেন। ভগবান ভক্তের ভক্তির দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চেয়ে ব্রাহ্মণের প্রত্যেকটি পুত্র এক এক করে কেড়ে নিলেন।  তবু জীবনের শেষদিন পর্যন্ত সেবা চালিয়ে গেলেন ব্রাহ্মণ। মৃত্যুর পূর্বে নিজের পুত্রবধূকে আদেশ দিয়ে গেলেন,তাঁর অবর্তমানেও বিগ্রহের সেবা যেন বলবৎ থাকে। শ্বশুর মহাশয়ের আদেশকে শিরে নিয়ে সেবা চালাতে থাকলেন পুত্রবধূ।
এদিকে সত্যানন্দ সরস্বতী নামে এক নিষ্কিঞ্চন বৈষ্ণব ভ্রমণ করতে করতে এসে উপস্থিত হলেন নবদ্বীপে। গঙ্গার তীরেই এক স্থানে কুটির গড়ে বাস করতে থাকলেন। একদিন তিনি স্বপ্নে দেখলেন এক বিগ্রহ বলছে, ‘ওরে, তুই এসে এবার আমার সেবার ভার গ্রহণ কর।’ গ্রামের লোকদের কাছে সত্যানন্দ জানতে  চাইলেন, ‘এমন কোনও বিগ্রহের সন্ধান আছে নাকি, যাঁকে সেবা করার কেউ নেই।’ 
লোকমুখে তখন সেই ব্রাহ্মণ ও তাঁর প্রতি বিগ্রহের আসা আদেশের কথা জানতে পারলেন সত্যানন্দ। সন্ধান করে উপস্থিত হলেন গৃহের দ্বারে। ভিক্ষা চাওয়ার অছিলায় নানা কথা পেড়ে যখন বিগ্রহ দর্শন করলেন তখনই তাঁর মন কেড়ে নিল বিগ্রহের মনোহর রূপ।  এই বিগ্রহই তো স্বপ্নাদেশ করেছেন তাঁকে! 
ইতিমধ্যে সেই রমণী প্রসাদ সেবনের আমন্ত্রণ করলেন সত্যানন্দকে। সত্যানন্দের মাথায় খেলে গেল কী বলবেন তিনি, বললেন, ‘মা, প্রসাদ পাব, কিন্তু সঙ্গে দক্ষিণা দেবে তো?’ রমণী বললেন, ‘হ্যাঁ বাবা, অবশ্যই দেব।’ সত্যানন্দ মহাগ্রহে প্রসাদ সেবা করে তারপর বললেন, ‘মা, আমি প্রণামী রূপে তোমার সেবিত এই বিগ্রহকে পেতে চাই।’
রমণী সত্যানন্দের কথা শুনে যেন বজ্রাহত হয়ে গেলেন। তিনি এ কী শুনছেন! সত্যানন্দ অনুধাবন করতে পারছেন রমণীর মনের অবস্থা। কিন্তু, তাঁর যে আর কোনও উপায় নেই এই চাতুরী করা ছাড়া! সত্যানন্দ কোমল কণ্ঠে বললেন, ‘মা, তুমি কিন্তু কথা দিয়েছ! কথার খেলাপ করাটা বোধ হয় উচিত হবে না।’ রমণী সম্বিৎ ফিরে পেলেন। আকস্মিক ওঠা ঝড়ের ঝাপটা থেকে কোনওমতে নিজেকে সামলিয়ে, কেবল অশ্রূভরা নয়নে বললেন, ‘হ্যাঁ, বাবা।’
এরপর, সেই রমণী তাঁর প্রাণধন কৃষ্ণবিগ্রহকে সমর্পণ করে দিলেন সত্যানন্দ  সরস্বতীর হাতে। আর তারপরই প্রাণত্যাগ করলেন। সত্যানন্দ  রমণীর সৎকার পর্ব মিটিয়ে বিগ্রহ নিয়ে চলে এলেন এখন যেখানে গুপ্তিপাড়ায় বৃন্দাবনচন্দ্রের মন্দির সেখানে। সেবা প্রতিষ্ঠা করলেন ও বিগ্রহের নাম রাখলেন ‘বৃন্দাবনচন্দ্র’।
সন্ন্যাসী সত্যানন্দ সরস্বতী ও তাঁর বৃন্দাবনচন্দ্রের কথা লোকমুখে প্রচারিত হয়ে গেল। সকলে সেবার নানা দ্রব্য দান করতে থাকল। অপূর্ব দর্শন বৃন্দাবনচন্দ্রের মুখপানে চান আর তৃপ্তিতে মন ভরে ওঠে সত্যানন্দের। বৃন্দাবনচন্দ্র নিজে থেকে তাঁর সেবা নিতে আগ্রহী হয়ে কাছে এসেছেন —একথা ভেবে মন আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে পড়ে সত্যানন্দের। প্রাণঢালা সেবা করেন তাই আরও উৎসাহ, আগ্রহ আর হৃদয়াবেগ সহ। ক্রমে সন্ন্যাসীর সেবা ও সুব্যবহারের কথা সেখানকার জমিদারেরও কানে গেল। বৃন্দাবনচন্দ্রের সেবা যাতে আরও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়, তার জন্য জমিদার চার হাজার বিঘা জমি দান করলেন বৃন্দাবনচন্দ্রের নামে। 
পরবর্তীকালে এক এক করে চারটি মন্দির নির্মিত হয় এই স্থানে। ষোলো-সতেরো শতকের পোড়া মাটির ভাস্কর্যে সেগুলি কারুকার্যমণ্ডিত। ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ গুপ্তিপাড়ার এই মন্দির স্থাপত্য শিল্পের সংরক্ষণের ভার গ্রহণ করেছেন। এই সংশ্লিষ্ট বোর্ডটি মন্দির চত্বরে চোখে পড়ে। চারটি মন্দিরের একটি শ্রীশ্রীরাধাবৃন্দাবনচন্দ্রের, একটি শ্রীশ্রীরাধাকৃষ্ণচন্দ্রের, একটি শ্রীশ্রীরামচন্দ্রের ও চতুর্থটি শ্রীশ্রীগৌরনিতাইয়ের। 
তবে চারটি মন্দিরের মধ্যে সর্বাপেক্ষা প্রাচীন হল গৌরনিতাইয়ের মন্দিরটি। এই মন্দিরটিতে কারুকার্য‍ তেমন নেই বললেই চলে। বৃন্দাবনচন্দ্র ও কৃষ্ণচন্দ্রের মন্দির আটচালার। আর রামচন্দ্রের মন্দির একচালা শৈলীর। জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রা অবস্থান করেন বৃন্দাবনচন্দ্রের মন্দিরেই। যদিও কয়েক বছর আগে  বৃন্দাবনচন্দ্র চুরি গিয়েছেন। বর্তমানে তাঁর প্রতিভূ বিগ্রহে সেবা পুজো চলছে। বৃন্দাবনচন্দ্রের সঙ্গে মহালক্ষ্মীর মূর্তিটিও চুরি হয়ে গিয়েছিল। তবে দেবীমূর্তিকে পুনরায় পাওয়া যায় কোনও এক ধান খেতের মধ্যে।
শ্রীবৃন্দাবনচন্দ্রের মন্দির ও শ্রীশ্রীগৌরনিতাইয়ের মন্দিরের মধ্যবর্তী স্থানে রয়েছে সত্যানন্দ সরস্বতীর সমাধি। এই স্থানে তাঁকে সমাধিস্থ করার কথা তিনি নিজেই আদেশ দিয়েছিলেন তাঁর শিষ্যদের। কারণ তিনি চেয়েছিলেন, দুই মন্দিরের বিগ্রহদের পূত পদস্পর্শ জল তাঁর সমাধিতে এসে পড়ুক। আবার এ নিয়ে একটি কাহিনিও প্রচলিত আছে। 
সত্যানন্দ সরস্বতী তাঁর শিষ্যদেরকে বলেছিলেন, ‘ছয় মাস পর আমার সমাধি খুঁড়লে তোরা একটি সোনার কুমড়ো পাবি।’ বিস্ময় আর অত‍্যুৎসাহের দরুন তারা নাকি তিনমাস পরেই সমাধি খুঁড়ে ফেলে। তখন একটি কুমড়ো পাওয়া যায় ঠিকই, কিন্তু, সে কুমড়োর অর্ধেকটা স্বর্ণনির্মিত ও বাকি অর্ধেক থেকে রক্ত ঝরছিল। সেই অদ্ভুত কুমড়োটি দেখে ভীত হয় শিষ্যগণ। তারপর আবার সেটিকে সমাধির মধ্যে পুঁতে দেয় তারা। আর কখনও, স্বর্ণ কুমড়ো পাওয়ার আশায় কেউ কোনওদিন সমাধি খোঁড়েনি।
আরও একটি কাহিনি শোনা যায়— 
গুপ্তিপাড়ায় চার হাজার বিঘা জমির মালিক বৃন্দাবনচন্দ্র। সেসময় ইংরেজরা এই জমির মালিকানা নিয়ে বচসা শুরু করে। জমিদারদের নামে ইংরেজরা মোকদ্দমা করে। বৃন্দাবনচন্দ্র কে— এই তাদের প্রশ্ন। এখন, বিগ্রহ যে সাক্ষাৎ ভগবদ্ স্বরূপ এই বিশ্বাস জমিদাররা ইংরেজদের করাবেন কী প্রকারে! বৃন্দাবনচন্দ্রকে দেখাতেও জমিদারদের আপত্তি। কারণ, দর্শন করার পর যদি বিগ্রহ সম্পর্কে অকথা-কুকথা বলে বসে ইংরেজরা, তবে তা সহ্য করাও কঠিন হবে যেমন, আবার তেমন অনুচিতও হবে। প্রাণ প্রতিষ্ঠিত জাগ্রত বিগ্রহ বলে কথা! তাই জমিদাররা করলেন কী, বৃন্দাবনচন্দ্রের আদলে অপর একটি মূর্তি তৈরি করালেন। কিন্তু, যেদিন সেই নবনির্মিত মূর্তি ইংরেজদের প্রমাণ স্বরূপ দেখানোর কথা, তার ঠিক আগে ঘটল এক অদ্ভুত ব্যাপার। বৃন্দাবনচন্দ্র নিজে মনুষ্যরূপ ধরে এজলাসে গিয়ে নিজের প্রমাণ দিয়ে মোকদ্দমার নিষ্পত্তি করে দিলেন। কারও কিছু বলার রইল না। মোকদ্দমা রদ হয়ে গেছে জেনে জমিদারদের ও গ্রামের লোকদের আনন্দের অবধি রইল না। কৃষ্ণচন্দ্র বিগ্রহটিকেও তাঁরা প্রতিষ্ঠা করে দিলেন বৃন্দাবনচন্দ্রের মন্দিরে। 
পরবর্তীতে, কৃষ্ণচন্দ্রেরই নির্দেশে  তাঁর জন্য একটি  স্বতন্ত্র মন্দির নির্মাণ করে দেওয়া হয়।
ফিরে আসি এবার রথযাত্রা প্রসঙ্গে পুনরায়। জগন্নাথ গুন্ডিচা মন্দিরে গেছেন তো গেছেনই। ভাব-স্বভাব তাঁর ভালো নয়। তবে কী মাসির বাড়িতে কেউ তাঁকে বশীকরণ করল! আপন করে কাছে পেতে মন্ত্র পড়ে ফাঁদ পাতল! আর কী তিনি ফিরবেন না!...
ইত্যাদি নানান দুর্ভাবনায় ভাবিত হয়ে লক্ষ্মীদেবী দাসদাসি নিয়ে গুন্ডিচা মন্দিরে যান আর জগন্নাথকে উদ্ধার করতে সঙ্গে নিয়ে যান সর্ষে পোড়া। সেই সর্ষেপোড়া দ্বারা জগন্নাথের গায়ে লাগা খারাপ বাতাস দূর করবেন। ফিরিয়ে আনবেন নিজের নাগরকে, দয়িতকে। কিন্তু, প্রচেষ্টা অর্থহীন হল। লক্ষ্মীর সঙ্গে জগন্নাথ ফিরলেন না। তখন ক্রোধিত বৃন্দাবনচন্দ্র যান সেখানে আষাঢ়ী শুক্ল একাদশীর উল্টোরথের আগের দিন অর্থাৎ দশমীতে। এসে দেখেন মাসির বাড়ির তিনটি প্রবেশদ্বার বন্ধ। দরজা ভেঙে তিনি ঢোকেন সাঙ্গোপাঙ্গদের নিয়ে। সেখানে মাটির মালসায় থরে থরে খাবার সাজিয়ে রাখা জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রার জন্য। এদিন ৫২টি ব্যঞ্জন সহ ৪০ কুইন্টাল ভোগ রন্ধন করা হয়। নানান চর্ব্য, চোষ্য, লেহ্য, পেয় খাদ্যবস্তু দেখে তিনি তখন সেসব লুঠ করান ভক্তদের দ্বারা। এটিকে বলা হয় ভাণ্ডার লুণ্ঠন উৎসব। গোবিন্দ ভোগের চালের সুস্বাদু খিচুড়ি, বেগুনভাজা, লুচি, আলুরদম, লাড্ডু, পরমান্ন, পনির কষা, পটল রসা, রাবড়ি, ক্ষীর, সন্দেশ, মালপোয়া ইত্যাদি নানান লোভনীয় পদের প্রায় ৫৫০টি মালসা সাজানো হয়। এক একটি মালসায় ৭-৮ কেজি করে খাদ্যবস্তু রাখা থাকে। শ্রীবৃন্দাবনচন্দ্রকে মন্দিরে প্রবেশ করিয়ে তাঁর সম্মুখে ভাণ্ডার লুঠ করা হয়। ঠিক যেন বৃন্দাবনচন্দ্রের তত্ত্বাবধানে লুণ্ঠন চলছে এমন ভাব শ্রীকৃষ্ণচন্দ্র ও শ্রীবৃন্দাবনচন্দ্রের ভক্তদের তখন। এ এক দারুণ আনন্দের উপভোগ্য অনুষ্ঠান। বলা হয়, যে ভক্তরা যত বেশি খাবার লুঠ করতে পারেন, তাঁদের নাকি বৃন্দাবচন্দ্র নিজের অগাধ সম্পত্তি রক্ষার জন্য দ্বারপালরূপে নিযুক্ত করেন।   আর এই অনুষ্ঠানের জন্যই গুপ্তিপাড়ার রথযাত্রা উৎসব  বিশেষভাবে নজর কেড়েছে রথযাত্রার ইতিহাসের পাতায়।  

1st     July,   2022
 
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ