বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
কলকাতা
 

স্রেফ মাস্টার ডিগ্রির নম্বর মেনে ইন্টারভিউয়ে
ডাক অধ্যাপক নিয়োগে বৈষম্যের অভিযোগ
পিএসসি

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে সরকারি কলেজ শিক্ষক নিয়োগের পদ্ধতিতে বঞ্চিত হচ্ছেন যোগ্য প্রার্থীদের অনেকে। এমনই অভিযোগ করছেন আবেদনকারীরা। করোনা পরিস্থিতিতে লিখিত পরীক্ষা বাতিল হওয়ায় স্রেফ ইন্টারভিউয়ের ভিত্তিতে নিয়োগ করা হবে তাঁদের। আর ইন্টারভিউয়ে ডাকার মাপকাঠি স্রেফ মাস্টার ডিগ্রির নম্বর হওয়াকেই বৈষম্যের উৎস বলে দাবি প্রার্থীদের।
মাস্টার ডিগ্রির নম্বরের ভিত্তিতে বিষয় পিছু গড়ে শ’তিনেক আবেদন বাছাই করেছিল (শর্টলিস্ট) পিএসসি। তা থেকে আবার প্রতি বিষয়ে প্রতিটি শূন্যপদ পিছু তিনজনকে ইন্টারভিউয়ে ডাকা হয়েছে। ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ইন্টারভিউ হওয়ার কথা (ফিজিক্যাল এডুকেশনের ইন্টারভিউ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে)। আর এখানেই আপত্তি আবেদনকারীদের। তাঁরা বলছেন, মাস্টার ডিগ্রির নম্বর কখনও আদর্শ মাপকাঠি হতে পারে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর মাস্টার ডিগ্রির নম্বর নির্ভর করে। এছাড়াও, এক-এক বছর এক-একরকম নম্বর ওঠে। চয়েস বেসড ক্রেডিট সিস্টেম বা সিবিসিএস পদ্ধতি চালু হওয়ার ফলে নম্বরের হার বেড়েছে। তার আগে যাঁরা পাশ করে বেরিয়েছেন, তাঁদের নম্বরের হার খুবই কম। এছাড়াও, স্পেশাল পেপারের ধরনের উপরও নম্বরের হার নির্ভর করে। তাই এসব ক্ষেত্রে বৈষম্য হচ্ছেই। তবে, সবচেয়ে বেশি বৈষম্যের কারণ এক-একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আলাদা আলাদা স্কোরিং পদ্ধতি।
কতটা ফারাক হতে পারে এই স্কোরিং পদ্ধতিতে? উত্তরপ্রদেশের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলায় এমএ করে ৯০ শতাংশের বেশি নম্বর হামেশা পাওয়া সম্ভব। সেটা এরাজ্যে ভাবাই যায় না। ওড়িশার নামী একটি বিশ্ববিদ্যালয়ও প্রচুর নম্বর দেয়। এক গবেষক বলেন, ফিলোজফির মতো বিষয়ে যে কারও এমএ-তে ১০০ শতাংশ নম্বর উঠতে পারে, তা না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। এক্ষেত্রে তাও হয়েছে। বিশ্বভারতী সহ রাজ্যের যেকোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম হওয়া পড়ুয়াও এই নম্বরের বন্যায় প্রথম একশোয় থাকতে পারবেন না। চাকরি পাওয়া তো দূর অস্ত। এই বৈষম্য দূর করা যায় কীভাবে? আবেদনকারীরা বলছেন, ইন্টারভিউটা ভালো করে দিয়ে নিজেকে প্রমাণের একটা শেষ চেষ্টা করা যেতে পারে। তাই বাছাই করে যাঁদের শর্টলিস্টে রাখা হয়েছিল, তাঁদের সবাইকেই ইন্টারভিউয়ে ডাকা হোক। সেটা সম্ভব না-হলে, যাচাই করা হোক এপিআই স্কোর। তাতে মাধ্যমিক থেকে পিএইচডি স্কোর গ্রাহ্য হোক, দেখা হোক প্রকাশিত গবেষণাপত্র, শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা প্রভৃতি। তবে, সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য পদ্ধতি হিসেবে উঠে আসছে পরীক্ষা গ্রহণই। সপক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে তাঁরা বলছেন, ডব্লুবিসিএস-এর লিখিত পরীক্ষা কিন্তু পিএসসি এই করোনাকালেই নিয়েছে।
পিএসসির চেয়ারম্যান দেবাশিস বসু বলেন, পরীক্ষা না-হলে যে এভাবে প্রার্থী বাছাই করা হতে পারে, তা ২০১৯ সালে প্রকাশিত বিজ্ঞাপনেই বলা ছিল। এমএ-তে ৫৫ শতাংশ নম্বর এবং নেট-সেট উত্তীর্ণ হওয়া আবেদনের ন্যূনতম যোগ্যতা। তাই এটাকে মাপকাঠি করলে অসুবিধা কোথায়? পিএইচডি-কে মাপকাঠি ধরা সম্ভব নয়। কারণ সবার তা নাও থাকতে পারে। বিশ্বভারতীর গবেষিকা এবং অন্যতম আবেদনকারী মীনাক্ষী ভট্টাচার্য বলেন, যে-সময় বিজ্ঞাপন বেরিয়েছিল, তখন করোনার কথা কারও মাথায় আসেনি। পরীক্ষায় বসার জন্যই সবাই এত টাকা দিয়ে ফর্ম পূরণ করেছিল। সেটা যদি একান্তই অসম্ভব হয়, তাহলে শর্টলিস্ট হওয়া প্রত্যেককে ইন্টারভিউয়ে বসার সুযোগ দেওয়ার জন্য পিএসসিকে আবেদন জানাচ্ছি।

23rd     September,   2021
 
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ