বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
কলকাতা
 

পুলিস পরিচয়ে লুট, ধৃত
সিভিক ভলান্টিয়ার
গ্রেপ্তার ট্রাফিক গার্ডের চালকও

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: রক্ষকই ভক্ষক। লুটপাটে অভিযুক্ত খোদ পার্ক সার্কাস ট্রাফিক গার্ডের গাড়িচালক এবং সিভিক ভলান্টিয়ার। এক লরিচালকের কাছ থেকে নগদ টাকা, রুপোর হার সহ বেশ কিছু জিনিস লুটের অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। ট্রাফিক গার্ডের গাড়িতে করে এসেই তারা এই লুটপাট চালিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ১৮ জানুয়ারি। ওই ঘটনার পর ওই রাতেই অভিযোগ জমা পড়ে বড়বাজার থানায়। তার ভিত্তিতে বুধবার গাড়িচালক জামির মণ্ডল এবং সিভিক ভলান্টিয়ার শেখ আকবরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু জিনিস। পুলিস ট্রাফিক গার্ডের ওই গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করেছে।
মঙ্গলবার বিকেলে ডিউটিতে ছিল জামির ও আকবর। ট্রাফিক গার্ডের কর্মীদের ওই গাড়িতে করে নিয়ে গিয়ে তারা নামিয়ে দেয় ইলিয়ট রোডে। তারপর গাড়ি নিয়ে তাদের ট্রাফিক গার্ডের অফিসে ফেরার কথা। কিন্তু তা তারা করেনি। অভিযোগ, ওই গাড়ি নিয়েই জামির ও আকবর চলে যায় একটি পানশালায়। সেখানে মদ খাওয়ার পর তারা পুলিসের সেই লালগাড়ি নিয়ে সোজা চলে যায় স্ট্রান্ড রোডে। সেখানে রাস্তার ধারে গাড়িটি পার্ক করে। তারপর গাড়ি থেকে নেমে পুলিস পরিচয় দিয়ে তারা একের পর লরি থামিয়ে চালকদের কাছে নথি দেখতে চায়। গাড়ির কাগজপত্র ঠিক নেই, এই অজুহাতেই তারা টাকা তুলছিল বলে অভিযোগ। 
যখন তারা এই কাণ্ড ঘটাচ্ছিল, তখন আর্মেনিয়ান ঘাটের কাছে রাস্তার ধারেই লরি দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন রাজাকুমার দাস নামের এক চালক। জামির মণ্ডল ও শেখ আকবর পুলিস পরিচয় দিয়ে তাঁর কাছে আসে। লরিচালকের অভিযোগ, ওই দু’জন এসে বলে, নো পার্কিং এলাকায় লরি দাঁড়িয়ে কেন? এরপরই ড্রাইভিং লাইসেন্স ও আধার কার্ড নিয়ে নেয়। কিছুক্ষণ অনুনয়-বিনয়ের পর তারা জানায়, নো পার্কিং এলাকায় লরি রাখার কারণে তাদের টাকা দিতে হবে। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হতেই লরিচালকের কাছ থেকে মানিব্যাগ ও রুপোর হার ছিনিয়ে নিয়ে চম্পট দেয় তারা। 
পুলিস এভাবে লুট করায় সরাসরি থানায় চলে যান ওই লরিচালক। সেখানে গিয়ে সব কথা খুলে বলেন। প্রথমে থানার অফিসাররা বিশ্বাস করতে চাননি। ভাবতেই পারেননি পুলিসে কাজ করে এমন কেউ এভাবে লুট করতে পারে। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে বড়বাজার থানা লুটের মামলা রুজু করে। তদন্তে নেমে পুলিস সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে। আর্মেনিয়ান ঘাট থেকে পরপর ট্রাফিক সিগন্যালের ফুটেজ নেওয়া হয়। কিন্তু সেই ক্যামেরায় গাড়ির নম্বর দেখা যাচ্ছিল না। গাড়ির নম্বর মেলে এন্টালির ট্রাফিক সিগন্যালের ফুটেজ থেকে। সেটি যাচাই করতে গিয়ে দেখা যায়, এটি পার্ক সার্কাস ট্রাফিক গার্ডের নিজস্ব গাড়ি। পুলিস কর্মীদের ‘পিক আপ’ ও ‘ড্রপ’ করা হয় এই গাড়িতে করে। সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ট্রাফিক গার্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। জানা যায়, এই গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছিল জামির ও আকবর। সেইসময় তারা গার্ডেই ডিউটিতে রয়েছে। এরপর সেখানে গিয়ে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

21st     January,   2022
 
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ