ভোর ভোর তিড়িং করে বিছানা ছেড়ে আজ উঠে পড়ছেন কার্তিকবাবু। উঠেই এমন হাঁক পাড়লেন যে, ছেলের বউ টিনারও ঘুম এক টুসকিতে গায়েব। এমনিতে কার্তিকবাবু পৃথিবী রসাতলে গেলেও আটটার আগে ওঠেন না। চাকরি থেকে রিটায়ারমেন্টের পর এটা নাকি তাঁর প্রতিশোধ নেওয়া এক প্রকার। সারাটা জীবন আটটার লোকাল ট্রেন ধরার জন্য ভোর পাঁচটা থেকে নাচনকোদন করতে হয়েছে তাঁকে। স্ত্রী মায়াও উঠত ভোর সাড়ে চারটেয়। কার্তিকবাবু চাট্টি মাছের ঝোল ভাত না খেয়ে বেরবেন না। আবার বাসি রান্নাও মুখে তোলেন না তিনি। এ তাঁর মায়ের আমলের অভ্যেস। অতএব সাড়ে চারটে থেকে বাড়িময় থইথই অবস্থা। ছেলে ইন্দ্রও উঠে পড়ত। উপায় থাকত না কিনা! ঘরেঘরে আলো জ্বলে উঠত যে। রান্নাঘরে ব্যস্তসমস্ত খুন্তির খটখটানি, বাথরুমে জলপড়ার ঝপঝপানির সঙ্গে কার্তিকবাবুর হেঁড়েগলার উচ্চকিত শ্যামাসঙ্গীত— ‘আমি মন্ত্রতন্ত্র কিছুই জানিনে মা!’ মন্ত্রতন্ত্র না জানলেও গানের সুরটা যদি একটু জানতেন তবে বাড়ির মানুষগুলো অন্তত বাঁচত! ইন্দ্র তো বাবার শ্যামাসঙ্গীতের গুঁতোয় ঘুমের আশায় জলাঞ্জলি দিয়ে সক্কাল পাঁচটায় উঠে এমন পড়া মুখস্থ করে ফেলার অভ্যাস করে ফেলল যে, জীবনের সব পরীক্ষায় প্রথম স্থান। কে জানে... এ তার বাবার অবদান, না মাকালীর আশীর্বাদ না ইন্দ্রের নিজেরই অধ্যবসায়ের ফল? ক্রেডিটটা অবশ্য কার্তিকবাবুই পকেটস্থ করেছেন এতকাল। ছেলেবউকেও বুক ফুলিয়ে গর্বভরে শুনিয়ে দিয়েছেন সেকথা। শুনে বউমাটি যে ব্যাজারমুখে সরে গিয়েছে, সেটা খেয়াল করেননি। ইন্দ্র এখনও আর্লি রাইজার। এজন্য আনকোরা নতুনবউ টিনার যথেষ্ট বিরক্তি। বরকে জড়িয়ে ভোরের ঘুমের আয়েশটুকু তার কপালে জোটে না।
এই বাড়িতে ছয় মাস হল বিয়ে হয়ে এসে ইস্তক কার্তিকবাবুর দাপট দেখছে টিনা। শাশুড়ি তো ভয়ে কাঁটা হয়ে আছেন। ছেলেও। কার্তিকবাবু ছাপোষা কেরানি ছিলেন, কিন্তু বাড়িতে তিনি বাঘ। চার মেয়ের পরে আদরের একটিই সবেধন নীলমণি পুত্রসন্তান বলে আদরটা মাত্রাছাড়াই পেয়েছেন বরাবর। তাই স্বভাবটা যুবাবয়স থেকেই ছিলায় টান মারা। কার্তিকবাবুর পরলোকগতা মাতৃদেবীও কড়া ধাতের মানুষ ছিলেন। বউমাকে জবরদস্ত ট্রেনিং দিয়ে গিয়েছেন। স্পিকটি নট এবং বরকে দেবতাজ্ঞানে পুজো করার শিক্ষা মায়াকে প্রথম থেকেই রপ্ত করতে হয়েছে। মায়ার পরে আরও দু’টি পিঠোপিঠি বোনের অস্বস্তিকর বাড়ন্ত গড়ন এবং মায়ার লেখাপড়ায় ধ্যাড়ানোর কারণে ইস্কুলমাস্টার বাবা বেশি রিস্ক না নিয়ে অল্পবয়সেই বিয়ে দিয়ে মায়াকে শ্বশুরঘরে পাচার করে দিয়েছিলেন। মায়াও সামলেসুমলে সেফ ড্রাইভিং করে শ্বশুরঘরে সুযোগ্য বউ হিসাবে স্থান করে নিয়েছেন।
সক্কাল-সক্কাল কার্তিকবাবুর লাফালাফিতে গেল টিনার সাধের ঘুমটি চটকে। ইন্দ্র ভোরে উঠে নিঃশব্দে তৈরি হয়ে প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে যায়। টিনা টেরও পায় না। এই ফাল্গুনমাসটা বেশ... না শীত না গরম। মিহি কুয়াশামাখা সকালে জম্পেশ জমে যায় টিনার ঘুম। বাপের বাড়িতেও দেরি করে উঠত। পড়াশোনা করত রাত জেগে। এখন মার্কিনি ক্লায়েন্টকেও ভজাতে হয় রাতের ঘুম তাড়িয়ে। ইন্দ্র আর সে সহকর্মী বলে অসুবিধা হয় না। টিনা সব রকম সহযোগিতা পায়। আজ কার্তিকবাবুর দাপাদাপিতে ঘুমটা ভেঙে যাওয়ায় টিনার মাথা গরম হয়ে গেল। ঘুম না পুরো হলে চটচটে ক্লান্তি সারাদিন আঠার মতো চোখে লেগে থাকবে।
হাই তুলে উঠে বসতেই মনে পড়ল আজ শিবরাত্রি। কাল শাশুড়ি বলছিল বারবার... এদের বাড়িতে খুব ভক্তিভরে শিবপুজো হয়। টিনা উঠে পড়ল। না উঠে উপায়ও ছিল না। কার্তিকবাবু হাপুসহুপুস করে চা পান করছেন। বিস্কুটের টিনের বাক্সটা ঠং করে মেঝেতে ফেললেন। তারপর ‘কই গো! কোথায় গেলে?’ বলে এমন বেকায়দা উচ্চকিত স্বরে চেঁচামেচি জুড়লেন যে, মায়া ছুটে এলেন হুড়মুড়িয়ে, ‘এত চেঁচিও না গো, মেয়েটা ঘুমোচ্ছে—’
‘মেয়ে! এ বাড়িতে আবার মেয়ে কোথায়?’ বিস্ময়োক্তিও যে এমন বন্দুকের গোলাগুলির মতো কানফাটানো হতে পারে টিনা জানত না। তার নিজের বাবার ধীরগলা শুনে অভ্যাস। কার্তিকবাবুর ব্যাপারস্যাপার তার কাছে এখনও বেশ শকিং।
‘আরে! বউমার কথা বলছি।’ মায়া গলায় সাইলেন্সর লাগিয়ে বলেন।
‘ও! তাই বল, বউমা! তা সে কি এখনও ঘুমচ্ছে নাকি? এত বেলা হল!’
অন্যান্য দিন তো আর টের পান না কার্তিকবাবু। আজ তাঁর গলায় বিরক্তি গুজগুজিয়ে উঠল। তবে সামলে গলাটা শেষদিকে নামিয়ে নিলেন। বউমাটি বড়লোকের মেয়ে, বড় চাকুরে। যা মাসমাইনে পায় কার্তিকবাবুর তিন-চার মাসের বেতনকে হার মানাত। মেলা টাকা খরচ করে ছেলে আর বউ মিলে এই তিন কামরার ফ্ল্যাট কিনেছে। তাঁদের বাঘাযতীনের দু’কামরার ভাড়াবাড়িকে গুডবাই করে এখন হাত-পা মেলতে পারছেন যার জন্য। বউকে না করলেও বউমাটিকে একটু সমীহ করেই চলেন কার্তিকবাবু। টিনা বিছানা ছেড়ে উঠে পড়ল। বাথরুমে মুখ ধুতে ধুতে শুনল কার্তিকবাবু ফর্দ করছেন। বাজারের। শিবরাত্রির স্পেশাল ফর্দ। ডাব, বেল, সাগু, বেলপাতা, আকন্দ, অপরাজিতা, মধু, ঘি, দুধ... লম্বা লিস্টি মালগাড়ির মতো চলছে তো চলছে। ইন্দ্র রাতে বলেছিল বাবার শিবপুজোয় খুব আগ্রহ। ছোট থেকেই সে দেখছে ঠাকুমা, মা সারাদিন উপোস করতেন। সারারাত জেগে চলত তাঁদের শিবের মাথায় জল ঢালা।
টিনার মা শিবরাত্রি করতেন না। পুজোআচ্চার চল বেশি ছিল না তার বাপের বাড়িতে। ব্যারিস্টার-কন্যা মা পার্টি, ক্লাব কালচারে মেতে থাকতেন। টিনার বাবা-মায়েরা ছিলেন বন্ধুর মতো। বেড়ানো, সিনেমা দেখা, আড্ডা, গানের জলসা... ব্যস্ত জীবনে ধর্ম নিয়ে মাতামাতি ছিল না। টিনা বলেও মাকে দিয়ে বাড়িতে সরস্বতী পুজো করাতে পারেনি। এবার প্রথম শ্বশুরবাড়িতে সে সরস্বতী পুজোতে খুব হইচই করেছে। শিবরাত্রিটাও মনে হচ্ছে তার বেশ জমে যাবে। খুশি খুশি মুখে সে ড্রইংরুমে এসে পড়ে। দেখে সদর দরজা খুলে ইন্দ্রও ততক্ষণে ঘরে ঢুকে পড়েছে।
‘এই তো ইন্দ্র এসে পড়েছে। আমি বাজারে যাচ্ছি। জলখাবারে কচুরি খাবি না শিঙাড়া?’ তুমুল উৎসাহে প্রায় নাচতে নাচতে এগন কার্তিকবাবু। সঙ্গে সঙ্গে অপরাধীগলায় মায়া বলে ওঠেন, ‘দরকার কী? আমি লুচি করে দেবখন... শুধু শুধু দোকানের ভাজাভুজি—’
ধমকে ওঠেন কার্তিকবাবু, ‘এই যে বললে রাতে গ্যাসের ব্যথা করছিল? এখন থাক, দুপুরে রান্না কর। সকালে দু’জনের জন্য ক’খানা কচুরি আর ছোলার ডালই বরং নিয়ে আসি?’
আদৌ স্ত্রীর শরীররক্ষার জন্য করুণায় বিগলিত হলেন, না শিঙাড়া-কচুরির জন্য লালায়িত হয়ে স্ত্রীকে অব্যাহতি দিলেন কার্তিকবাবু— বোঝা গেল না যদিও। ইন্দ্র কচুরি আর শিঙাড়ার দ্বৈরথে কচুরির জয়লাভে খুশি হয়ে উঠলেও টিনা আকাশ থেকে পড়ে। ‘সে আবার কী? দু’জনের জন্য মানে?’
কার্তিকবাবু সমঝদার ভঙ্গিতে বলেন, ‘তোমার আর মায়ার তো আজ উপোস বউমা। দুপুরে বরং খিচুড়ি করে ফেললেই বাপবেটায় আমরা চালিয়ে নেব। কী বলিস ইন্দ্র?’
টিনা যেন বজ্রাহত। এত অবাক হয় যে, খানিকক্ষণ বোকার মতো চেয়ে থাকে। কার্তিকবাবু আয়েস করে খাওয়ার প্ল্যান কষছেন আর তারা দু’টি স্ত্রীলোক না খেয়ে কি না ওদেরই মঙ্গলকামনায় সারাদিনটা কাটাবে? আবার মায়ার গ্যাসের ব্যথাও পতির পুণ্যকামনায় উপবাসে যে বেড়ে যাবে, সেইটুকু খেয়ালও বোধকরি কার্তিকবাবুর নেই। টিনার মনে পড়ে যায় সরস্বতীপুজোর দিন কার্তিকবাবুকে খালি পেটে প্রেশারের ওষুধ খেতে দেবেন না বলে দইচিঁড়ে মেখে খাইয়ে দিয়েছিলেন মায়া। আচ্ছা, মায়া কী করেছিলেন? তিনিও তো প্রেশারের ওষুধ খান। আজও কি খালিপেটেই ওষুধ খাবেন মায়া?
টিনা ইন্দ্রের দিকে তাকায়। কী যেন ভেবে নিয়ে ফুলঝুরির মতো উস্কে ওঠে ‘আরে! বাবা, দু’জনের জন্য কেন আনবেন? ইন্দ্র তো আজ খাবেই না—’
সকলেই তাকায় ইন্দ্রের দিকে। ইন্দ্র তাকায় টিনার দিকে। টিনার চোখের তারায় গোপন বাণী থরথর কাঁপছে। সেই বক্তব্য বোঝে না বটে ইন্দ্র, তবে প্রতিবাদও করে ওঠে না। দু’জনের মধ্যে বোঝাবুঝির খেলাটা নিঃশব্দে পা বাড়ায়। কার্তিকবাবু এখন থমকে গিয়েছেন। বড্ড অবাক হয়েছেন। ‘ইন্দ্র খাবে না? কেন খাবে না?’
‘আরে, কাল রাতেই তো কথা হল আমাদের। ইন্দ্র বলল, তুমি আমার জন্য পুজো করবে... জন্ম জন্ম শিবের মতো বর পাবে আর আমি বুঝি পার্বতীকে পাবার জন্য পুজো করব না? বলনি তুমি ইন্দ্র?’
লে হালুয়া! ইন্দ্র তার এই ঊর্বশীটির ছলাকলার মাথামুণ্ডু কিছুই তো বুঝে উঠতে পারছে না। সে আবার কখন পার্বতীকে নিয়ে টানাটানি করল? আচ্ছা ত্যাঁদোড় মেয়ে তো! মাথায় কী দুষ্টুবুদ্ধি খেলছে কে জানে!
‘বাবা, ইন্দ্র ঠিকই বলেছে কিন্তু, এখন তো সংসারে স্বামী-স্ত্রী সমান সমান। আমাদের দায়িত্ব সমান সমান। পুজোর অধিকার সমান সমান হবে না?’
টিনার সরল বিশ্লেষণ বড়ই জটিল হয়ে দেখা দেয় কার্তিকবাবুর কাছে। ‘এমন কথা তো বাপের জন্মে শুনিনি মায়া। আমার বাবা কোনও দিন শিবের ব্রত করেছে নাকি?’
ইন্দ্র এতক্ষণে খেলাটা দিব্যি ধরে ফেলেছে। মায়ের ক্লিষ্ট চোখ দুটোতে হাসি ঝিকিয়ে উঠতে দেখে সে ধুপ করে সোফায় বসে পড়ে। স্নিকার্স খোলার ছলে মুখ নামিয়ে নিজের হাসি লুকিয়ে ফেলে। বলে ওঠে, ‘বাপের জন্ম না দেখলে যে ছেলের জন্মেও দেখা যাবে না, এমনটা কে বলেছে বাবা?’
ছেলে আর বউমার কাণ্ডকারখানায় মায়া এবার ভয় পান। মানুষটা না খেপে ওঠে। ছেলের সাহসও তাকে তাক লাগিয়ে দেয়। এই ছেলে যেন তাঁর অচেনা। এমনকী, এই কার্তিকবাবুও তাঁর কাছে অচেনা হয়ে উঠছেন। আগের মতো কই কার্তিকবাবু তো এখনও কামানের মতো গর্জে উঠলেন না? বউমাকে কার্তিকবাবু কি ভয় পান? মায়াকে কত বকাঝকা করতেন আগে, টিনা সংসারে আসার পর একটু সমঝেই চলেন যেন! মায়া ভয় পেত বলেই কি তার উপর সবাই জোর খাটাত এত কাল? একরত্তি মেয়ে টিনার কী সাঙ্ঘাতিক বুকের পাটা! ভাবনারা আচ্ছন্ন করে মায়াকে। অবাক করে। ভালোও লাগে...
কার্তিকবাবু বাজারের থলেটা সেন্টার টেবিলে রাখেন। হাত-পা ছেড়ে নিজেও সোফায় বসেন ইন্দ্রের মুখোমুখি।
‘সত্যিই খাবি না? সারাদিন উপোস করে থাকতে পারবি?’
‘মেয়েরা যদি পারে আমরা কেন পারব না? আলবৎ পারব। আমি একটা কথা বলি, আমি আর টিনা তো উপোস করছি। মা, তুমি আর পুরো উপোস করো না। ফল মিষ্টি খেয়ে নিও। না হলে গ্যাসের ব্যথাটা বাড়বে—’
টিনা সঙ্গে সঙ্গে ঝামড়ে ওঠে, ‘পাগল! মা উপোসই করবেন না এবার। বাবা তো করছেন মায়ের হয়ে...’
‘আমি?’ আঁতকে ওঠেন কার্তিকবাবু। প্রায় চেয়ার থেকে উল্টেই পড়েন আর কি! এরা বলে কী? পৃথিবীর কায়দাকানুন সব উল্টেপাল্টে লণ্ডভণ্ড করে দেবে নাকি? স্ত্রী লালপাড় শাড়িতে ঘোমটা টেনে, বিশাল সিঁদুরের টিপ পরে সারা জীবন তাঁর জন্য দীর্ঘায়ু কামনা করে এসেছেন। আর আজ তিনি স্ত্রীর হয়ে শিবের মাথায় জল ঢালবেন! ঢেলে কী প্রার্থনা করবেন? এটা কি আদৌ পুরুষের কম্ম হবে? নাহ! এই প্রজন্মের কোনও কাণ্ডজ্ঞানই নেই। তাঁর ছেলেটাও কেমন উল্টোপথে হাঁটা মারল। অসহায় বোধ করেন কার্তিকবাবু। ওপক্ষে তিনজন আর তিনি একা। অসম লড়াই। পেরে উঠবেন কি ওদের সঙ্গে?
টিনা এখন খোলাখুলি হাসল। ‘মা, বাবাকে বলে দাও... শিবের কাছে কী চাও তুমি?’ কার্তিকবাবু গরগরে রাগ চেপেচুপে তালে তাল মেলাতে বলেন, ‘যা দেখছি, এখন তো মায়ের জন্য তোমরাই আছ। আমি মরে গেলেও বা কী? আজকাল বিধবারাও আবার বিয়ে করে, রঙিন শাড়ি পরে, আমিষও খায়।’
এতক্ষণে মায়া স্থিরচোখে স্বামীকে দেখেন। অকম্পিত গলায় বলেন, ‘আমার হয়ে তোমরা শিবঠাকুরকে বল, পরের জন্মে ভালো করে লেখাপড়া শিখে আমি যেন স্বাবলম্বী, স্বয়ংসম্পূর্ণ হই। কোনও পুরুষের সাহায্য ছাড়াই যেন মানুষের মতো জীবন কাটাই।’
কার্তিকবাবু মাথা নিচু করে মনে মনে বলেন, ‘নাটুকেপনা!’ অবশ্য মুখে বলার সাহস দেখালেন না।
অঙ্কন : সুব্রত মাজী