বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
কলকাতা
 

স্কুল বন্ধ, নষ্ট হচ্ছে অভিনব
ছাদ-বাগানের সব্জি

সন্তোষপুর ঋষি অরবিন্দ বালিকা বিদ্যাপীঠ

অর্পণ সেনগুপ্ত, কলকাতা: সার দিয়ে টমেটো গাছ। তাতে লাল বলের মত ঝুলে রয়েছে পাকা টমেটো। উঁকি মারছে বিনস, ওলকপি, ফুলকপি, বাঁধাকপিরা। গাজর, মুলো, লেটুস, পালং সবুজ তরঙ্গ ছড়াচ্ছে। লতিয়ে উঠেছে কুমড়ো গাছ। 
এই দৃশ্য কোনও সবজি খেতের নয়। কলকাতারই একটি স্কুল তাদের মিড  ডে মিলের চাহিদা মেটাতে সবজি চাষের উদ্যোগ নিয়েছিল। একসময়ের ছাত্রী বিক্ষোভে উত্তাল সন্তোষপুরের ঋষি অরবিন্দ বালিকা বিদ্যাপীঠই সেই এক টুকরো স্বর্গোদ্যানের ঠিকানা।
শহরে স্থানাভাব। তাই গ্রামের স্কুলগুলির মতো সবজি বাগান এখানে অলীক কল্পনা। সর্বশিক্ষা মিশনের প্রস্তাব মতো কিচেন গার্ডেন করে ওঠা হয় না স্কুলগুলিতে। তবে রুফটপ গার্ডেন বা ছাদ-বাগান করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে স্কুলটি। পাশে পেয়েছে ‘জঙ্গলমহল উদ্যোগ’ নামে একটি সংগঠনকে। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সর্বাণী সেন জানান, লকডাউন এর আগেই এই উদ্যোগ শুরু হয়েছিল। স্কুলের ছাদের ১৬০০ বর্গফুটের কিছু বেশি অংশে এই ছাদ-বাগান হয়েছে। একসময় ছাত্রীরা পালা করে এর যত্ন নিত। এখন স্কুল বন্ধ। তাই শিক্ষিকারাই এগুলির দেখভালের দায়িত্ব নিয়েছেন। এখানে উৎপন্ন হওয়া সবজি মিড ডে মিলে ব্যবহার করা হতো। তবে এখন রান্না বন্ধ। ফলে বেশির ভাগ আনাজ নষ্ট হচ্ছে । ফুলকপি থেকে বীজ বেরিয়ে পড়েছে। সেগুলি না হয় ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করা হবে। বাকি সবজি নিয়ে চিন্তা স্কুল কর্তৃপক্ষের। গতবার কিছু কিছু সবজি বিদায়ী ছাত্রীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এবার সরস্বতী পুজো করা গেলে, ভোগ রান্নায় সেইসব সবজি ব্যবহার করা যায় কিনা সেই ভাবনা রয়েছে প্রধান শিক্ষিকার মনে। স্কুল নিয়ে আরও ভাবনা রয়েছে। একটি জলজ আধার তৈরি করা যায় কিনা সেটা দেখছেন তিনি। তাতে থাকবে পদ্ম, শাপলা ছোট ছোট মাছ। ছোট থেকেই মেয়েরা যাতে প্রকৃতিকে ভালবাসতে শেখে, তার গুরুত্ব বোঝে, সে জন্যই এই ভাবনা বলে জানান সর্বাণীদেবী। তিনি বলেন, স্কুলের স্থানাভাবের ফলে নিচের তলায় যে জায়গা রয়েছে সেটি পুরোপুরি বাঁধানো। তাছাড়া সেখানে স্থানীয় দুর্গাপুজো হয়ে আসছে। তাই চত্বরে বাগান করা সম্ভব হয়নি। সে কারণেই ছাদে পরিকল্পনা।
জঙ্গলমহল উদ্যোগের সাধারণ সম্পাদক পরিতোষ বেরা বলেন, আমরা রাজ্য সরকারের কাছে অনুমতি চেয়েছিলাম, যাতে আমাদের স্কুলে বাগান করতে দেওয়া হয়। কারণ, মিড ডে মিলে সুষম খাদ্য দিতে গেলে জৈব চাষের মাধ্যমে বাগানে উৎপাদিত সবজির বিকল্প নেই। কলকাতায় কয়েকটি স্কুলকে ভাবা হলেও আপাতত ঋষি অরবিন্দ বালিকা বিদ্যাপীঠ দিয়েই কাজ শুরু করা গিয়েছে। শহরে এটি জনপ্রিয় হলে আমরা জঙ্গলমহলের দিকে চলে যাব। সেখানে অবশ্য ছাদে নয় জমিতেই বাগান করা হবে। তার দাবি সরকার তাদের প্রকল্পে খুবই উৎসাহ প্রকাশ করেছে। আর্থিক সহায়তা দিতেও প্রাথমিক ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে। পরিতোষ বাবুর বক্তব্য, এই বাগান করতে গেলে অর্থের প্রয়োজন। রাজ্য সরকারের কাছে তা চাওয়া হয়েছে। তা পেলে কাজ করতে সুবিধা হবে। আশা করছি সরকার এই খাতে টাকা মঞ্জুর করবে।

21st     January,   2022
 
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ