বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
কলকাতা
 

ভস্মীভূত তিন গাড়ি...। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে চাঁদনি চক এলাকার ম্যাডন স্ট্রিটে। প্রথমে একটি গাড়ির বনেট থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। নিমেষে সেটি দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে। সেটি থেকে বাকি দু’টি গাড়িতেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। দমকলের তিনটি ইঞ্জিন আগুন নেভায়। যান্ত্রিক গোলযোগ ও তীব্র গরমের জন্যই এই ঘটনা বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান দমকলের। -নিজস্ব চিত্র

সকাল থেকেই সরগরম উত্তর হাওড়া, অভিযোগ
ছাড়াই ভোট মধ্য হাওড়া, দক্ষিণ হাওড়া, শিবপুরে

শুভ্র চট্টোপাধ্যায়,  কলকাতা: সকাল ৭ বেজে ৫০ মিনিট। হাওড়া এসি মার্কেট লাগোয়া হারদত্ত চামারিয়া রোড। সবে ভোটের লাইনে ভিড় জমতে শুরু করেছে। হঠাৎ বুথের সামনে বোমার আওয়াজ। লাইনে দাঁড়ানো ভোটাররা ভয়ে এদিক-ওদিক দৌড় লাগালেন। ভিড়ের মধ্যেই কেউ একজন ধর ধর বলে চিৎকার করে উঠলেন। তার আগে বাইক নিয়ে পগার পার দুষ্কৃতীরা। মিনিট তিনেকের মধ্যে ছুটে এলো কেন্দ্রীয় বাহিনী। তারা সরে যেতেই ফের এই এলাকার একটি বহুতলের নীচে পরপর দুটি বোমা ফাটল। অভিযোগ, এখানেও বাইকে করে আসে দুষ্কৃতীরা। উত্তর হাওড়া বিধানসভা কেন্দ্রের অবাঙালি অধ্যুষিত এই এলাকায় সকাল থেকে আতঙ্ক তৈরি হয় বোমাবাজির ঘটনাকে ঘিরে। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বোমাবাজির অভিযোগ এসেছে সালকিয়া স্কুল রোড, জি টি রোড সমবায়িকার সামনে, বাঁধাঘাট এবং গোলাবাড়ি এলাকা থেকে। কোথাও বোমা ফেটেছে বুথের সামনে, আবার কোথাও বহুতলের নীচে। বোমাবাজিকে ঘিরে এদিন সকাল থেকে সরগরম ছিল উত্তর হাওড়া বিধানসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন জায়গা।
তবে বেলা গড়াতেই ভয়কে জয় করে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন এই কেন্দ্রের মানুষ। হাওড়া স্টেশন লাগোয়া একটি বেসরকারি স্কুলের বুথ থেকে ভোট দিয়ে বেরিয়ে জনৈক ভোটার রাকেশ মিশ্র বলেন, বোমা মেরে তাঁদের বহুতলে আটকে রাখা যাবে না। তাঁরা ভোট দিতে বদ্ধপরিকর। রাকেশের মতো একই কথা শোনা গিয়েছে গোলাবাড়ি, হাওড়া এসি মার্কেট, পিলখানা, ভোট বাগানের মানুষের মুখে। কোথাও কোথাও অভিযোগ উঠেছে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা ভোটারদের প্রভাবিত করছে। উত্তর হাওড়া বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী গৌতম চৌধুরীর অভিযোগ, ১২০ থেকে ১২৮ ও ১১১ নম্বর বুথ সহ বিভিন্ন জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনী ভোটারদের মারধর করেছে। ভোট দিতে আসা মানুষজনকে তারা বলেছে বিজেপি প্রার্থীকে ভোট দিতে। একই অভিযোগ এসেছে শিবপুর, মধ্য হাওড়া এবং দক্ষিণ হাওড়ার বেশ কিছু বুথ থেকে। যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন হাওড়ায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর দায়িত্বে থাকা এক কর্তা। তাঁর বক্তব্য, জটলা দেখলেই তাঁরা তা সরিয়ে দিয়েছেন। যাঁদের বুথের সামনে থেকে সরানো হয়েছে, তাঁরা কেউই ভোটার নয়। মারধরের অভিযোগ ভিত্তিহীন। আসলে ছাপ্পা ভোট দিতেই তারা জড়ো হয়েছিল। বামুনগাছি ও বাঁধাঘাট এলাকা থেকে মোট পাঁচজন জাল ভোটারকে আটক করা হয়েছে।
উত্তর হাওড়া বিধানসভা এলাকায় শাসক বিরোধী দু’পক্ষই বুথ দখল ও ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ তুলেছে। বিজেপি প্রার্থী উমেশ রায়ের দাবি ১, ২, ৩, ৫ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড সহ বেশ কিছু জায়গায় শাসকদল ভোটারদের ভোট দিতে দেয়নি। তবে মোটের উপর ভোট হয়েছে উৎসবের মেজাজে।
উত্তর হাওড়ায় ভোটগ্রহণ ঘটনাবহুল হলেও উল্টো চিত্র দেখা গিয়েছে মধ্য হাওড়া, দক্ষিণ হাওড়া, শিবপুর বিধানসভা কেন্দ্র এলাকায়। এখানে শাসক-বিরোধী কারও কোনও অভিযোগ নেই। সবাই বলছে, ভোট শেষ হয়েছে শান্তিতেই। সব পক্ষই দাবি করছে, মানুষ তাদেরই আশীর্বাদ করেছেন। উল্টে বিরোধীরা বলছে, দু’-একটি ছোটখাট ঘটনা এতবড় ভোটে হতেই পারে। মানুষ নিজের ভোট নিজেই দিয়েছেন। ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ আসেনি কোনও বুথ থেকে। এমনকী সংখ্যালঘু এলাকাতেও গোলমালের লেশমাত্র ছিল না। তবে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, সংখ্যালঘু এলাকায় বেশিরভাগ বুথেই শাসকদলের সঙ্গে বিজেপি’র এজেন্টের উপস্থিতি চোখে পড়েছে। বিরোধী এজেন্টদের মেরে তুলে দেওয়া হয়েছে, এমন অভিযোগ এসেছে হাতেগোনা। সিংহভাগ বুথে বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশেই ভোট হয়েছে।

11th     April,   2021
 
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ