বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
কলকাতা
 

ভস্মীভূত তিন গাড়ি...। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে চাঁদনি চক এলাকার ম্যাডন স্ট্রিটে। প্রথমে একটি গাড়ির বনেট থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। নিমেষে সেটি দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে। সেটি থেকে বাকি দু’টি গাড়িতেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। দমকলের তিনটি ইঞ্জিন আগুন নেভায়। যান্ত্রিক গোলযোগ ও তীব্র গরমের জন্যই এই ঘটনা বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান দমকলের। -নিজস্ব চিত্র

উন্নয়নেরই ইস্যুই
হাতিয়ার পার্থর
শ্রাবন্তীর ভরসা মানুষ
কেন্দ্র: বেহালা পশ্চিম

স্বার্ণিক দাস, কলকাতা: শুধু কলকাতা নয়, নন্দীগ্রামের মতো গোটা রাজ্যের নজর রয়েছে বেহালা-পশ্চিমেও। কারণ এই কেন্দ্রেই লড়াইয়ে রয়েছেন চারবারের বিধায়ক ঘাসফুল শিবিরের সুখ-দুঃখের ‘খাঁটি সৈনিক’ পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি আবার শাসকদলের মহাসচিবও। জনপ্রতিনিধি হিসেবে টানা ২০ বছর তিনি রয়েছেন বেহালা-পশ্চিমের সাধারণ মানুষের সঙ্গী হিসেবে। সেই অর্থে ‘কাতুদা’ কার্যত হয়ে উঠেছেন পাড়ার ছেলে। তৃণমূলের এই হেভিওয়েট প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবশ্য কোনও রাজনৈতিক মুখকে প্রার্থী করেনি গেরুয়া শিবির। প্রার্থী তালিকা ঘোষণার আগে জল্পনা ছিল, বিজেপি হয়তো পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দলবদলু শোভন চট্টোপাধ্যায়কে দাঁড় করাতে পারে। শিকে ছেঁড়েনি তাঁর। বরং পর্ণশ্রীর বাসিন্দা টলি তারকা শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়কেই পদ্ম শিবির ঠেলে দিয়েছে এই লড়াইয়ে। তৃতীয় পক্ষ হিসেবে তাল ঠুকছেন সংযুক্ত মোর্চার বাম প্রার্থী নিহার ভক্ত। তিনি কলকাতা কর্পোরেশনের কাউন্সিলার ১২৭ নং ওয়ার্ড থেকে। থাকেন সরশুনায়।
ঘড়ির কাঁটায় তখন সময় সকাল ৮টা। পর্ণশ্রী এলাকার ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডে পৌঁছতেই দেখা গেল, জনা দশেক মানুষ জড়ো হয়ে এক বাসিন্দাকে কী যেন বোঝাচ্ছেন। তাঁদের হাতে লিফলেট। তাতে বেহালা-পশ্চিম কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ছবি। রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিভিন্ন প্রকল্পের খতিয়ান। উন্নয়নের ঝলক। বাড়ি বাড়ি বিলি হচ্ছে সেই লিফলেট। যাঁরা সেগুলি বিলি করছিলেন, তাঁদের দেখে মনে হতে পারে, তাঁরা দলীয় কর্মী। কথা বলে জানা গেল, আদতে তাঁরা রাজ্যের বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। শিক্ষামন্ত্রীকে ফের বিধানসভায় পৌঁছে দেওয়ার মহান দায়িত্ব তাঁরা নিজেরাই কাঁধে তুলে নিয়েছেন। যাচ্ছেন এই বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ১০টি ওয়ার্ডে। এই ওয়ার্ডের কাজ সেরে এই অধ্যাপকরা পা বাড়ান ১২৮, ১২৯ এবং ১৩০ নং ওয়ার্ডের দিকে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্রভারতী, সংস্কৃত, কাজি নজরুল, কল্যাণী, বিদ্যাসাগর সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা হাজির হয়েছেন বেহালা-পশ্চিম কেন্দ্রে। সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মণিশঙ্কর মণ্ডল বলেন, সমাজের ভালো-মন্দ নিয়ে সাধারণ মানুষকে অবগত করা আমাদের দায়িত্ব। বাংলায় শান্তি-শৃঙ্খলা এবং উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতেই তৃণমূলকে সরকারে দরকার। তবে ভোটে জেতার ব্রহ্মাস্ত্র হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনমুখী প্রকল্পের খতিয়ান। এলাকার বাসিন্দারা সেই সব প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন। এই কেন্দ্রের ভোটার বর্ষা চট্টোপাধ্যায় বলেন, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পরিবারের স্বাস্থ্য-সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তাই পার্থদার পাশে রয়েছি। 
২০১১ সালে এই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রায় ৬২ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। ২০১৬ সালেও এক নম্বরে ছিলেন পার্থবাবু। তবে তাঁর ভোট কমে গিয়েছিল। হিসেব বলছে, প্রায় ১৬ শতাংশ ভোট কমেছিল ঘাসফুলের। বরং বাম এবং বিজেপির ভোট বেড়েছিল। দু’বছর আগে ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের যে হিসেব, তাতে এই বিধানসভা আসনে এগিয়ে ছিল তৃণমূল। তবে বিজেপি সেবার তাদের ভোট অনেকটাই বাড়াতে সক্ষম হয়েছে। যা অক্সিজেন জোগাচ্ছে গেরুয়া শিবিরকে। প্রার্থী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় বলেন, উল্টোদিকে হেভিওয়েট প্রার্থী থাকলেও চিন্তিত নন তিনি। বরং মানুষের সমর্থনের উপরই ভরসা রাখছেন শ্রাবন্তী। নির্বাচিত হলে বেহালায় পানীয় জল এবং নিকাশি ব্যবস্থার সমাধান করবেন বলে আশ্বাস দিচ্ছেন পাড়ায় পাড়ায়। তৃণমূল প্রার্থী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, সামগ্রিকভাবে গোটা রাজ্যেই উন্নয়ন হয়েছে। তার সাক্ষী বেহালা-পশ্চিমও। গত কুড়ি বছরে বেহালায় অনেক পরিবর্তন হয়েছে। রাস্তা-ঘাট, আইন-শৃঙ্খলা সবকিছুরই উন্নতি হয়েছে। বেহালা-পশ্চিম কেন্দ্রে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচিতে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। এলাকাবাসীর মধ্যেও তা নিয়ে উদ্দীপনা দেখা গিয়েছে। তবে এখনও জোকা-বিবাদী বাগ মেট্রো চালু এখনও চালু না হওয়ায় কেন্দ্রীয় সরকারকে দুষেছেন পার্থবাবু। জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিন্ত তিনি। এখন নিকটতম প্রার্থীর সঙ্গে ব্যবধান বাড়ানোই লক্ষ্য তাঁর।
মোর্চা সমর্থিত সিপিএম প্রার্থী নীহার ভক্ত বলেন, বেহালা পশ্চিম কেন্দ্র এক সময়ে বামেদের শক্ত ঘাঁটি ছিল। পরে অবশ্য সেই শক্তি হ্রাস পায়। তবে ইদানীং এই অঞ্চলে পার্টির সাংগঠনিক ক্ষমতা বেড়েছে। মিটিং-মিছিলে ভালোই লোক হচ্ছে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, রাজ্য ও কেন্দ্রের দুই শাসক দলকে দেখে বীতশ্রদ্ধ তরুণ প্রজন্ম। এই অংশই এখন সম্পদ লালঝান্ডার। নীহার ভক্ত বলছেন, জিতলে তাঁর প্রথম লক্ষ্য হবে পানীয় জল ও নিকাশি ব্যবস্থার স্থায়ী সমাধান করা।

8th     April,   2021
 
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ