বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
কলকাতা
 

জমা জলের সমস্যা
দূর করাই মূল লক্ষ্য

এবারই প্রথম লড়ছেন পুরভোটে। তবে ভোটের মেজাজ তাঁর মজ্জায়। পারিবারিক আঙিনাতেই রাজনীতিতে হাতেখড়ি। পরিষদীয় রাজনীতি, পুর প্রশাসনে শোভন-পর্ব শেষ হতেই উন্নয়নকে হাতিয়ার করে পথে নেমেছেন তিনি। রত্না চট্টোপাধ্যায়। গত চার বছর ধরে ব-কলমে চালিয়েছেন ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের রাজ্যপাট। সাক্ষাৎকারে ‘বর্তমান’-এর প্রতিনিধি স্বার্ণিক দাসকে সেই অভিজ্ঞতাই জানালেন তিনি।

প্রশ্ন: প্রথমবার দাঁড়িয়েই বিধায়ক, এবার পুরভোটে তৃণমূলের আস্থার মর্যাদা রাখার পালা। মানুষের সমর্থন পেতে তুরুপের তাস কী? 
উত্তর: তুরুপের তাস বলে কিছু নেই। গত চার বছর ধরে ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডে কোনও কাউন্সিলার নেই। এই সময়ে আমি কো-অর্ডিনেটরের ভূমিকা পালন করেছি। নির্বাচিত প্রতিনিধি না হলেও আমি ওয়ার্ডের মানুষের সুবিধা-অসুবিধা দেখেছি। আমার মনে হয়, মানুষের প্রতি এই দায়বদ্ধতাই আমাকে জয় এনে দেবে।

প্রশ্ন: শোভনবাবু দল ছাড়ার পর আপনি বেশ কয়েক বছর ধরে ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটরের ভূমিকা পালন করেছেন। কী কী সমস্যা নজরে এসেছে? 
উত্তর: এখানে মূল সমস্যা হল জল জমা। বেহাল নিকাশি ব্যবস্থার জন্যই মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এটি মহেশতলা পুরসভা লাগোয়া অঞ্চল। একটু বৃষ্টি হলেই ওই এলাকা ও দ্বিজেন মুখার্জি রোড জলমগ্ন হয়ে পড়ে। ফলে অসুবিধার মধ্যে পড়েন এই ওয়ার্ডের মানুষ। এটাই সবচেয়ে বড় সমস্যা বলে আমার মনে হয়। 

প্রশ্ন: অল্প বৃষ্টিতেই জলমগ্ন হয়ে পড়ে পর্ণশ্রী এলাকা। পুরভোটে জিতলে সেই জল-যন্ত্রণা দূর করতে আপনার পরিকল্পনা কী?  
উত্তর: ১৯৮৫ সাল থেকে এই ওয়ার্ডে নিকাশির সমস্যা রয়েছে। তিন কাউন্সিলারের (রাধারমন ঘোষ, শোভা ঘোষ, শোভন চট্টোপাধ্যায়) আমল পার হয়ে গেলেও জল-যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাননি বাসিন্দারা। আমি ভোটে জিতলে এটাই হবে আমার প্রথম কাজ। কলকাতা পুরসভার মেয়র ও নিকাশি বিভাগের আধিকারিকদের নিয়ে 
এলাকা পরিদর্শন করব। মানুষকে সুরাহা দেওয়াই আমার লক্ষ্য।

প্রশ্ন: আর কী কী কাজ বাকি রয়েছে বলে আপনি মনে করেন? 
উত্তর: (১) ওয়ার্ডের কিছু কিছু এলাকায় পরিস্রুত পানীয় জলের চাপ কম। বিশেষত, ওয়ার্ডের ধার বরাবর এলাকায় এই সমস্যা বেশি। কো-অর্ডিনেটর থাকাকালীন আমি একাধিক অভিযোগ পেয়েছি। তখন ইঞ্জিনিয়ারদের ডেকে এনে পাইপলাইন মেরামত করিয়েছি। জলের চাপ কিছুটা হলেও বেড়েছে। তবে এখনও এমন কিছু এলাকা রয়েছে, যেখানে জলের জোগান বাড়াতে হবে।
(২) সূর্য সঙ্ঘ ক্লাবের পাশে একটি পুকুরকে সুইমিং পুল বানানোর চেষ্টা হয়েছিল। তবে তা শুরু হলেও মাঝপথে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। কেন তা বন্ধ হয়েছিল, তা কেউ জানে না। জিতলে সুইমিং পুলের কাজে হাত দেব। ওটা নিয়ে মানুষের ক্ষোভ রয়েছে। 

প্রশ্ন: শোভন চট্টোপাধ্যায়ের গড় বেহালা পূর্ব থেকে বিধায়ক, এবার তাঁরই ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রার্থী আপনি। সেন্টিমেন্টের প্রভাব কতটা? 
উত্তর: আমার প্রতি মানুষের একটা সেন্টিমেন্ট রয়েছে। সেটি বেহালা পূর্বের বিধানসভা নির্বাচনেও ছিল। এই ওয়ার্ডে তো রয়েছেই। কারণ এখানকার মানুষ দেখেছেন আমার উপর কী অন্যায় হয়েছে। শোভনবাবু যতই বলুক আমি এই করেছি, সেই করেছি। ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষ রত্না চট্টোপাধ্যায়কে বাই ফেস-এ চেনে। তাঁরা জানেন আমি কেমন। আগে আমি হয়তো সামনে থেকে রাজনীতি করতাম না। তবে আমার সঙ্গে প্রথম থেকেই এলাকাবাসীর ভালো সম্পর্ক।

প্রশ্ন: শোভন চট্টোপাধ্যায় ১৩১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ভালো মার্জিনে জিতে মেয়র হয়েছিলেন। এবার সেই ওয়ার্ডেই বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায় নিজেকে কি তাঁর থেকে এগিয়ে রাখছেন?
উত্তর: না। এটা সম্পূর্ণ ভুল। আমি একেবারেই বিধায়ক হিসেবে পুরভোটের ময়দানে নামিনি। নির্বাচিত না হয়েও গত চার বছর ‘কাউন্সিলার’-এর মতোই দায়িত্ব পালন করেছি। মানুষ আমাকে সেভাবেই দেখেছেন। এখানে এলাকার মেয়ে, এলাকার বউ, এলাকার দিদি হিসেবেই সবাই আমাকে চেনেন, পছন্দ করেন।

প্রশ্ন: কাউন্সিলার হলে পাঁচ বছরে এলাকার উন্নয়ন নিয়ে আপনার ভাবনা কী?
উত্তর: পাঁচ বছরে ওয়ার্ডের পাঁচটি মূল সমস্যার স্থায়ী সমাধানই আমার লক্ষ্য। 
(১) নিকাশি ব্যবস্থা
(২) অর্ধেক কাজ হওয়া সুইমিং পুলের নির্মাণ সম্পূর্ণ করা ও সৌন্দর্যায়ন
(৩) চাহিদা মতো জল সরবরাহ
(৪) জঞ্জাল পরিষ্কার
(৫) পুকুরগুলির সংস্কার ও সৌন্দর্যায়ন

7th     December,   2021
 
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ