বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
কলকাতা
 

ভস্মীভূত তিন গাড়ি...। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে চাঁদনি চক এলাকার ম্যাডন স্ট্রিটে। প্রথমে একটি গাড়ির বনেট থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। নিমেষে সেটি দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে। সেটি থেকে বাকি দু’টি গাড়িতেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। দমকলের তিনটি ইঞ্জিন আগুন নেভায়। যান্ত্রিক গোলযোগ ও তীব্র গরমের জন্যই এই ঘটনা বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান দমকলের। -নিজস্ব চিত্র

জোড়া খুন কাণ্ডে ধৃত পরিচারিকা
পুলিসের নজরে মিঠুর ছেলে

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ডায়মন্ডহারবার পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ড। ভাড়াবাড়ির উঠোনে রক্তমাখা জামা কাচতে বসেছিলেন মিঠু হালদার— কর্পোরেট কর্তা সুবীর চাকির বাড়ির প্রাক্তন পরিচারিকা। বিষয়টি চোখে পড়ে যায় বাড়ির মালকিনের। সেই সূত্র ধরেই ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মিলল খুনির খোঁজ। গড়িয়াহাটের জোড়া খুন কাণ্ডে বুধবার রাতে গ্রেপ্তার করা হল পরিচারিকা মিঠু হালদারকে। আজ, বৃহস্পতিবার ধৃতকে আলিপুর আদালতে পেশ করা হবে। ঘটনায় তাঁর বড় ছেলে ভিকি এবং এক ভাইয়ের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে কলকাতা পুলিস। নজরে রয়েছে ভিকির কয়েকজন বন্ধুও। তদন্তকারীদের অনুমান, কাঁকুলিয়া রোডের বাড়িটি কিনতেই চেয়েছিল মিঠু ও তাঁর ছেলে। দরদাম নিয়ে গণ্ডগোল এবং চিনে ফেলার জেরেই কর্পোরেট কর্তা ও তাঁর গাড়িচালককে খুন করা হয়।
প্রাথমিক তদন্তে খুনিরা যে সুবীরবাবুর পরিচিত সেকথা বুঝতে পেরেছিলেন গোয়েন্দারা। পুলিস কুকুর বালিগঞ্জ স্টেশন পর্যন্ত যাওয়ায় এই ঘটনায় দক্ষিণ ২৪ পরগনা যোগের সম্ভাবনার কথাও মাথায় ছিল। সেইমতো শুরু হয় খোঁজ। খুনের সময় ওই এলাকায় থাকা ব্যক্তিদের ‘মোবাইল টাওয়ার ডাম্প’-এর সূত্র ধরেই উঠে আসে মিঠুর নাম। এমনকী, সুবীরবাবুর বাড়ির সামনে থাকা একটি সিসিটিভি ফুটেজেও তাঁকে দেখা যায়। জেলা পুলিস সূত্রে খবর, কাঁকুলিয়া রোডের বাড়িতে সুবীরবাবুর অসুস্থ মায়ের আয়ার কাজ করতেন মিঠু। একটা সময় পর্যন্ত বাড়ির চাবিও থাকত তাঁর কাছে। দক্ষিণ কলকাতায় পরিচারিকার কাজের সুবাদে ট্রেন লাইন সংলগ্ন এলাকায় দালালচক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। বছর দুয়েক আগে ওই বাড়িটি বিক্রি করতে চেয়ে বিজ্ঞাপন দেন কর্পোরেট কর্তা। তারপরেই কোমর বেঁধে নামেন মিঠুরা।
গতকালই এই পরিচারিকার খোঁজ পেয়েছিল পুলিস। কিন্তু ডায়মন্ডহারবার পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে তাঁর ঠিকানা ছিল তালাবন্ধ। এদিন সকালে খবর পেয়ে ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাড়ি থেকে আটক করা হয় মিঠু ও তাঁর স্বামীকে। যদিও পুলিস সূত্রে খবর, বছরখানেক আগে স্বামীর ঘর ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন মিঠু। এমনকী স্বামীকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার হন তিনি ও তাঁর বড় ছেলে। গত ডিসেম্বর মাসে সেই মামলায় জামিন পেয়েছিলেন দু’জনে। তখনই গড়িয়াহাটের কাঁকুলিয়া রোডে চলে এসেছিলেন মিঠুর স্বামী। জামিন পাওয়ার পর তাঁরা আবার একসঙ্গে থাকার চেষ্টা করছিলেন। সেই সূত্রেই এই বাড়িটি কেনার চেষ্টা। খুনের তদন্তে নেমে অন্য দালালদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস। ফোনে তাঁদের সঙ্গে মিঠুর যোগাযোগের প্রমাণও মেলে। তার ভিত্তিতেই এদিন সকালে প্রথমে তাঁকে আটক করা হয়। রাতে মিঠুকে গ্রেপ্তারির কথা ঘোষণা করেন যুগ্ম কমিশনার (অপরাধদমন) মুরলীধর শর্মা। সূত্রের খবর, এই ঘটনায় মোট ছ’জন জড়িত বলে অনুমান গোয়েন্দাদের।
জানা গিয়েছে, বিজ্ঞাপন দেখে প্রথমে সুবীরবাবুর সঙ্গে দু’বার যোগাযোগ করেছিলেন ভিকি এবং মিঠু। বাড়িটি দেখেও যান। কিন্তু দর নিয়ে ঝামেলায় সে চেষ্টা এগয়নি। সম্প্রতি ভিকি কাজ পায় কলকাতায়। সেই সুবাদে তাঁর যোগাযোগ গড়ে ওঠে দালাল মহলে। বাড়িটি অবিক্রীত দেখে অন্য ক্রেতার ভেক ধরে ফের সুবীরবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করেন ভিকি। টোপ দেন কাগজপত্র নিয়ে দেখা করার। কিন্তু এবার তাঁর পরিকল্পনা ছিল খুনের। মুখোমুখি হয়ে দেড় কোটির পরিবর্তে মাত্র ৭০ লক্ষ টাকা দর দেন ভিকি। তাতে বিরক্ত হন সুবীরবাবু। ভিকিদের চিনে ফেলেন গাড়িচালক রবীন মণ্ডল। সেই বিবাদের জেরে শেষপর্যন্ত খুন বলে অনুমান পুলিসের। জানা গিয়েছে, সুবীরবাবুর একটি আংটিও ঘটনাস্থল থেকে উধাও। এখনও সেটির খোঁজ মেলেনি।
 

21st     October,   2021
 
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ