বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
কলকাতা
 

সোনারপুর, বারুইপুর, মহেশতলায়
জমা জলে চরম ভোগান্তি, ক্ষোভ

 

সংবাদদাতা, বারুইপুর, বজবজ: দু’দিন কেটে গেলেও জমা জলে নাজেহাল বারুইপুর, সোনারপুর-রাজপুর, জয়নগর, মহেশতলা পুর এলাকার বাসিন্দারা। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন তাঁরা। বড় রাস্তা কিংবা ঘর থেকে অলিগলি, সর্বত্র কোথাও হাঁটুসমান জল, কোথাও বা কোমর পর্যন্ত। অভিযোগ, জল জমে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। বাড়ছে মশার দাপট। জলে যত্রতত্র ঘুরে বেড়াচ্ছে সাপ, ব্যাঙ। বেহাল নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে সরব হয়েছেন ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। কবে জল নামবে,  তা সঠিক বলতেও পারছেন না পুরপ্রশাসকরাই। আর তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন বাসিন্দারা। 
বারুইপুর পুরসভার ১০ ও ১১ নম্বর ওয়ার্ডের গোলপুকুর, বিদ্যাসাগর পল্লি থেকে শুরু করে ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ১৩, ১৪, ১৫, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিস্তীর্ণ এলাকা এখনও জলমগ্ন। বাসিন্দাদের ঘরে ঘরে জল। কার‌ও বাড়ির একতলায় জল জমে গিয়ে পরিবার কোনও ক্রমে খাটে  আশ্রয় নিয়েছে। কোনও বাসিন্দার রান্নাঘরে গ্যাস চলে গিয়েছে জলের তলায়। বেশ কিছু জায়গায় ট্যাপকল, টিউবওয়েল জলের তলায়। ফলে পানীয় জলের সঙ্কট তৈরি হয়েছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, বেহাল জল নিকাশি ব্যবস্থার জন্য এই পরিস্থিতি। নিয়মিত নর্দমা পরিষ্কার হয় না। কোনও ক্রমে একটি করে পাম্প চালানো হচ্ছে আদি গঙ্গার কাছে। সেই পাম্প খারাপ হয়ে গেলে নতুবা তেল ফুরিয়ে গেলে পড়ে থাকছে।  পুরকর্তাদের সাফাই, রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে এবার। আদি গঙ্গার জল বেড়ে যাওয়ায় পাম্পের মাধ্যমে জল নিয়ে যাওয়া হলেও তা ফেলা যাচ্ছে না। যদিও পুর এলাকায় ৬টির মত পাম্প চলছে। আদি গঙ্গার কাছেই ২টি পাম্প চলছে।
একই অবস্থা সোনারপুর-রাজপুর পুরসভা এলাকায়। পুরপ্রশাসকের  নিজেরই ২০ নম্বর ওয়ার্ড সহ সুভাষগ্রাম রেলগেট, সুভাষ পার্ক, কোদালিয়া, মিশনপল্লি, গ্রিন পার্ক, রামকৃষ্ণপল্লি, ঘাসিয়াড়া ফি বছরের মতো জলমগ্ন হয়েছে। কোমর সমান জল দাঁড়িয়ে আছে রাস্তায়। সোনারপুর বিএলআরও অফিস পর্যন্ত জল জমে। বৈকুণ্ঠপুর বাজার জলের তলায়। পুরপ্রশাসনের বেহাল নিকাশি ব্যবস্থাকে কাঠগড়ায় তুলেছেন বাসিন্দারা। জলবাহিত রোগের আশঙ্কা করছেন তাঁরা। খোদ পুর এলাকার বেশ কিছু ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের ত্রাণ শিবিরে সরিয়ে ফেলতে হয়েছে। আবার বহু ওয়ার্ডে প্রচুর মানুষজনের বাড়ির ভিতরে জল ঢুকে যাওয়ায় সেখানে রান্না করা খাবার পাঠাতে হয়েছে। প্রশাসক পল্লব দাস বলেন, বৃষ্টি আর না হলে জল নেমে যাবে এক বা দু’দিনের মধ্যেই।
অন্যদিকে, মহেশতলা পুরসভার ৪, ৫, ৬, ৮, ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ঘরে ঘরে জল ঢুকেছে। মঙ্গলবার দুপুরে এই জলযন্ত্রণার প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করেন বাসিন্দারা। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে নিকাশি নালা সংস্কার হয় না। যদিও মহেশতলা পুর প্রশাসক ও বিধায়ক দুলাল দাস, তাপস হালদার এসে আশ্বাস দিয়েছিলেন, কিন্তু কাজ হয়নি। প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য তাপস হালদার বলেন, কয়েকটি জায়গায় পাম্প বসানো হয়েছে। মণিখাল সংস্কার হলে এমন হবে না। কলকাতা পুরসভা ও সেচদপ্তরের সঙ্গে কথা হয়েছে। পুজোর পরেই তা হবে।

22nd     September,   2021
 
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ