বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
কলকাতা
 

দমদম বিধানসভা
‘শুধু ১৩ নম্বর ওয়ার্ডেই
কেন হারলাম আমরা’
 মমতাকে চিঠি দুই পুরসভার কাউন্সিলরাদের

দীপন ঘোষাল, কলকাতা: বিধানসভা নির্বাচনে গোটা রাজ্যেই ভালো ফল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সবুজ ঝড় বয়ে গিয়েছে দমদমের উপর দিয়েও। এই কেন্দ্রে খাতায়-কলমে জয়ের ব্যবধান প্রায় আড়াই গুণ বাড়িয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী ব্রাত্য বসু। ওয়ার্ড ভিত্তিক ফলাফল বিশ্লেষণ করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, এই বিধানসভা কেন্দ্রের অধীনে দু’টি পুরসভার ৩৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩৮টিতেই ঘাসফুল ফুটেছে। তাল কেটেছে একটি মাত্র ওয়ার্ডে। দক্ষিণ দমদম পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে প্রায় পাঁচশো ভোটে পিছিয়ে গিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী। তাহলে কি অন্তর্ঘাতের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে? এ নিয়ে ওই ওয়ার্ডের নেতা তথা প্রাক্তন কাউন্সিলার প্রবীর পাল ওরফে কেটির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন দমদম এলাকার তৃণমূল কর্মীরা। ওই নেতার বিরুদ্ধে দলবিরোধী কাজ ও বিজেপি’র হয়ে ভোট করানোর অভিযোগ তুলে দলনেত্রীকে চিঠি দিলেন ৩৮ জন প্রাক্তন কাউন্সিলার। যদিও এবিষয়ে অভিযুক্ত কাউন্সিলারের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। 
তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরের খবর, তাঁর বিরুদ্ধে দলবিরোধী কাজের অভিযোগ তুলে ইতিমধ্যেই চিঠি দেওয়া হয়েছে ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষকে। সেই চিঠিতে প্রবীর পালকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানানো হয়েছে। কারণ একমাত্র দক্ষিণ দমদম পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডেই বড় ব্যবধানে হেরেছে তৃণমূল। হিসেব বলছে, ৪৯০ ভোটে পিছিয়ে রয়েছে তারা। এক ক্ষুব্ধ কাউন্সিলার বলেন, উনি বিজেপি’র হয়ে ভোট করিয়েছেন। প্রার্থী নিয়ে মতবিরোধ থাকতেই পারে। কিন্তু আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক। দলে আনুগত্যই বড় কথা। উনি দলনেত্রীকে অসম্মান করেছেন। তাই আমরা সকলেই ওনাকে দলে রাখার বিরোধী। 
দমদমে সদ্য জয়ী তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী তথা বিদায়ী মন্ত্রিসভার সদস্য ব্রাত্য বসু ওই চিঠির কথা স্বীকার করে বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে প্রাক্তন কাউন্সিলাররা অভিযোগ জানিয়েছেন। দল প্রয়োজন মতো ব্যবস্থা নেবে। তাঁর কাছে দল এব্যাপারে জানতে চাইলে, তিনি তাঁর মতামত জানাবেন। একইসঙ্গে ওই চিঠির কথা স্বীকার করেছেন দমদমের সাংসদ সৌগত রায়। তিনি বলেন, প্রাক্তন কাউন্সিলারদের স্বাধীনতা রয়েছে অভিযোগ জানানোর। তাঁরা আমার কাছে যে অভিযোগপত্র পাঠিয়েছেন, আমি তাতে সই করে দলের হাইকমান্ডের কাছে কাছে পৌঁছে দিয়েছি। এরপর নেতৃত্ব বিষয়টি পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা নেবে। 
উল্লেখ্য, ভোটের আগে একাধিকবার দক্ষিণ দমদম পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলার তথা প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য প্রবীর পাল প্রার্থী বদলের দাবি জানিয়েছিলেন। বিজেপিতে যোগদানের চেষ্টাও করেছিলেন তিনি। কিন্তু সেই মুহূর্তে দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব তাঁর সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করে ক্ষোভ প্রশমন করে। ফলে দল পরিবর্তনের ভাবনা থেকেও সরে আসেন প্রবীর পাল। তবে ভোটের দিন যত এগিয়ে এসেছে, ততই তাঁর বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ উঠেছে। শেষমেশ ফল বেরনোর পর দেখা যায়, তাঁর ওয়ার্ডেই পদ্ম ফুটেছে ব্যাপকহারে। অথচ রাজ্যে পালাবদলের পর ওই ওয়ার্ডে কোনওদিন হারেনি তৃণমূল কংগ্রেস। ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে যে সব ওয়ার্ডে উল্লেখযোগ্য জয় এসেছিল, তার মধ্যে উপরের দিকেই ছিল এই ওয়ার্ড। গত লোকসভা নির্বাচনেও তৃণমূল কংগ্রেসকে ভালো ভোটে এগিয়ে দিয়েছিল ১৩ নম্বর ওয়ার্ড। এবার এই বিধানসভা কেন্দ্রে ব্রাত্য বসু সবচেয়ে বেশি ব্যবধানে এগিয়েছেন দক্ষিণ দমদম পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে। ওই ওয়ার্ডে তৃণমূলের লিড ২০০৮ ভোট। আর সবচেয়ে কম ভোটে লিড পেয়েছে দমদম পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী এগিয়েছিলেন মাত্র ১৫ ভোটে। স্বাভাবিকভাবেই একটি মাত্র ওয়ার্ডে প্রায় ৫০০ ভোটে কেন হারতে হল, তা নিয়ে সঙ্গত প্রশ্ন তুলেছেন দলের প্রাক্তন কাউন্সিলাররা।

5th     May,   2021
 
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ