বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
কলকাতা
 

পুলিসের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে অটো
বন্ধ উল্টোডাঙায়, ব্যাপক ভোগান্তি যাত্রীদের

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: পুলিসের বিরুদ্ধে খামখেয়ালিপনার অভিযোগ এনে উল্টোডাঙার প্রায় সবক’টি রুটে অটো পরিষেবা বন্ধ করে দিলেন চালকরা। ফলে সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনেই ভোগান্তির শিকার হলেন বহু মানুষ। কেউ ডাক্তার দেখানোর জন্য বেরিয়েও বাড়ি ফিরে যেতে বাধ্য হলেন। কারও গন্তব্যে পৌঁছতে অস্বাভাবিক দেরি হয়ে গেল। অটোচালকদের অভিযোগ, পুলিস যেভাবে তাদের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছে, তাতে বাড়তি পথ ঘুরতে হচ্ছে তাঁদের। একদিকে জ্বালানির চড়া মূল্য, পাশাপাশি রুট বদলে যাওয়ায় যাত্রী পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা—এই পরিস্থিতিতে অটো চালানো সম্ভব নয় বলে দাবি করে পরিষেবা বন্ধ করে দেন তাঁরা। এদিন বেলার দিকে পুলিসের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়। কিন্তু ততক্ষণে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি সীমা ছাড়িয়েছে। 
উল্টোডাঙা থেকে বাগুইআটি, এয়ারপোর্ট, যশোর রোড-লেকটাউন, শোভাবাজার, জোড়াবাগান, আহিরিটোলা লঞ্চঘাট সহ সল্টলেকের একাধিক রুটের বেশিরভাগ অটো এদিন সকাল থেকে চলেনি। অটোচালকরা জানিয়ে দিয়েছেন, পুরনো পথেই অটো চলানোর অনুমতি দিতে হবে তাঁদের। 
সমস্যা ঠিক কোথায়? অটোচালকদের কথায়, বাগুইআটি, এয়ারপোর্ট থেকে উল্টোডাঙা হয়ে ১৫ নম্বর ঘুরে গাড়িগুলি উল্টোডাঙায় দাঁড়ায়। ফেরার পথে  কেষ্টপুর, বাগুইআটি, লেকটাউন বা এয়ারপোর্টের দিকে যায় সেগুলি। কিন্তু এদিন আচমকা পুলিস জানিয়ে দেয়, ১৫ নম্বর দিয়ে অটো ইউ-টার্ন করা যাবে না। আরেকটু এগিয়ে গীতাঞ্জলি ঘড়ি মোড় কিংবা মুচিবাজার থেকে ঘুরিয়ে নিয়ে আসতে হবে। এই নিয়ম কার্যকর করতে সব ডিভাইডারের মাঝের ফাঁকা জায়গা আটকে দেওয়া হয়। চালক সোমনাথ দত্ত, প্রদীপ দাস, বিপ্লব মোদকদের বক্তব্য, এতটা ঘুরিয়ে অটো চালানো সম্ভব নয়। জ্বালানির দাম বেড়েছে। বাড়তি দু’কিলোমিটার চালানো যাবে না। 
পুলিসের এই সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়ে উল্টোডাঙা থেকে অন্যান্য জায়গায় যাওয়ার অটো রুটগুলিতেও। সেখান থেকে খান্না, জোড়াবাগান, শোভাবাজার মেট্রো, বি কে পাল, শোভাবাজার লঞ্চঘাট কিংবা আহিরিটোলা লঞ্চঘাটের অটোচালকরাও প্রতিবাদে শামিল হন। সংশ্লিষ্ট রুটের অটোচালকদের দাবি, বাগুইআটির অটোগুলি মুচিবাজার দিয়ে ঘোরানো হলে আমরা ওইটুকু পথে যাত্রী পাব না। উল্টোডাঙা থেকে মুচিবাজার, তেলেঙ্গাবাগান, করবাগান যাওয়ার যাত্রীদের নিতে পারব না আমরা। উল্টোদিক থেকেও যাত্রী মিলবে না। তাই পুলিসের এই খামখেয়ালি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে অটো বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছি। 
এই চত্বরে প্রায় ১০টি রুটে প্রায় পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার অটো চলে। এদিন তার বেশিরভাগই বন্ধ ছিল। এই সুযোগে কেউ কেউ চড়া ভাড়াও হেঁকেছে।  হাতিবাগান যাওয়ার জন্য টানা ২০ মিনিট দাঁড়িয়ে অটো না পেয়ে বাড়ি ফিরতে বাধ্য হন জনৈক জলি সিং। তিনি বলেন, ‘ডাক্তার দেখাতে যাচ্ছিলাম। কিন্তু দেখলাম অটো বন্ধ। পায়ের ব্যথায় বাসে উঠতে অসুবিধা হয়। অগত্যা বাড়ি ফিরে যাচ্ছি।’ বেলা গড়াতেই বেগতিক বুঝে স্থানীয় ট্রাফিক গার্ডের অফিসে সব পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসে পুলিস।  সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার কথা ভাবা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এদিন দুপুরের পর থেকে অটো চালালেও তাঁদের দাবিতে অনড় রয়েছেন চালকরা। 

24th     May,   2022
 
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ