বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
কলকাতা
 

বারুইপুরে সেলফি তুলতে গিয়ে ঝিলে পড়ে
মৃত্যু তরুণের, পাঁচ ঘণ্টা পর মৃতদেহ উদ্ধার

সংবাদদাতা, বারুইপুর: ভদ্রেশ্বরের পর এবার বারুইপুর! রেললাইনের পাশে দাঁড়িয়ে মোবাইল ফোনে ভিডিও তুলতে গিয়ে শুক্রবার ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয় ভদ্রেশ্বরের এক কিশোরের। এবার ঝিলের পাড়ে ভাঙা চাতালের উপর দাঁড়িয়ে সেলফি তুলতে গিয়ে তলিয়ে গেল এক পড়ুয়া। প্রায় ৫ ঘণ্টা তল্লাশির পর তার দেহ উদ্ধার করা হয়। বারুইপুর থানার সাউথ গড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সুভাষগ্রাম পাওয়ার গ্রিড সংলগ্ন আকনা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। পুলিস জানিয়েছে, মৃতের নাম বাবাই দাস (১৮)। এলাকায় আসে মল্লিকপুর পুলিস ক্যাম্প ও বারুইপুর থানার পুলিস। তারা দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান, বাবাই সাঁতার জানত না। ঝিলটি অনেক বেশি গভীর হওয়ায় তলিয়ে যায় সে। 
বারবার এই ধরনের দুর্ঘটনায় উদ্বেগ বাড়ছে অভিভাবকদের মধ্যে। বিপজ্জনক জায়গায় দাঁড়িয়ে সেলফি 
বা ভিডিও তোলার প্রবণতা কমবয়সিদের মধ্যে সংক্রামিত হচ্ছে। মনোবিদ সহ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অভিভাবকদের আরও দায়িত্বশীল হতে হবে। তাঁদের থেকেই সচেতনতার পাঠ পেলে এই ধরনের ঘটনা কমবে। 
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে খবর, বাবাই কড়েয়া থানার তিলজলা এলাকার বাসিন্দা। আদি বালিগঞ্জ হাইস্কুলের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র সে। শনিবার বিকেলে সে মল্লিকপুরে তার বন্ধু নবি আহমেদের বাড়িতে বেড়াতে যায়।  রবিবার সকালে বাবাই, নবি আহমেদ ও তার ভাই নবি আখতার  তাদের বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দূরে আকনায় ঘুরতে যায়। বাবাইয়ের সেলফি তোলার ঝোঁক আগে থেকেই ছিল। ঝিলের পাড়ে ভাঙা চাতালে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলতে গেলে আচমকা পা পিছলে জলে পড়ে যায় সে। বন্ধু নবি আহমেদ বলে, আমরা ওকে টেনে তোলার চেষ্টা করি। কিন্তু আমরাই পিছলে পড়ে যাচ্ছিলাম। বাবাই ক্রমেই জলে তলিয়ে যেতে থাকে। আমার ভাই সাঁতার জানে না। ও রাস্তায় উঠে লোকজনকে ডাকতে থাকে। কিন্তু কাউকে দেখা যায়নি। গাছের ডাল ফেলে দিই জলে। তাও শেষ রক্ষা হয়নি। এদিন স্থানীয় মৎস্যজীবীরা জলে নেমে তল্লাশি চালান। তাতেও দেহের হদিশ না পাওয়া গেলে খবর দেওয়া হয় ডুবুরিদের এবং আলিপুরের বিপর্যয় মোকাবিলা দলকে। এর মধ্যে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা ঝিলে জাল ফেলে দেহ উদ্ধারের চেষ্টা চালান। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পর বাবাইয়ের দেহ ভেসে ওঠে জলে। বাবাইয়ের মা পরিচারিকার কাজ করেন। তারা দুই ভাই। মা মুন্নি দাস বলেন, মাধ্যমিক পাশ করার পর মোবাইল কিনে দিয়েছিলাম ছোট ছেলেকে। সেটাই ওর জীবন কেড়ে নিল।

18th     October,   2021
 
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ