বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
কলকাতা
 

মাত্র ৫ হাজার টাকাতেই মিলছে
লক্ষ টাকার ভারতীয় জালনোট

নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাকপুর: করোনাকালে পকেটে টান পড়েছে কমবেশি সকলেরই। অপ্রয়োজনীয় খরচে লাগাম টেনেছেন অনেকেই। এর প্রভাব থেকে মুক্ত নয় ‘অন্ধকার জগৎ’ও। করোনাকালে নতুন পদ্ধতিকে কাজে লাগিয়ে জালনোট তৈরির খরচ এক ধাক্কায় অনেকটাই কমিয়েছে বাংলাদেশের চোরাকারবারিরা। এখন মাত্র পাঁচ হাজার টাকা খরচ করলেই তৈরি হচ্ছে কড়কড়ে এক লক্ষ টাকার ভারতীয় জালনোট! সম্প্রতি, এমনই তথ্য হাতে পেয়েছেন গোয়েন্দারা। অল্প পুঁজিতে বাড়তি লাভের আশায় বাংলাদেশের একাধিক জায়গায় এই কারবার চলছে। বাংলাদেশে এই কাজে চাহিদা বেশি জালনোটের মামলায় জেল ফেরত আসামিদের। ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করা ছাত্রদের একাংশ হাত মিলিয়েছে এই কাজে।
করোনা পর্বে ঢাকা সহ বাংলাদেশের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে সে দেশের গোয়েন্দা এবং পুলিস। তাতে এই ধরনের একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, আগে বাংলাদেশের চাঁপাই নবাবগঞ্জ এলাকায় সবচেয়ে বেশি জালনোট তৈরি হতো। এখন ঢাকা শহরের বিভিন্ন অলিগলিতেও একচিলতে ঘরে এই কারবার খুলে বসেছে চোরাকারবারিরা। আগে এক লক্ষ টাকার ভারতীয় জালনোট ছাপতে খরচ হতো ১৫-২০ হাজার টাকা। তা সীমান্তের এপারে বিক্রি হতো ৩০-৩৫ হাজার টাকায়। কিন্তু, এখন এক লক্ষ টাকার ভারতীয় জালনোট বিকোচ্ছে ১২-১৫ হাজার টাকায়। তাই বাধ্য হয়েই উৎপাদনের খরচ কমিয়েছে তারা।
কীভাবে এত সস্তায় তৈরি হচ্ছে জালনোট? গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, একটি ল্যাপটপ, একটি প্রিন্টার, কিছু কেমিক্যাল এবং দু’জন কর্মী থাকলেই দিনে পাঁচ লক্ষ টাকার জালনোট তৈরি করা কোনও ব্যাপার নয়। যে সূক্ষ্ম পেপারে জালনোট ছাপা হয়, প্রথমে তার উপর ‘পলি কেমিক্যাল স্পেকট্রাম’ দিয়ে জলছাপ বসানো হয়। এই রাসায়নিক এখন ঢাকা শহরেই তৈরি হচ্ছে। তারপর ওই কাগজের উপর সিকিউরিটি থ্রেট বসিয়ে শুকোতে দেওয়া হয়। শেষে ল্যাপটপে আসল নোটের গ্রাফিক্স ব্যবহার করে ওই সূক্ষ্ম পেপারে প্রিন্ট করা হয়। ছাপা হয়ে গেলে সাইজ অনুযায়ী কেটে তা পাঠিয়ে দেওয়া হয় এজেন্টের কাছে। এই জালনোট একাধিকবার হাতবদল হয়ে চলে আসে ভারতীয় সীমান্তে। এই হাতবদল পর্বে বেশ কিছু মহিলাকে ব্যবহার করছে পাচারকারীরা। 
মাস ছ’য়েক আগে ৪৬ লক্ষ টাকার জালনোট সহ বাংলাদেশ পুলিস ঢাকা থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছিল। তার মধ্যে পিয়াস ও ইনাম নামে দু’জন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ছিল। তারা ঢাকার কামরাঙ্গিচরে জালনোট তৈরি করছিল। তার কয়েকমাস আগে ঢাকার মহম্মদপুর নুরজাহান রোডেও একটি বাড়িতে হানা দিয়ে দু’জন মহিলা এবং হুমায়ুন কবীর নামে এক কারিগরকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিস। তারাও সেখানে জালনোট তৈরির কাজ করত। এই কারবারে হুমায়ুনের মতো পুরনো কারিগরদের চাহিদা বেশি। কারণ, তারা নিখুঁতভাবে জলছাপ ও সিকিউরিটি থ্রেট বসাতে পারে। হুমায়ুন ২০০৮ সাল থেকে জালনোটের মামলায় এখনও অবধি ছ’বার জেল খেটেছে। নতুন পদ্ধতিতে বর্তমানে জালনোট ছাপাচ্ছে জেল ফেরত জীবন, আল আমিন, বাদল, জামাল সহ একাধিক পুরনো কারিগর। এদের নাম হাতে এসেছে ভারতীয় গোয়েন্দাদের।

18th     January,   2022
 
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ