বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
কলকাতা
 

ভস্মীভূত তিন গাড়ি...। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে চাঁদনি চক এলাকার ম্যাডন স্ট্রিটে। প্রথমে একটি গাড়ির বনেট থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। নিমেষে সেটি দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে। সেটি থেকে বাকি দু’টি গাড়িতেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। দমকলের তিনটি ইঞ্জিন আগুন নেভায়। যান্ত্রিক গোলযোগ ও তীব্র গরমের জন্যই এই ঘটনা বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান দমকলের। -নিজস্ব চিত্র

বঙ্গভঙ্গ করতে দেব না: মমতা
বিজেপির ‘চক্রান্তে’র প্রতিবাদে সরব রাজ্যবাসী

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা ও শিলিগুড়ি: ‘বঙ্গভঙ্গ করতে দেব না। বাংলা, বাংলাই থাকবে।’ বিজেপির উত্তরবঙ্গকে পৃথক করার ‘চক্রান্তে’র বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাধারণ রাজ্যবাসীর মনের কথাই সোমবার উঠে এল নবান্নে। বিধানসভা নির্বাচনে শোচনীয়ভাবে পরাজয় হয়েছে বিজেপির। একমাত্র উত্তরবঙ্গে কিছুটা হলেও মুখরক্ষা হয়েছে। ভোটের পর প্রথমে বাংলায় হিংসা বাড়ছে অভিযোগ তুলে কেন্দ্রের দ্বারস্থ হয়েছে বঙ্গ বিজেপি। দ্বিতীয় পদক্ষেপই হচ্ছে উত্তরবঙ্গকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণার করার দাবি। তার বিরুদ্ধেই এদিন কড়া গলায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিজেপির দিকে একরকম চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেছেন, ‘কোনওরকম ডিভাইড অ্যান্ড রুল আমরা করতে দেব না। বাংলাকে পরাধীন করতে দেব না। বাংলার মানুষকে পরাধীন করতে দেব না। বাংলাকে ভাগ করতে চাওয়ার উপযুক্ত জবাব দেবে বাংলার মানুষ। কিছুদিন আগে ভোটে হেরেও ওদের শিক্ষা হয়নি।’
উত্তরবঙ্গের বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদ, রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষেরও একই বক্তব্য—বাংলাকে অশান্ত করতে চাইছে গেরুয়া শিবির। তীব্র জনরোষের মুখেও বিজেপি নেতারা অবশ্য নির্বিকার। বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলার সহ সভাপতি অলোক চক্রবর্তী এদিনও বলেছেন, ‘উত্তরবঙ্গে নিরাপত্তার অভাব চরম। ঢালাও অনুপ্রবেশ হচ্ছে। সার্বিক উন্নয়নে ব্যাপক খামতি। তাই আমরা চাই উত্তরবঙ্গকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করুক কেন্দ্রীয় সরকার। খুব শীঘ্রই এব্যাপারে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করব। বাদল অধিবেশনের আগে তা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে পাঠাব।’
রবিবার জলপাইগুড়িতে এক বৈঠকে সেই প্রস্তাব তোলা হলেও, বিষয়টি নিয়ে বিধানসভা ভোটের আগে থেকেই লড়ছে বিজেপি। উত্তরবঙ্গে প্রচারে আসা শীর্ষ নেতৃত্বকেও সেকথা জানানো হয়েছে। এই ‘চক্রান্ত’ সামনে আসামাত্রই সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন তিনি সাফ জানিয়েছেন, ‘বাংলার সমর্থন ছাড়া ওরা কিছুই করতে পারবে না। বিজেপি যদি মনে করে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার বিক্রি করে দেব, পারবে না। এতে নিশ্চয়ই ওদের কেন্দ্রের নেতাদের ইন্ধন রয়েছে। ওদের বলব এসব করবার চেষ্টা করবেন না।’
বাংলা ভাঙার এই ভাবনার তীব্র বিরোধিতা করেছেন জলপাইগুড়ির বাসিন্দা উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক  ডঃ আনন্দগোপাল ঘোষ। তিনি বলেন, এখানে এখন অনেক উন্নয়ন হয়েছে। আরও হচ্ছে। নিরাপত্তা ও অনুপ্রবেশ সহ অন্যান্য যে সমস্যাগুলোকে সামনে রেখে যারা এ ধরনের পরিকল্পনা নিচ্ছে, তা সঠিক নয়। ‘বঙ্গরত্ন’ সম্মানে ভূষিত অধ্যাপক ডঃ রাজা রাউত বলেন, ‘স্বাধীনতার আগের মুহূর্তে অবিভক্ত বাংলায় বিভিন্ন পুরসভার কাছে উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাষ্ট্রের একটা প্রস্তাব দিয়েছিলেন তৎকালীন হাওড়া পুরসভার চেয়ারম্যান। সে সময় জলপাইগুড়ি পুরসভা আলাদা রেজলিউশন করে তা খারিজ করে দেয়। আজ বিজেপির দৈন্যদশার জন্যই এ ধরনের রাজনীতির চেষ্টা চলছে।’ 
এ প্রসঙ্গে সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য বলেন, বিজেপি আসলে বাংলাকে অশান্ত করতে চায়। ভোটের আগে থেকেই সেই প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। ২০২৪ সালেই মানুষ ওদের স্বেচ্ছাচারিতার জবাব দেবে। কংগ্রেসের দার্জিলিং জেলা সভাপতি শঙ্কর মালাকার বলেন, অনেকদিন ধরেই বিজেপি এই খেলার চেষ্টা করছে। কখনও গোর্খাল্যান্ড, কখনও কামতাপুরী রাজ্য। এবার কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। আসলে ওদের কোনও অ্যাজেন্ডা নেই। কেবল মানুষকে খেপানোর চেষ্টা করছে। বাংলার মানুষ তা হতে দেবেন না। -নিজস্ব চিত্র

15th     June,   2021
 
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ