বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
কলকাতা
 

করোনায় নিমন্ত্রণ বিধি ফের চালু হওয়ায় 
ক্ষতির আশঙ্কা লাইট-মাইক ব্যবসায়ীদের
নদীয়া

সংবাদদাতা, কল্যাণী: সারাদেশের সঙ্গে রাজ্যে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ায় ফের নতুন করে কড়াকড়ির পথে হাঁটতে বাধ্য হয়েছে রাজ্য সরকার। দোকানপাট খোলায় নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ বিধিও চালু করা হয়েছে। আর এতেই ফের নতুন করে বিপাকে পড়েছেন লাইট, মাইক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত মালিক, শিল্পী থেকে কর্মচারী সকলেই। তাঁদের দাবি, সরকারি নির্দেশ মেনে বিয়ে, অন্নপ্রাশনের অনুষ্ঠান বেশিরভাগ মানুষ ঘরোয়াভাবে সেরে ফেলছেন। তাই রুটিরুজি নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন নদীয়া জেলায় লাইট-মাইক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত প্রায় পাঁচ হাজার ব্যবসায়ী সহ কয়েক হাজার কর্মচারী। সরকারের কাছে তাঁদের দাবি, করোনা বিধিকে মান্যতা দিয়ে ৫০ জনের পরিবর্তে সামাজিক অনুষ্ঠান অন্ততপক্ষে ২০০ জনকে নিয়ে করার অনুমতি দেওয়া হোক। তা না হলে আবার তাঁরা অথই জলে পড়ে যাবেন। 
নদীয়া ডিস্ট্রিক্ট সাউন্ড লাইট ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক বাপি ঘোষ বলেন, করোনাকালে সব রকম ব্যবসা কমবেশি চললেও আমাদের ব্যবসায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। নতুন করে এই নিয়ম লাগু হওয়ায় এই পেশার সঙ্গে যুক্ত হাজার হাজার মানুষ ফের ক্ষতির মুখে পড়েছেন। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে মানুষকে সচেতন করতে জেলার অন্তত তিনশোটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় আমরা বিনামূল্যে মাইক লাগিয়ে প্রচার চালাচ্ছি। সংগঠনের পক্ষ থেকে লকডাউনে দুঃস্থ মানুষকে খাদ্যসামগ্রী বিলি করা হয়েছে। সরকারের কাছে আমাদের আবেদন সামাজিক অনুষ্ঠানে অন্ততপক্ষে ২০০ জনকে নিয়ে করার অনুমতি দেওয়া হোক।
গতবছর পুজোর জাঁকজমক কমে যাওয়া থেকে শুরু করে যে কোনও মেলা, সামাজিক ও রাজনৈতিক অনুষ্ঠান বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীদের ঘরে পড়ে থেকে ধুলো জমছে লাইট, ফ্যান, জেনারেটর, ঝাড়বাতি সহ সাউন্ড বক্স, মাইকের মতো নানা সরঞ্জামে। প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত বহু মানুষ দীর্ঘদিন কর্মহীন হয়ে দিন কাটাচ্ছেন। ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা, এইভাবে চলতে থাকলে আগামী দিনে এই ব্যবসা চালানোই কঠিন হয়ে যাবে। গত বছরের লকডাউনের ক্ষতিই এখনও সামলে ওঠা যায়নি। এরপর নতুন করে আঘাত এলে আর এই শিল্পকে বাঁচানো সম্ভব হবে না।  মাঝে কিছুদিন রাজনৈতিক মিটিং-মিছিল হলেও ফের এই ব্যবসার উপর নেমে এসেছে কালো মেঘে। কাজ না থাকায় কেউ কেউ বিকল্প পথে অর্থ উপার্জন করতে টোটো চালানোর পাশাপাশি সব্জি, ফল, চা বিক্রিও করছেন। এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত এক কর্মচারী শৈলেন ঘরামি বলেন, দৈনিক মজুরি হিসেবে আমরা কাজ করে থাকি। লকডাউনে অনুষ্ঠান বন্ধ থাকায় আমাদের কাজ চলে গিয়েছিল। ভোটের আগে আবার কিছু কাজ পাই। কিন্তু ভোট চলে যাওয়ার পর ফের কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। পরিস্থিতি যা তাতে এখন পরিবার নিয়ে বেঁচে থাকাই আমাদের কাছে সবচাইতে বড় চিন্তার। জানি না আগামী দিনে এইভাবে আর কতদিন চলবে!

5th     May,   2021
 
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ