গল্পের পাতা

উঠোন
সৌরভ হোসেন

আসমত গেরস্তর ভুঁইয়ের পরেই হজরুদ্দির বাড়ি। ভুঁইটা যেদিকটায় ঢালু হয়ে নেমে গিয়েছে সেদিকটায় বড়ঘাট্টা বিল। হজরুদ্দির বাপ নুরুদ্দি বলতেন, ওখানে আগে নদী ছিল। সে নদীর সঙ্গে পদ্মার যোগ ছিল। সে নদী মজে বিল হল। এখন নাবাল জমি। একাত্তরের বন্যায় এই বিল উপচেই উঠোনটায় জল এসেছিল। শুধু জলই আসেনি, ভাসানের সে জলের সঙ্গে নানা মাছও এসেছিল। বাড়ির দাওয়ায় বসে ছিপে করে মাছ ধরেছিল হজরুদ্দি। বেড়ার ফাঁকে পেতেছিল বিত্তি। সে বিত্তি ভরে গিয়েছিল পুঁটি-খলসেতে। সে বিলও মরল, বিলের সঙ্গে সঙ্গে মাছও মরল। এখন আশ্বিন মাসে বিলটার উজান-নাবাল সব ধানি জমি হয়ে ওঠে। যে বছর পাটকাঠি আর কঞ্চির বেড়াটা ভেঙে-পচে ফাঁকা হয়ে যেত, সে বছর আল-বিল আর উঠোন এক হয়ে যেত। দাওয়া থেকে দেখা যেত বিলের জল। রাতের বেলায় যখন চাঁদের আলো পড়ত জলে তখন মনে হতো বিলটা রুপোতে ভরে আছে! আর উঠোনটা খিলখিল করে হাসত। হজরুদ্দি তখন উঠোনে নেমে আসত। সঙ্গে কুলছুম। হজরুদ্দি কুলছুমকে বলত, ‘এসো, এই জ্যোৎস্না রাতে আমরা একটুখানি কিতকিত খেলি।’ কুলছুম তখন আঁচলখানা উঠোনটায় বিছিয়ে দিত। আর বলত, ‘কিতকিত নয়, আজ উঠোনটায় শুইয়ে জ্যোৎস্না মাখতে ইচ্ছে করছে।’ 
‘কুলছুম, আমি মরতে দেব না।’ বুকের হাড়গুলোর ভেতরে যেখানে হজরুদ্দির হৃৎপিণ্ডখানা ছুপ মেরে আছে সেখানেই কথাটা বাজল। কত পিড়ির ভিটে তার গাছ-পাথর জানা নেই হজরুদ্দির। তবে এইটুকু জানে সে, তার বাপ, বাপের বাপ, বাপের বাপের বাপ এই ভিটেতেই জন্মেছেন! আর উঠোনটাতেই হেঁটে-চলে বড় হয়েছেন। মাঝেমধ্যে হজরুদ্দির মনে হয়, কী মরতে যে চারটে ছেলে নিতে গেছিলাম! একটাতেই ইতি টানলে ভালো হতো। উঠোনটার তো হতচ্ছিড়ি দশা হতো না! উত্তর মরেছে, দক্ষিণ মরেছে, পুব মরেছে এখন পশ্চিমটাও মরতে বসেছে! হজরুদ্দি বলতে গিয়েছিল, ‘পশ্চিমের মুখটা মারিস নে রে, আল্লাহর ঘর কাবা ওই দিকটায় আছে।’ তখন বশির বাপের মুখের উপর বলেছিল, ‘তাহলে আমরা কার ঘরে থাকব, আব্বা? আকাশে ফেরেশতাদের ঘরে?’ বাকি তিন ছেলে আপন আপন বাড়ি করে নিয়েছে। ছোট ছেলে বশিরের হাতে টাকা-পয়সা না থাকায় এতদিন বাড়িটা করতে পারেনি। পুরনো কুঠাপাড়া ঘরেই থাকে। সে বাড়িটাও আধখানা ভাঙা। ভাঙা অংশে নতুন বাড়ি করেছে মেজো ছেলে মেস্কাত। বশিরের হাতে এখন আরব-খাটা টাকা এসেছে। সে টাকায় বাড়ি হয়ে গাড়িও হয়ে যেতে পারে! আর থামবে কেন? তাছাড়া ছেলেমেয়েও বড় হচ্ছে। আর কিছুদিন গেলে বাড়িতে জামাই আসবে। বেটার বউ আসবে। বাড়ি তো একখানা লাগবেই? 
লাঠি হাতে উঠোনটায় তিন পেয়ে মানুষ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে একাশির বুড়ো হজরুদ্দি। যেন দুখানা শুকনো বাঁশের লাঠি দাঁড়িয়ে আছে! দুনিয়াদারির মাংস ফুরোতে ফুরোতে শরীরটা একখানা কঙ্কাল! রাতের বেলায় সবাই যখন ঘুমিয়ে পড়ে তখন উঠোনটায় একা নেমে আসে হজরুদ্দি। হাতের লাঠিটা উঠোনটায় ঠেকিয়ে ঠেকিয়ে কিছু একটা খোঁজে। আর বিড়বিড় করে বলে, ‘এখেনটায়, হ্যাঁ, এখেনটায়।’ আজ বশির বুড়ো বাপটাকে অমন করে বিড়বিড় করতে দেখে জিজ্ঞেস করল, ‘কী ওখানটায়, আব্বা? কী বিড়বিড় কচ্ছ?’ 
‘খাটিয়া।’ হজরুদ্দি কোনও কিছু খেয়াল না করেই কথাটা বলল। 
‘খাটিয়া! কীসের খাটিয়া?’ বশির বিস্মিত হল। আচমকা হজরুদ্দির খেয়াল ফিরল, বলল, ‘ও কিচ্ছু না, একটা জিনিস আন্দাজ কচ্ছিনু।’
‘কুন জিনিস, আব্বা?’
‘উঠেন।’
‘আবারও সেই উঠেন লিয়ি পড়িচ!’ বশিরের চোখে-মুখে বিরক্তির ছাপ। আর কথা বাড়াল না। গটগট করে ঘরের ভেতর সেঁধিয়ে গেল। বুড়ো হজরুদ্দি কিন্তু জায়গাটা থেকে এক ইঞ্চি সরল না। সে বিড়বিড় করে বলে যেতে থাকল, ‘এখেনটায়, হ্যাঁ, এখেনটাই তো?’
দুই
পুরো বাড়িতে কানাঘুষো। গতরাতে বুড়ো হজরুদ্দি নাকি এতটুকুও ঘুমোয়নি! সারারাত উঠোনটায় লাঠি হাতে দাঁড়িয়েছিল! ল-বউ সাহানা বাথরুম করতে উঠে শ্বশুরমশাইকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছিল! ভয়ে চিৎকার করে উঠেছিল। সে চিৎকারের শব্দ শুনে বাড়ির সবাই ঘুম থেকে উঠে এসেছিল উঠোনে। তারপর বাপ হজরুদ্দিকে হাত ধরে ঘরে নিয়ে গিয়েছিল বেটার বউরা।
বারান্দায় বসে বশিরের বউ লাইলা বলল, ‘মুনে হয় মানুষটার মাথা খারাপ হয়ি গেচে।’ জানলার ঘুপসি দিয়ে বড়বউ আয়েশা বলল, ‘বয়স হয়িচে, মাথা কি আর আগের মুতন কাজ করবে? করবে না।’ বেড়ার ফাঁকে চোখ রেখে মেজো বউ মজিদা বলল, ‘আমার তো ভয় লাগে! মানুষটার মধ্যে জিন ভর করল না তো!’ তিন বউয়ের ছ-খানা চোখে কৌতূহলের শেষ নেই। আগে এই সময় তারা একসঙ্গে কলতলায় বাসন মাজত। ধোয়া বাসনগুলোর ওপর তেরছা করে পড়ত বিহেন বেলার রোদ। এখন সে কলতলাটা নেই। সংসার ভাঙার সঙ্গে সঙ্গে কলের সংখ্যাও বেড়েছে। যেখানে কলতলাটা ছিল তার পিছনেই ছিল একটা মস্ত বড় কৃষ্ণচূড়া গাছ। গাছটা ঝাঁকড়া হয়ে উঠেছিল। দিঘল উঠোনটায় ফাল্গুন মাসের মিঠে রোদে বসে যখন থপ থপ করে কুলোয় ধান ঝাড়ত কুলছুম তখন হজরুদ্দি কৃষ্ণচূড়ার ফুল ছিঁড়ে চুপ করে কুলছুমের চুলের খোঁপায় গুঁজে দিত। তারপর খিলখিল করে হেসে বলত, ‘উঠোনে আরও একটা কৃষ্ণচূড়া গাছ হয়েছে গ!’ কুলছুম রাগত না। একটা অন্যরকম আনন্দ পেত। বড় ছেলে আলাউদ্দি যখন নতুন বাড়ি তুলল, তখনই গাছটা কেটে ফেলল। হজরুদ্দির বুকের ব্যথাটা তখন থেকেই উস্কেছে। উঠোনটায় দাঁড়ালে অনেক কথা মনে পড়ে হজরুদ্দির। মাঠের ধান-গম এই উঠোনটাতেই পালা দেওয়া থাকত। তখন উঠোনটাই ছিল ফসল ঝাড়াই-বাছাইয়ের খলেন। তখনও ধানঝাড়া মেশিন আসেনি দেশে। তক্তা পেতে তাতে বাড়ি মেরে মেরে ধান ঝাড়া হতো। একদিকে জমে উঠত ঝাড়া ধান আরেক দিকে পাহাড় হয়ে উঠত ধানের নাড়া! ধান ঝাড়াই-মাড়াই হয়ে গেলে এই উঠোনেই সার করে খেতে বসত মুনিষেরা। তখন বাড়িতে ভালোমন্দ রান্না হতো। ক্ষীর-পায়েস। পুকুরের মাছ। বাড়ির পোষা মুরগি। হজরুদ্দির তিন বেটা আর দুই বিটির বিয়ের খানা তো এই উঠোনেই হয়েছিল। শুধু বশিরের খানা হয়েছিল বড় ছেলে আলাউদ্দির ছাদে। কুলছুম যখন বউ হয়ে এসেছিল এ বাড়িতে তখন এই উঠোনটাতেই প্রথম বসেছিল। বেনারসি পরা ঘোমটা মাথায় সে লাল টুকটুকে বউটাকে মাঝেমধ্যেই দেখতে পায় হজরুদ্দি। তখন আপন খেয়ালে ফিকফিক করে হাসে সে। কুলছুম মারা যাওয়ার পর থেকে সে দেখাটা আরও বেড়ে গেছে। শুধু কুলছুমের নতুন বউ হয়ে বসে থাকাটাই নয়, হজরুদ্দি এখন দেখে, কুলছুম উঠোনে মেলা সেদ্ধ ধানে পা দিচ্ছে আর সে চুপি চুপি গিয়ে পিছন দিক থেকে জড়িয়ে ধরছে তাকে! কুলছুম বলছে, ‘ছাড় ছাড়, এ কী করছ! ছেলে-বউরা সব দেখে নেবে!’ 
হজরুদ্দির এক সমস্যা হয়েছে। সে সব ছেলেদের একসঙ্গে পায় না। দু’জন ভিন রাজ্যে গিয়েছে ভিনখাটতে। একজন কেরলে একজন গুজরাতে। বড় ব্যাটা বাড়িতে থাকে। তাও রাতটুকুন। দিনমান খেতালেই কেটে যায়। থাকা বলতে গেলে বশির। মাসখানেক হল আরব-খেটে দেশে ফিরেছে। তাছাড়া তিন দিকে তিনখানা বাড়ি। পুরনো ভাঙা বাড়িখানা ধরলে সাড়ে তিনখানা। মাঝে কারও ইটের পাঁচিল তো কারও পাটকাঠির বেড়া। বাড়িতে ঢোকার মুখও হয়েছে তিন তিনখানা! সদর বলে কিচ্ছু নেই। ঘরের মুখ আর রাস্তার মুখ এক। হজরুদ্দি গজগজ করে, বাড়ি না পাখির খোপ! নিঃশ্বাসের হাওয়া আসবে কোন দিক থেকে! আলো তো ঢুকবেই না, আঁধার-ঘুলঘুলি হয়ে থাকবে। আজ বশিরকে দেখতে পেয়েই বলল, ‘আমি মরার পর উঠেনটুকুতে বাড়ি তুলিস, বশির।’
‘কেন?’ কণ্ঠ গরম হয়ে উঠল বশিরের। হজরুদ্দি বলল, ‘এইটুকু তো আর উঠেন বাকি পরে আছে। আমি মরলে মরার খাটিয়াটা কুণ্ঠে থুবি?’
‘সবসময় মরার কথা ভাব কেন? দুনিয়ায় কি আর কুনু কথা নাই?’ গজগজ করল বশির। তার হিলহিলে শরীরটা বাঙ্গির মতো শক্ত হয়ে উঠল। গায়ের স্যান্ডো গেঞ্জিটা খুললে বিত্তির খিলের মতো হাড়গুলো দেখা যায়। খুঁটল চোখগুলোয় বিরক্তির ছাপ। ‘এখুন যে কথা ফুরিয়ে যাওয়ার সময়, বাপ। তোর মা যে আমাকে ডাকচে। ওপারে ওর একলা থাকতে আর ভাল্লাগচে না।’ তারপর ঠকঠক করে উঠোনটায় নেমে গেল হজরুদ্দি। পশ্চিমের এক কোণে একটা জায়গায় দাঁড়িয়ে বলল, ‘শুদু এখেনটা। এখেনটা ফাঁকা থুলেই হবে। কতটুকুন আর হবে? ওই সাড়ে তিন হাত।’
‘ওখেনটায় কী এমন আছে যে ওখেনটাই ফাঁকা থুতে হবে?’ ধমকের সুরে বলল বশির। ছেলের কথা শুনে হজরুদ্দির চোখ ছলছল করে উঠল, বলল, ‘ভুলি গেলি বাপ। জন্মদাত্রী মায়ের মরার খাটিয়াটা কুণ্ঠে রাখা ছিল তাও ভুলি গেলি! তোর মা জানতে পারলে যে খুব কষ্ট পাবে রে!’
বাপের কথা শুনে বশির কিছুক্ষণ ঝিম মেরে গেল। কিন্তু ভেঙে পড়ল না। মনটাকে শক্ত করে বলল, ‘জায়গাটুকুন ফাঁকা থুলে যে আমার বাড়িটা ছোট হয়ি যাবে। সওয়া কাঠা তো জায়গা তার আবার এক ছটাক ফাঁকা থুলে বাড়ি কী করি হবে? মানুষের ঘর হবে না পাখির কোটর হবে? অন্য ভাইদের বেলায় কিচ্ছু বুল্লে না, যত কান্নাকাটি আমার বেলায়?’ ফদফদ করে বকে গেল বশির। তারপর বলল, ‘আর কিচ্ছু করার নাই। মাপজোখ হয়ি গেচে। কাল থেকিই নেউ খুঁড়তে মিস্ত্রি লাগবে।’ কথা তো নয় যেন একটা কোপ! ধারালো করাতের কোপ! বুড়ো হজরুদ্দি আর কিচ্ছুটি বলল না। শুধু আপশোস করল, কেন যে ভিটেটুকুন বেটাদের নামে লিখে দিলাম! আজ আমার লাশ রাখার উঠোনটুকু থাকছে না! যে জায়গাটায় দাঁড়িয়েছিল লাঠিটা দিয়ে সে জায়গার মাটিতে কী সব আঁকিবুঁকি করতে লাগল হজরুদ্দি। 
পরের দিন বশিরের বাড়ির পুস্তে তোলার জন্য নেউ কাটা শুরু হল। ‘খচ’ ‘খচ’ করে মাটি কাটার শব্দ হচ্ছে। হজরুদ্দি সারাদিন ঘর থেকে বাইরে বের হল না। শুধু ঘরের ভেতরে লাঠি হাতে পায়চারি করার শব্দ কানে এল। রাত হল। কাটা নেউ-এর গর্ত থেকে ঝুপ মেরে থাকা অন্ধকার চারপাশে ছড়িয়ে গেল। ঝিঁঝি পোকা ডাকল। আবুলদের পুকুর থেকে ব্যাং ডাকার শব্দ এল। যখন বাঁশরায় বাঁদুরের ডানা ঝাপটানোর শব্দটা থামল আর আকাশ থেকে স্যাৎ করে নেমে আসা তারাখসাটা বিলের পানে নেমে গেল তখনই ‘কট’ করে উঠল হজরুদ্দির বুকটা! সঙ্গে সঙ্গে ‘বশির’ বলে চিল্লিয়ে উঠল। ওই একবারই। তারপর কুঁকড়ে গুটিয়ে গেল বিছানায়। বাপের চিৎকারটা শুনতে পেল বশির। ধড়ফড় করে উঠে গেল বাপের বিছানায়। দাওয়াতেই শুয়ে থাকে হজরুদ্দি। কুলছুম মারা যাওয়ার পর থেকে আর এক রাতও ঘরের ভেতরে শোয়নি। বললে, বলে, ‘কুলছুম এলে আমাকে দেখতে পাবে না গ।’
টানা সতেরো দিন হাসপাতালে থাকল হজরুদ্দি। এই ক’দিনে যমে-মানুষে টানাটানি হল। মৃত্যুর ফেরেশতা আজরাইল, আশপাশে ঘুরঘুর করেও হজরুদ্দির রুহটা কব্জা করতে পারলেন না। একটা ছোটখাট স্ট্রোক ঘটিয়েই খালি হাতে ফিরলেন উপরে। হজরুদ্দি উপরের বাড়ি ফিরল না। ফিরল ইহকালের বাড়ি। টোটো গাড়িটা বাড়ির কাছে আসতেই হজরুদ্দির ঘুলঘুলে চোখগুলো থ হয়ে গেল! এ কী দেখছে সে! তার আকাশ থেকে পড়ার শামিল হল। 
এই সতেরো দিনে যেখানে একখানা ছোটখাট বাড়ি তৈরি হয়ে যাওয়ার কথা সেখানে মাটি কাটা নেউগুলো সব বোজানো! আর উঠোনের যে জায়গাটায় কুলছুমের লাশ রাখা ছিল খাটিয়ায় সেখানে একটা জলচৌকি রাখা! বাপ হজরুদ্দিকে টোটো থেকে নামিয়ে জলচৌকিটার কাছে নিয়ে এসে বশির বলল, ‘আব্বা, এখেনে বস।’ হজরুদ্দি চোখগুলো ঘুলঘুল করে তাকাল বশিরের দিকে। বলল, ‘তোর বাড়ি?’
‘ওই তো, ওখেনে।’ বশির হাত দিয়ে পুরনো ভাঙা বাড়িটার দিকে দেখাল। হজরুদ্দি মায়াভরা চোখে দেখল, পুরনো ভাঙা বাড়িটা আর নেই। সেখেনে একটা নতুন বাড়ি গড়ে উঠছে। চৌকিটায় আলতো করে বসল। তারপর চিৎ হয়ে শুলো। নীচের দিকে মুখ করে ফিসফিস করে বলল, ‘কুলছুম, তুমি দেখতে পাচ্চ, তুমার খাটিয়াটার কাছেই আমার খাটিয়াটা থাকবে!’
অঙ্কন : সুব্রত মাজী
12Months ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

মৃৎশিল্পী, ব্যবসায়ী প্রমুখদের বিশেষ কর্মোন্নতি যোগ প্রবল। পেশাদারি কর্মে শুভ ফল প্রাপ্তি। মানসিক চাঞ্চল্য।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.১৩ টাকা৮৪.৮৭ টাকা
পাউন্ড১০৮.৫০ টাকা১১২.০৬ টাকা
ইউরো৯১.০৪ টাকা৯৪.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা