হ য ব র ল

পশ্চিম আকাশে সূর্যোদয়

স্বরূপ কুলভী: প্রতিদিন ভোররাতে ও সন্ধেবেলায় একটি তারা জ্বল জ্বল করে। অন্য তারাদের চেয়ে অনেক বেশি উজ্জ্বল। আমরা সবাই জানি, ওটা শুকতারা বা সন্ধ্যাতারা। তবে ওটা কোনও তারা বা নক্ষত্র নয়। আমাদের পৃথিবীর মতোই সৌরমণ্ডলের একটা গ্রহ। সূর্য থেকে দূরত্ব অনুসারে এটি সৌরমণ্ডলের দ্বিতীয় গ্রহ। আর পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের প্রতিবেশী হল শুক্র। আকার ও গঠনগত মিলের জন্য আমাদের গ্রহের যমজ বোনও বলা হয় শুক্রকে। ঘন মেঘের আস্তরণে ঢাকা এই গ্রহ কিন্তু পৃথিবীর চেয়ে অনেকটাই আলাদা। আমাদের এখানে তো একটা দিন মানে ২৪ ঘণ্টা।  প্রতিদিন পূর্ব দিকে সূয্যিমামা ঘুম ভেঙে উঁকি মারে। তারপর সন্ধ্যায় পশ্চিম আকাশে ঘুমে ঢলে পড়ে। আর ১২ মাসে এক বছর। শুক্রেও কি তাই? মোটেই নয়। জানলে অবাক হতে পার, এখানে পুরো একটা বছর কেটে গেলেও দিন ফুরোয় না। শুক্রের একটা দিন এক বছরের চেয়েও বড়। ২৪ ঘণ্টায় পৃথিবী একবার অক্ষের চারপাশে ঘোরে। সেটিকেই বলা হয় পৃথিবীর আহ্নিক গতি। এই কারণেই হয় দিন ও রাত। কিন্তু শুক্র নিজের অক্ষের চারপাশে এত দ্রুত ঘুরতে পারে না। নিজের অক্ষে একবার পাক খেতে এই গ্রহের পৃথিবীর হিসেবে ২৪৩ দিন সময় লাগে। আর তার আগেই শুক্রের সূর্যের চারদিকে একপাক ঘোরা হয়ে যায়। এজন্য শুক্রের সময় লাগে ২২৫ দিন। তাই এখানে বছর শেষ হয়ে যায়, কিন্তু দিন ফুরোয় না। সেখানে সূর্যের আলো থাকে ১১৭ দিন (পৃথিবীর হিসেবে)। সেই মতো রাতও ১১৭ দিন। 
আর সৌরজগতের প্রায় সব গ্রহই নিজের অক্ষের উপর পশ্চিম থেকে পূর্বে আবর্তন করে। কিন্তু ব্যতিক্রম শুক্র আর ইউরেনাস। এই দু’টি গ্রহ নিজের অক্ষে পূর্ব দিক থেকে পশ্চিমে ঘোরে। আর এজন্য শুক্র গ্রহে সূর্য ওঠে পশ্চিমে। আর অস্ত যায় পূর্ব আকাশে। শুক্রের এমন উল্টো গতি কেন। মহাকাশ বিজ্ঞানীদের ধারণা, প্রথমে হয়তো শুক্র অন্যান্য গ্রহের মতোই আবর্তিত হতো। কিন্তু তার নিজের আকারের কোনও সুবিশাল মহাজাগতিক বস্তুর সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে এই গ্রহ উল্টো দিকে ঘুরতে শুরু করে। আমাদের যেমন উপগ্রহ চাঁদ রয়েছে, শুক্রের কিন্তু এমন কিছু নেই। 
শুক্রের সব মজার মজার কথা জানার পর মনে হতেই পারে, যদি সেখানে টুক করে ঘুরে আসা যেত! কিন্তু প্রাণীদের বসবাসের ক্ষেত্রে মোটেই উপযুক্ত নয় শুক্র। সেখানে প্রাণের কোনও অস্তিত্বও নেই। সৌরজগতের সবচেয়ে উষ্ণতম শুক্র। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার তথ্য অনুযায়ী, এখানকার তাপমাত্রা ৪৬২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। এই গ্রহ কার্বন-ডাই-অক্সাইডের তৈরি একটা মৃত্যুফাঁদ। বায়ুমণ্ডলের ৯৬ শতাংশই কার্বন-ডাই-অক্সাইড। নাইট্রোজেন ৩.৫ শতাংশ। আর আছে সালফার-ডাই- অক্সাইডের মতো অন্যান্য গ্যাস। শুক্রের ঘন মেঘের স্তর ভেদ করে সূর্যের আলো পৌঁছতে পারে ঠিকই। কিন্তু বের হয়ে আসতে পারে না। তাই বায়ুমণ্ডলের চাদরে ঢাকা রয়েছে তীব্র গরম। আর রয়েছে প্রবল বায়ুর চাপ। পৃথিবীর তুলনায় প্রায় ৯০ গুণ বেশি। এই প্রবল বায়ুর চাপে শুক্রের পৃষ্ঠে দাঁড়ানোই সম্ভব নয়। ভবিষ্যতে বৈজ্ঞানিক গবেষণায় ও অভিযানে শুক্র সম্পর্কে আরও বেশি তথ্য জানা যাবে বলেই আশা করা যায়।
5Months ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

ধর্মকর্মে সক্রিয় অংশগ্রহণে মানসিক তৃপ্তি ও সামাজিক সুনাম। পেশাদার শিল্পীদের শুভ সময়।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.১৫ টাকা৮৪.৮৯ টাকা
পাউন্ড১০৮.২৫ টাকা১১১.৮০ টাকা
ইউরো৯০.৭১ টাকা৯৩.৮৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা