বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
কলকাতা
 

ভস্মীভূত তিন গাড়ি...। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে চাঁদনি চক এলাকার ম্যাডন স্ট্রিটে। প্রথমে একটি গাড়ির বনেট থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। নিমেষে সেটি দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে। সেটি থেকে বাকি দু’টি গাড়িতেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। দমকলের তিনটি ইঞ্জিন আগুন নেভায়। যান্ত্রিক গোলযোগ ও তীব্র গরমের জন্যই এই ঘটনা বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান দমকলের। -নিজস্ব চিত্র

মে মাসেও সুন্দরবনে
ইউরোপীয় পরিযায়ীর দল
না ফেরার কারণ কী ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের জের?

সৌম্যজিৎ সাহা,দক্ষিণ ২৪ পরগনা: মে মাস। প্রখর গরম। কিন্তু, তাতেও সুন্দরবনে থেকে গিয়েছে ইউরোপের অসংখ্য পরিযায়ী পাখি! যা আমাদের এখানে শীতের অতিথি বলেই পরিচিত।  কিন্তু, এই গরমেও তারা ফিরল না কেন? তার সঠিক উত্তর কারও জানা নেই। বনদপ্তরের অনুমান, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের জেরেই হয়ত ইউরোপের অনেক পরিযায়ীর আর ঘরে ফেরা হয়নি। তারা যুদ্ধের আঁচ পেল কীভাবে? তাহলে কী যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরেও কিছু পরিযায়ী সুন্দরবনে এসেছিল। তারাই কী এখনও ফেরেনি? গরম সহ্য করেও থেকে গিয়েছে নোনাজল আর জঙ্গলে?
সূত্রে জানা গিয়েছে, সুন্দরবনে প্রতিবছর নভেম্বর-ডিসেম্বর মাস নাগাদ পরিযায়ী পাখিরা চলে আসে। সাধারণ বসন্তের সময় মার্চেই তারা ফিরে যায়। এ বছর জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে সুন্দরবনের লোথিয়ান আইল্যান্ড, পাতিবুনিয়া, জম্বু দ্বীপ এবং কাঁকড়ামারি চরে পাখির সুমারি চালানো হয়েছিল। তাতে ৯২৭৫টি পরিযায়ী পাখিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তার মধ্যে ১৩৬ রকমের পাখি ছিল। এই তালিকায় ছিল ১০৪টি গ্রেট নটও। সারা বিশ্বে গ্রেট নটের সংখ্যা এখন মাত্র তিন হাজার। জম্বু দ্বীপে এদের দেখা গিয়েছিল। ছিল ৬০০ এর বেশি লিটল টার্নও। এছাড়াও গ্রে-প্লোভার, কমন শেলডাক সহ অনেকে পরিযায়ী রয়েছে। ন’হাজার বাদ দিয়েও এখনও এক হাজার পাখিকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি বনদপ্তরের পক্ষ থেকে।
আধিকারিকদের দাবি, গত বছর সাত হাজারের বেশি পরিযায়ী পাখি সুন্দরবনে এসেছিল। কিন্তু, এবার ন’হাজারের বেশি এসেছে। অর্থাৎ, দু’হাজারের বেশি পরিযায়ীর সংখ্যা বেড়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডিএফও মিলন মণ্ডল বলেন, বসবাস এবং খাবারের অনুকুল পরিবেশের জন্যই সুন্দরবনে পরিযায়ী পাখি আসার সংখ্যা অনেকেটাই বেড়েছে। এটা ভালো খবর।
বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ইউরোপের এই পরিযায়ী পাখিরা সাইবেরিয়া ছাড়াও দক্ষিণ আমেরিকা, মঙ্গোলিয়া, ইউক্রেন, রাশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসে। শীতের মরশুমে পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণ এই পরিযায়ীরা। কিন্তু, শীত, বসন্ত পার হয়ে প্রখর গ্রীষ্মেও তাদের অনেকে কেন ফিরল না, তা নিয়েই এখন বনদপ্তরের অন্দরে আলোচনা তুঙ্গে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যে কোনও দেশে যুদ্ধ হলেই সেখানকার পরিবেশের ক্ষতি হয়। বায়ু দূষণ অনেকটা বেড়ে যায়। যা পাখিদের জন্য প্রতিকুল। এছাড়াও, যুদ্ধের জন্য লাগাতার শব্দ দূষণও পাখিদের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করে। খাবারও কমে যায়। ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ শুরু হয়েছিল। হয়ত, তারপর কিছু পরিযায়ী ইউক্রেন থেকে এসেছিল। পরিস্থিতি প্রত্যক্ষ করায়, তারাই হয়ত আর ফিরছে না। 

14th     May,   2022
 
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ