বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
কলকাতা
 

পুলিসকে ধাক্কা মেরে চম্পট সুপারি
কিলার কৃষ্ণর, জেলাজুড়ে তল্লাশি
শ্রীরামপুর

নিজস্ব প্রতিনিধি, চুঁচুড়া: পুলিসকে ধাক্কা মেরে চম্পট দিল ‘সুপারি কিলার’। বেশ কয়েক ঘণ্টা কেটে গেলেও পুলিস সেই অভিযুক্তের হদিশ পায়নি। সোমবার দুপুরে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে শ্রীরামপুর আদালত চত্বরে। রাজ্যধরপুরে সম্পত্তির লোভে খুনের ঘটনায় ধৃত সুপারি কিলার কৃষ্ণ সরকার পুলিসের বেষ্টনী ভেঙে চম্পট দেয় এদিন। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, পালানোর জন্য সে আগে থেকেই ছক কষেছিল। এদিন অসুখের বাহানা করে সে পুলিসকে বাধ্য করে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে। যদিও সেখানে চিকিৎসকরা তাকে পরীক্ষা করে জানিয়ে দেন, তার শরীরে কোনও অসুখ নেই। হাসপাতাল থেকেই কোনওভাবে পালানোর পরিকল্পনা ছিল তার। কিন্তু তখন সে সুবিধা করতে পারেনি। এরপর তাকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। শ্রীরামপুর আদালতে ঢোকার মুখে একটি ছোট গেট আছে। সেখান দিয়ে ঢোকানোর সময়  পুলিসকে আচমকা ধাক্কা দিয়ে পালায় সে।
ঘটনার পর শ্রীরামপুর সহ জেলাজুড়ে নাকা চেকিং শুরু করেছে পুলিস। বিভিন্ন জায়গায় চলছে তল্লাশি। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ওই সুপারি কিলারের কোনও হদিশ মেলেনি। চন্দননগর কমিশনারেটের একাধিক কর্তা এদিনই শ্রীরামপুর থানায় এসে ঘটনার ব্যাপারে খোঁজখবর করেন। এনিয়ে বিভাগীয় তদন্তও শুরু হয়েছে। পুলিসের এক কর্তা বলেন, পরিস্থিতির সুযোগ 
নিয়ে কৃষ্ণ সরকার পালিয়েছে। তবে দ্রুত নাকা চেকিং শুরু হয়েছে। আমাদের বিশ্বাস, ওই দুষ্কৃতী শ্রীরামপুরেই আছে। তাকে আমরা ধরে ফেলব। পলাতক কৃষ্ণ সরকারের আইনজীবী যতন রায় বলেন, আমি আইন ও আদালতের উপরে ভরসা রাখি। পুলিসের সঙ্গে সবরকমের সহযোগিতা করতে বলেছি আমার মক্কেলের পরিবারকে। 
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন আদালতে হাজির করার আগে কৃষ্ণকে শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রবিবার গভীর রাত থেকেই কৃষ্ণ শরীর খারাপের বাহানা শুরু করে। পুলিস বিষয়টি বুঝতে পারলেও আইনি বাধ্যবাধকতায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আদালত চত্বরের পিছন দিকে একটি ছোট গেট রয়েছে। কখনও কখনও পুলিস অভিযুক্তদের নিয়ে যাওয়ার কাজে সেটি ব্যবহার করে। এদিনও সেখান দিয়েই কৃষ্ণকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। গেটটি সঙ্কীর্ণ হওয়ায় পাশাপাশি দু’জন যেতে পারে না। সেখান দিয়ে ঢোকার মুখে আচমকা পিছনের পুলিসকর্মীকে ধাক্কা দিয়ে দৌড় লাগায় কৃষ্ণ। তার পিছনে ধাওয়া করেও নাগাল পায়নি পুলিস। ঘটনার জেরে শহরময় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। মাত্র দু’দিন আগে পুলিসের প্রশংসা জুটেছিল এই খুনের ঘটনায় দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে পারার কারণে। এই ঘটনায় পুলিসকর্তাদের বিড়ম্বনা তাই আরও বেড়েছে। 
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার রাতে রাজ্যধরপুরের একটি পুকুর থেকে গৌতম দাস নামে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তদন্তে দেখা যায়, বিপুল সম্পত্তির মালিকানা পেতে ভাই উজ্জ্বল তাঁকে খুন করার সুপারি দিয়েছিল কৃষ্ণকে। গত  বুধবার রাতে রাস্তার উপর গৌতমবাবুকে শ্বাসরোধ করে খুন করার পর ওই পুকুরে ফেলে দেয় কৃষ্ণ। তদন্তে নেমে শুক্রবার গভীর রাতে পুলিস কৃষ্ণকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে জেরা করে গৌতমবাবুর ভাইকেও গ্রেপ্তার করা হয়। তখন থেকে পালানোর আগে পর্যন্ত সে পুলিস হেফাজতেই ছিল।

17th     May,   2022
 
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ