বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
কলকাতা
 

বামেদের কাছে ভোট-আর্জি
তৃণমূল প্রার্থী ক্ষিতি কন্যার

 

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: একটা করে ভোট শেষ হয়। আর সিপিএম বলে, পরাজয় থেকে শিক্ষা নিতে হবে। এরই মধ্যে চলে আসে পরের ভোট। তখনও সেই একই বুলি!  একের পর এক হারের পর এখন বিধানসভা, লোকসভায় সিপিএমের আসন সংখ্যা শূন্যে নেমে এসেছে। তারপরও আলিমুদ্দিনের কর্তাদের গলায় শোনা যায়, সেই একই সুর! এই শিক্ষা নেওয়ার পালার শেষ কবে, সেই প্রশ্নটাই তুলে দিল তৃণমূল। কলকাতা পুরভোটে প্রার্থী তালিকা ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দলের মুখপত্রে তৃণমূল লিখেছে, ‘কবে যে বামেদের শিক্ষা হবে কে জানে!’ বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে কংগ্রেসের মতো বামেরাও যে চূড়ান্ত ব্যর্থ, সেই বার্তাটাই স্পষ্ট করে জানান দিয়েছে রাজ্যের শাসক শিবির। যে কারণে জোড়াফুল প্রতীক হাতে ভোট ময়দানে নেমে পড়েছেন বাম সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী ক্ষিতি গোস্বামীর কন্যা বসুন্ধরা। বামপন্থীদের কাছে আবেদন জানিয়েছেন, তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার জন্য।‌ দল ছেড়ে তৃণমূলে শামিল হয়ে সিপিএমের চিন্তা আরও বাড়িয়েছেন ৭৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর বিলকিস বেগম।
আগামী ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা পুরসভার ভোট। শুক্রবার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে তৃণমূল ও বামফ্রন্ট। প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরদিন, শনিবার তৃণমূলের মুখপত্র জাগো বাংলায় লেখা হয়েছে, সিপিএমের ক্রমাগত ভুল এবং ভোটের পর শিক্ষা নেওয়ার প্রসঙ্গ। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএম হাজির করেছিল ‘বিজেমূল’ তত্ত্ব। কিন্তু বিধানসভা ভোটে শূন্য হওয়ার পর আলিমুদ্দিনের কর্তারা প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন, ‘বিজেমূল’ বলাটা ভুল ছিল। পুরভোটের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর তৃণমূল ও বিজেপিকে হারানোর কথা উল্লেখ করেছেন সিপিএম নেতারা। এমনকী নিজেদের রক্তক্ষরণ বন্ধে, তৃণমূলকে হারানোটাই যে প্রধান দাওয়াই, তারও উল্লেখ করেছিলেন লালপার্টির নেতারা। এখানেই তৃণমূল দলের মুখপত্রে লিখেছে, ‘বিধানসভা থেকে উপনির্বাচন যাদের লড়াই বিজেপির সঙ্গে দ্বিতীয় আর তৃতীয় হওয়ার জন্য, তারা বিজেপি আর তৃণমূলের বিভেদ করতে পারছে না। অন্যদিকে বামেরা এটাও স্বীকার করছে, আন্দোলনে জনবিচ্ছিন্নতাও বেড়েছে। একটা সময় ৬০-৬১ জন সাংসদ নিয়েও কেন্দ্রে কোনও কাজের কাজ করতে পারেনি বামেরা। শুধু সমালোচনা করবে। ফলে সরকার থেকে সরেছে, পুরসভা থেকে গিয়েছে, এমনকী পঞ্চায়েত থেকেও গিয়েছে। মানুষের থেকে দূরে সরেছে।’এই পরিস্থিতিতে পুরভোটের প্রচার যখন তুঙ্গে, তখন তৃণমূল এটাও দাবি করেছে, এবারও বামেদের  ফলাফল খারাপ হবে। তাই জাগো বাংলায় কটাক্ষের সুরে লেখা হয়েছে, ‘ডিসেম্বরে ভর শীতে শূন্যতে দাঁড়িয়ে তারা হয়তো বলবে, আমাদের এই ভোট থেকেও শিক্ষা নিতে হবে। কেরলের পার্টিকে দেখেও কিছুটা শিখতে পারে বাংলার সিপিএম।’ এদিকে, ৯৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী ক্ষিতি গোস্বামীর মেয়ে বসুন্ধরা বলেছেন, মানুষের জন্য লড়াইটা তো করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর কোনও রাজনৈতিক দল তো নেই। ফলে সকলের কাছে আবেদন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্তিশালী করুন। পাশাপাশি পুরভোটের টিকিট না পেয়ে বাম নেতাদের উপর ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তে ১০ বছরের সিপিএম কাউন্সিলর বিলকিস বেগম। শনিবার ফিরহাদ হাকিমের হাত ধরে তিনি তৃণমূলে যোগদান করেন। বামফ্রন্টের কলকাতা জেলার আহ্বায়ক কল্লোল মজুমদার বলেছেন, বামপন্থীরা বামপন্থীদেরই ভোট দেবে।  
বিলকিস বেগমকে তৃণমূলের পতাকা তুলে দিচ্ছেন ফিরহাদ হাকিম। - নিজস্ব চিত্র

28th     November,   2021
 
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ