বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
কলকাতা
 

ভস্মীভূত তিন গাড়ি...। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে চাঁদনি চক এলাকার ম্যাডন স্ট্রিটে। প্রথমে একটি গাড়ির বনেট থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। নিমেষে সেটি দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে। সেটি থেকে বাকি দু’টি গাড়িতেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। দমকলের তিনটি ইঞ্জিন আগুন নেভায়। যান্ত্রিক গোলযোগ ও তীব্র গরমের জন্যই এই ঘটনা বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান দমকলের। -নিজস্ব চিত্র

অসমের মতো স্বামী-স্ত্রী-সন্তানকে
আলাদা করতে চাইছে বিজেপি
নাগরিকত্ব ইস্যুতে সরব উদ্বাস্তু পরিবারের মহিলারা

সংবাদদাতা, রানাঘাট: টেলিভিশনের বাংলা সিরিয়ালের প্রতি মহিলাদের আগ্রহ বরাবরের। সিরিয়ালের চরিত্র নিয়ে আলোচনা তো হয়ই। কিন্তু ভোটের মরশুমে বাংলা কার দখলে থাকবে? নরেন্দ্র মোদির হেলিকপ্টার নাকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চপার দেখতে বেশি ভিড় হয়েছে, এসব আলোচনায় এখন মেতেছেন গ্রামীণ এলাকার গৃহবধূরা। সেইসঙ্গে নাগরিকত্ব ইস্যু নিয়েও আলোচনা পাড়ার আড্ডা থেকে গৃহস্থের রান্নাঘরে পৌঁছে গিয়েছে। সেই আলোচনায় আবার উঠে আসছে অসমের এনআরসি প্রসঙ্গ। অনেক মহিলাই বলছেন, অসমে নাগরিকত্ব ইস্যুতে স্বামী, স্ত্রী, সন্তানকে আলাদা করা হয়েছে। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের প্রতি ক্ষোভও তাঁদের কম নয়। এরাজ্যে যদি ওই  ঘটনা ঘটে, সেই আতঙ্ক অনেককে তাড়া করে বেড়াচ্ছে।
মঙ্গলবার সকালে রানাঘাট দক্ষিণ কেন্দ্রের মাঠকুমরা এলাকায় ফুল চাষের জমিতে কাজ করছিলেন মহিলারা। চাষের জমির আলে গিয়ে দাঁড়াতেই হাতের কাজ ফেলে রেখে এগিয়ে এলেন মহিলারা। প্রশ্ন করলেন, সরকার পরিবর্তন হলে স্বামী, সন্তান নিয়ে সংসার করতে পারব? মাথায় জড়িয়ে রাখা গামছা সরিয়ে কল্পনা সরকার বলেন, দিদি ক্ষমতা থেকে সরে গেলে আমাদের অবস্থা হবে অসমের আরতির মতো। এনআরসি করে অসমে স্বামী, স্ত্রীকে আলাদা করা হয়েছে। চাষের জমিতে কাজ করলেও আমরা টিভি দেখে, খবরের কাগজ পড়ে অসমের পরিস্থিতি জেনেছি।
অসমের নাগরিক পঞ্জিতে নাম ওঠেনি আরতি গোপের। তিনি পশ্চিমবঙ্গের মেয়ে। বাড়ি বক্সিরহাট থানার ভানুকুমারি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ঝাউকুঠি এলাকায়। অসমে চিকিৎসক মনোজকান্তি ঘোষের সঙ্গে প্রায় ৩০বছর আগে তাঁর বিয়ে হয়। বছর তিনেক আগে অসমে এনআরসির জন্য তিনি প্রয়োজনীয় নথিপত্র জমা দিয়েছিলেন। এরপরই ২০১৮ সালের শেষের দিকে এনআরসির তালিকা প্রকাশিত হয়। অথচ সেই তালিকায় নাম ওঠেনি ২০০-র বেশি মহিলার। যাঁরা বিবাহসূত্রে স্বামীর সঙ্গে অসমে রয়েছেন। আরতিদেবী তাঁদেরই একজন। এমন অনেক মহিলার বর্তমান ঠিকানা ডিটেনশন ক্যাম্প।
কুপার্সের ১০নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ইন্দ্রাণী বিশ্বাস। বাপের বাড়ি কলকাতার বেহালায়। ছ’বছর আগে বিয়ে হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা মতুয়া। ভোটার কার্ড এখনও স্থানান্তর করাতে পারিনি। শ্বশুরবাড়ি এসে জানতে পেরেছি, এখানে দেশভাগের পর পূর্ববঙ্গ থেকে আসা উদ্বাস্তুদের জন্য ক্যাম্প করা হয়েছিল। পরবর্তীতে তাঁরা ভারতীয় নাগরিক হয়েছেন। এমনকী সরকারের তরফে জমির দলিল, সরকারি প্রকল্পের ঘর, বিদ্যুৎ পরিষেবা সবকিছু মিলেছে। কিন্তু এনআরসি হলে অধিকাংশ মানুষের জায়গা হবে ডিটেনশন ক্যাম্পে। কারণ এখানকার বেশিরভাগ মানুষের ১৯৫০-’৫২র কাগজপত্র নেই। অথচ কলকাতার জন্মেও কাগজপত্রের গেরোয় যদি একবার আটকে পড়ি, তাহলে আমারও আর স্বামীর ঘর করা হবে না। যে নীতি মা-সন্তানকে আলাদা করে, সংসার ভেঙে দেয় তাকে কেউ সমর্থন করে না। 
গত সোমবার রানাঘাটের সভামঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, বাংলায় যত উদ্বাস্তু কলোনির রয়েছে, তাদের আইনি স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। কাজেই আপনাদের চিন্তার কোনও কারণ নেই। এমনকী ওইদিন মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, রেলের জমিতে যাঁরা রয়েছেন তাঁরাও এদেশের নাগরিক। তাঁদের উচ্ছেদ করা যাবে না। আমরা তাঁদের আইনি স্বীকৃতি দিয়েছি। এতে অনেকটাই ভরসা পাচ্ছেন মহিলারা। যদিও রাজ্য সরকারের দেওয়া নিঃশর্ত জমির দলিল নিয়ে রানাঘাটের সাংসদ তথা শান্তিপুরের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার বলেন, দলিল যদি দেওয়া হবে তাহলে এতদিন দেওয়া হয়নি কেন। ভোটের আগে এটা নিয়ে রাজনীতি করছে তৃণমূল।

14th     April,   2021
 
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ