নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে মহাজোট গঠনের জন্য অযথা কালক্ষেপ করতে রাজি নন তিনি। বিজেপি এবং তৃণমূলের বিরুদ্ধে এই ধরনের মহাজোট গঠন অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করলেও আসন নিয়ে তাঁদের ন্যূনতম দাবি যদি কংগ্রেস আমল না দেয়, তবে একলা লড়াইয়ের হুঁশিয়ারি দিল আইএসএফ।
আব্বাস সিদ্দিকি মঙ্গলবার কলকাতায় নিজের সাংগঠনিক শক্তির পরিচয় দিয়েই এই হুঁশিয়ারি দেন। এদিন ধর্মতলায় জনসভা থেকে তাঁর ঘোষণা, দু’-একদিনের মধ্যেই আসন নিয়ে ফয়সালা হওয়ার উপর ২৮ ফেব্রুয়ারি বাম-কংগ্রেসের যৌথ ব্রিগেড সমাবেশে আইএসএফের অংশগ্রহণ নির্ভর করছে। যথাসময়ে রফা হলে ব্রিগেড উপচে দেওয়ারই ব্যবস্থা করবে দল।
এদিকে, ব্রিগেড সমাবেশ নিয়ে এদিন রাতেই বিমান বসু ও অধীর চৌধুরীদের সঙ্গে আইএসএফের একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। এটাকে মহাজোটের জট কাটার ইঙ্গিত বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও কংগ্রেসের সঙ্গে আসন রফা নিয়ে কোনও পক্ষই এদিন মুখ খোলেনি।
আব্বাসের হুঁশিয়ারির লক্ষ্য বামেরা ছিল না। ভাইজান কংগ্রেসকেই সতর্ক করেছেন বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন। প্রদেশ কংগ্রেসের ক্ষমতাসীন নেতৃত্ব বিজেপি-তৃণমূল বিরোধী সব গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিকে একজোট করার লক্ষ্যে কতটা আন্তরিক, তা নিয়ে দলের অন্দরেও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আব্বাসদের দলকে উত্তরবঙ্গে দু’-তিনটি আসন তাদের কোটা থেকে ছাড়তে কংগ্রেস এখনও রাজি না-হওয়ায় জট কাটছে না। সিপিএম এবং কংগ্রেসেরই জোটপন্থী কিছু নেতার একান্ত অনুরোধে আরও কিছু সময় দিলেও শুক্রবারের মধ্যে চূড়ান্ত ফয়সালা চান আব্বাস। অন্যথায় তাঁরা একলা চলারই পক্ষে।
আসন রফা কেন ঝুলে রয়েছে, তা প্রদেশ নেতৃত্বের কাছে জানতে চেয়েছে হাইকমান্ড। দ্রুত জট কাটিয়ে রবিবারের যৌথ ব্রিগেড সমাবেশে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে কথা দেওয়া হয় প্রদেশ নেতৃত্বের তরফে। হাইকমান্ডের তরফে জানানো হয়েছে, রবিবারের সভায় গান্ধী পরিবারের কেউ ব্রিগেডে হাজির থাকবেন না। পরিবর্তে ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল হাইকমান্ডের তরফে বক্তা থাকবেন। ব্রিগেডে সমর্থকদের নিয়ে যাওয়ার জন্য কিছু অর্থ বরাদ্দের কথাও হাইকমান্ডের তরফে ভাবা হয়েছে বলে জানানো হয়।