বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
কলকাতা
 

ভস্মীভূত তিন গাড়ি...। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে চাঁদনি চক এলাকার ম্যাডন স্ট্রিটে। প্রথমে একটি গাড়ির বনেট থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। নিমেষে সেটি দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে। সেটি থেকে বাকি দু’টি গাড়িতেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। দমকলের তিনটি ইঞ্জিন আগুন নেভায়। যান্ত্রিক গোলযোগ ও তীব্র গরমের জন্যই এই ঘটনা বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান দমকলের। -নিজস্ব চিত্র

জঙ্গল খোলা নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণে
পুজোর বুকিংয়ে আগ্রহ নেই পর্যটকদের

নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: করোনার তৃতীয় ঢেউ আসবে কি না, তার কথা না ভেবেই পুজোয় বেড়ানোর পরিকল্পনা ছকে ফেলেছে ভ্রমণ পিপাসু বাঙালি। চার মাস আগে টিকিট দেওয়া শুরু হতেই উত্তরবঙ্গমুখী সব ট্রেনের বুকিং প্রায় নিঃশেষিত। সেখানে হোটেল বুকিংয়ের হারও বেশ ভালো। কিন্তু উল্টো ছবি সুন্দরবনে। জঙ্গল কবে খুলবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকায় এদিকে তেমন মুখ ফেরাচ্ছেন না পর্যটকরা। ফলে পুজোর এক মাস আগেও সেভাবে বুকিংই শুরু হয়নি সুন্দরবনের হোটেল ও অতিথিশালাগুলিতে। আক্ষেপের সুরেই কথাগুলি বলছিলেন হোটেল মালিকরা। ফলে এবারের পুজোয় ব্যবসা নিয়ে তাঁরা যে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন, তা তাঁদের কথাতেই স্পষ্ট।
জঙ্গলে বেড়ানোর আদর্শ জায়গা সুন্দরবন। নদী হুকে বোট সাফারি, বন্যপ্রাণী দেখার অনুভূতি আর কোনও জঙ্গলে পাওয়া যাবে না। কপাল ভালো হলে দক্ষিণরায়েরও দেখা মিলতে পারে। পুজোর আগে থেকেই মোটামুটি পর্যটকদের আনাগোনা শুরু হয়ে যায়। কিন্তু করোনার জেরে সেসব এখন অতীত। গত বছর জঙ্গল বন্ধ থাকার কারণে পুজোর মরশুমে সেভাবে বুকিং হয়নি। এবারও প্রায় একই পরিস্থিতি। চন্দন গিরি নামে এক হোটেল মালিক বলেন, জঙ্গল খোলার ব্যাপারে এখনও কোনও ঘোষণা হয়নি। তাই পর্যটকরা পুজোর সময় এখানে হোটেল বুকিংয়ে তেমন আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। সবাই ফোন করে জিজ্ঞাসা করছেন, জঙ্গল কবে খুলবে? সুন্দরবন হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক প্রবীর সিনহা রায়ের কথায়, জঙ্গল কবে খুলবে কেউ জানে না। তাই পর্যটকরাও বুকিং করতে চাইছেন না। খোঁজ নিয়েই ফোন রেখে দিচ্ছেন। এতে পর্যটন শিল্প ব্যাপকভাবে মার খাচ্ছে। বর্তমানে সুন্দরবনে আসা যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই। পর্যটকরা নৌকায় করে নদী ভ্রমণ করছেন। কিন্তু খাঁড়িতে ঢোকার অনুমতি নেই। বিভিন্ন ওয়াচ টাওয়ার বন্ধ। তাই পর্যটকরা হতাশ। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে কে আসতে চাইবে, প্রশ্ন হোটেল মালিকদের। এদিকে, পুজোয় জঙ্গল খুলতে পারে, এই সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে চলতি সপ্তাহে হোটেল মালিক ও বোট মালিকদের সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকের কর্মসূচি রেখেছেন গোসাবার বিডিও। প্লাস্টিক ও থার্মোকলের প্লেটের ব্যবহার বন্ধে কী কী পদক্ষেপ করতে হবে, সে সব নিয়েই আলোচনা হবে বলে জানা গিয়েছে।
তবে এর মধ্যেও আশার আলো দেখছেন বকখালির হোটেল মালিকরা। তাঁরা জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত পুজোর বুকিং ১৫-২০ শতাংশ হয়েছে। যতদিন এগবে, বুকিং তত বাড়বে বলে আশাবাদী তাঁরা। তবে যাঁরা খোঁজখবর নিচ্ছেন, তাঁদের অনেকেই স্পট বুকিংয়ের ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন।

15th     September,   2021
 
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ