বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
কলকাতা
 

গুলি কাণ্ড নিয়ে কড়া সরকার
সোনা শীলের স্ত্রীকে বাঁশবেড়িয়ার
প্রশাসক পদ থেকে সরাল রাজ্য

নিজস্ব প্রতিনিধি, চুঁচুড়া: গুলিকাণ্ডের জেরে কড়া পদক্ষেপ নিল তৃণমূল কংগ্রেস। বাঁশবেড়িয়ার তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অরিজিতা শীলকে পুরসভার প্রশাসক পদ থেকে সরিয়ে দিল রাজ্য সরকার। ওই পদে বসানো হয়েছে গুলিতে জখম তৃণমূল নেতা তথা পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য আদিত্য নিয়োগীকে। ঘটনার জেরে প্রায় ছয় বছর পরে পুরসভার ক্ষমতার বৃত্তে যেমন বদল এল, তেমনই বাহুবলী নেতা সত্যরঞ্জন শীল ওরফে সোনাকে নিয়েও দলের কঠোর মানসিকতা প্রকাশ্যে এল। এদিকে, সোনা শীলকে নিয়ে দল, প্রশাসনের কড়া অবস্থান ও আমজনতার ক্ষোভ দেখে অতীতে অত্যাচারিত বাসিন্দারা সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ওই বাহুবলীর বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা সহ ৬টি অভিযোগ জমা পড়েছে। ওই নেতা বা তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, সরকার স্থানীয় উন্নয়নের জন্য পুরসভার বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা স্বাগত। পুলিস ও প্রশাসনের কোনও সিদ্ধান্ত নিয়েই দল আপত্তি করবে না। মঙ্গলবার দুষ্কৃতীদের গুলিতে জখম আদিত্যবাবু সুস্থ হয়ে উঠছেন বলে পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে।
গুলিকাণ্ড নিয়ে চর্চার পাশাপাশি সত্যরঞ্জন শীলের বিপুল ক্ষমতাধর ‘সোনা’ হয়ে ওঠা নিয়েও বাঁশবেড়িয়ায় চর্চা শুরু হয়েছে। রেল সুরক্ষা বাহিনীর রাঁধুনীর কাজ করতেন ওই অভিযুক্ত নেতা। একাধিকবার তাঁর চাকরি নিয়ে টানাটানি হয়েছে। আবার কোনও মন্ত্রবলে তা ফেরতও পেয়েছেন। এমনই তাঁর ‘মহিমা’ বলে দাবি ঘনিষ্ঠ মহলের। বাঁশবেড়িয়া, ব্যান্ডেল, মগরা সহ সংলগ্ন এলাকায় কার্যত সমান্তরাল প্রশাসন চালাতেন ওই ব্যক্তি। অভিযোগ, স্ত্রীকে সামনে রেখে পুরসভার তো বটেই, ঠিকাদারির ক্ষেত্রেও একচেটিয়া রাজত্ব স্থাপন করেছিলেন ওই নেতা। এছাড়াও নানা সাদা, কালো ব্যবসায় তাঁর কর্তৃত্ব ছিল। যখন যে দল ক্ষমতায় থেকেছে, সেই দলের ক্ষমতাধর নেতাদের কাছাকাছি থাকার সুযোগ তিনি পেয়েছেন। তৃণমূল আমলে বাঁশবেড়িয়ার নিরঙ্কুশ নেতা হয়ে উঠেছিলেন। খুব পরিকল্পিতভাবে সমাজসেবার কাজেও নিজেকে জড়িত রেখেছিলেন। ফলে আমজনতার একাংশের সমর্থনে তাঁর দুর্গ আরও দূর্ভেদ্য হয়ে উঠেছিল। এবারের নির্বাচনী পর্বের আগে থেকেই শাসকদলের সঙ্গে তাঁর তালমিলের ক্ষেত্রে বিঘ্ন দেখা দেয়। অভিযোগ, বিরোধী রাজনৈতিক শিবিরেও ‘ইট’ পেতে রেখেছিলেন তিনি। নির্বাচনী ফলাফলে তৃণমূলের জয় হতেই তাঁর বিরোধী গোষ্ঠী সক্রিয় হয়ে ওঠে। তাঁর স্ত্রীকে পুরসভার ক্ষমতা থেকে সরানোর পরিকল্পনা আরও দানা বাঁধে। অভিযোগ, সেই প্রস্তুতিই রুখে দিতেই গুলি কাণ্ড ঘটান হয়। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। চন্দননগর কমিশনারেট ও জেলা পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিকাণ্ডের পর থেকেই সোনা শীল স্ত্রী সহ গা ঢাকা দিয়েছেন। তাঁকে খুঁজছে পুলিস। একইসঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগের তদন্তও শুরু হয়েছে। ফলে বাহুবলী নেতার জন্য পরিস্থিতি যে জটিল হচ্ছে, সেটা বলাই বাহুল্য।

13th     May,   2021
 
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ