বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
কলকাতা
 

সজনেখালি ব্যাঘ্র প্রকল্পের ইকনার জন্য
ঠান্ডা-যন্ত্র বসানোর ভাবনা বনবিভাগের
বাঘ ‘খুঁজতে’ তুখোড় জার্মান শেপার্ডের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা

সংবাদদাতা,  বারুইপুর: মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে ন’মাসের ট্রেনিং হয়েছিল ইকনার। প্রশিক্ষণ শেষে ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে সুন্দরবনের সজনেখালিতে তাকে নিয়ে আসা হয়েছিল। তার বয়স তখন পাঁচ বছর।  জঙ্গল থেকে লোকালয়ে যখন বাঘ ঢুকে পড়ে, তখন ইকনার ডাক পড়ে। সে কাদার মধ্যে বাঘের পায়ের ছাপ খুঁজে বের করে। তার কাছ থেকে হদিশ পাওয়ার পর বাঘের গতিবিধির উপর নজরদারি রাখতে শুরু করে বনদপ্তর। বাঘ যাতে জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায় ঢুকতে না পারে তার জন্য লোকালয়ে বাড়ানো হয় নজরদারি। মানুষ এবং গবাদি পশুর উপর যাতে বাঘ হামলা না চালাতে পারে তা নিশ্চিত করতে ইকনার এই অনুসন্ধান খুব কাজে দেয়, বলছেন বনদপ্তরের আধিকারিকরা। স্বাভাবিকভাবেই ইকনার কাজ খুব স্পেশাল। ফলে তাকে স্পেশাল ট্রিটমেন্টে রাখতে চায় বনবিভাগ। সেই ব্যবস্থা করতে তার থাকার ঘরে বসতে চলেছে এয়ারকন্ডিশনার কিংবা এয়ার কুলার। 
সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের সজনেখালি রেঞ্জের পাখিরালয় হেড কোয়ার্টারে  বছরচারেক ধরে রয়েছে প্রশিক্ষণের পর নিজের কাজে তুখোড় হয়ে ওঠা এই ফিমেল জার্মান শেপার্ড ইকনা। এখন অতিরিক্ত গরমের দাপটে প্রবল অস্বস্তি শুরু হয়েছে তার। সে যে ঘরটিতে তাকে সেটি শীতল রাখতে চিন্তাভাবনা শুরু করেছেন প্রশিক্ষকরা। এই প্রস্তাব ব্যাঘ্র প্রকল্পের অধিকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পের অধিকর্তা তাপস দাস বলেন, বিষয়টি নিয়ে বিবেচনা করা হচ্ছে।  
২০১৯ সালে নামখানা রেঞ্জের দেবীপুরে ও ২০২০-২১ সালে গোসাবার সাতজেলিয়াতে গভীর রাতে লোকালয়ে ঢুকেছিল বাঘ। তখন ইকনা গন্ধ খুঁজে খুঁজে বাঘটির পায়ের ছাপ খুঁজে বের করে। তার অনুধাবন শক্তি বনদপ্তরের কর্মীদের নজরদারির কাজে সুবিধা করে দেয়। এছাড়া আর একটি কাজও করে এই চালাকচতুর কুকুরটি। দোল বা দীপাবলিতে ওইসব অঞ্চলে হরিণ মারার প্রবণতা থাকে মানুষের মধ্যে। তাই এই সমস্ত এলাকায় ইকনাকে দিয়ে নিয়মিত পেট্রলিং করানো হয়ে থাকে।
 ইকনার দেখাশোনা করেন প্রশিক্ষক সুনীল নাথ ও তাঁর সহকারী মনোরঞ্জন মণ্ডল। সুনীলবাবু বলেন, ইকনা আসার পর থেকে সুন্দরবনের জঙ্গলে কোনও প্রাণী হত্যা হয়নি। কুকুরটি সবার প্রিয়। তার যত্নে কোনও ত্রুটি করা হয় না। ব্যাঘ্র প্রকল্পের বড়কর্তা নিজেও নজর রাখেন। এখন গরমে অস্বস্তি বাড়ছে ওর। ১০ দিন অন্তর ইকনাকে স্নান করানো হয় বা দিনে চার লিটার করে জল খাওয়ানো হয়। শরীর ঠান্ডা রাখতে সকালে দুধ ভাত, লাউ, কুমড়ো, ডাল, দই, ডিমসেদ্ধ দেওয়া হয়। সন্ধ্যায় মাংস, ডালিয়া, বিট, গাজর দেওয়া হয়। এর মাঝে ডগবিস্কুটও দেওয়া হয়। সকাল-বিকাল দৌড় থেকে শুরু অন্যান্য ট্রেনিংও করানো হয়। এর পাশাপাশি ওর স্বাস্থ্যরক্ষায় এসি বা এয়ার কুলার বসানোর জন্য আবেদন জানানো হয়েছে।

26th     May,   2022
 
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ