শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে। ... বিশদ
জমিদার রামতারণ রায় এখানে এস্টেট চালাতেন। এক হাজারেরও বেশি জমি ও পুষ্করিণী ছিল তাঁর নামে। সেই সময়ে গ্রামে আর কোনও পুজো হতো না। তাই প্রজাদের আনন্দ বর্ধনের উদ্দেশ্যে ১৫ দিন আগেই কৃষ্ণনবমী তিথিতে বোধন করে পুজোর সূচনা হতো। তখন ছিল মাটির মন্দির। পরে সেই মন্দির পাকা হয়। কৃষ্ণনবমীতে জমিদার বংশের লীলা পুকুরে ঘট ভরে পুজো শুরু হয়। প্রাচীন রীতি মেনে ঘট ভরার আগে পুকুরপাড়ে লালপাড় শাড়ি পরা এক সধবা মহিলাকে কাঁখে কলসি নিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। গ্রামের মহিলারা আগে আগে জলের ধারা দিয়ে ওই সধবা মহিলাকে মণ্ডপে নিয়ে যান। সেখানে ভট্টাচার্য পরিবারের মহিলারা ওই সধবাকে বরণ করে নেন। সেই কলসি প্রতিষ্ঠা করে তৃতীয়া পর্যন্ত ঘটপুজো হয়। চলে চণ্ডীপাঠ। এদিন একটি ছাগ বলি দেওয়া হয়। মহালয়ার দিন দেবীমূর্তির চক্ষুদানের পর চতুর্থীর দিন থেকে দশমী পর্যন্ত পুজো হয়। সপ্তমী থেকে নবমী অবধি চলে ছাগবলি। সেই সঙ্গে চারদিন ধরে চণ্ডীপাঠ। গ্রামের মহিলারা উপবাসে থাকেন। নবমীর বলিদানের রক্তমাখা খড়্গ নিয়ে গোটা গ্রাম প্রদক্ষিণ করা হয়। খড়্গ দেখেই উপবাস ভাঙেন মহিলারা। শরৎ পণ্ডিতের বাড়ি মুর্শিদাবাদের দফরপুর গ্রামে। ১৮৮১ খ্রিস্টাব্দের ২৭ এপ্রিল মামার বাড়িতেই জন্মগ্রহণ করেন তিনি। শৈশবেই পিতৃমাতৃ হারা হওয়ার ফলে মামার বাড়ির প্রতি তাঁর ছিল প্রচণ্ড টান। প্রতিবছর পুজোর সময়ে তাঁর ঠিকানা হয়ে উঠত মামাবাড়ি। ভট্টাচার্য পরিবারের বর্তমান বংশধর অরিন্দম ভট্টাচার্য বলেন, রায় পরিবারের পঞ্চম পুরুষ ক্ষীরোদ রায়ের চার মেয়ে। তার মধ্যে মেজ মেয়ে সুধারানি রায়কে তিনি পুজোর দায়িত্ব দিয়ে যান। পরে সুধারানি দেবীর সঙ্গে বিশ্বনাথ ভট্টাচার্যের বিয়ে হওয়ায় এই পুজো ভট্টাচার্য পরিবারের পুজো হিসেবে পরিচিত হয়েছে। আজও দাদাঠাকুরের ঈশান প্রেস প্রাচীন তিনতলা মাটির বাড়িতে সংরক্ষিত আছে। যদিও তা ধ্বংসের দিকে। অরিন্দম বলেন, বাপ-ঠাকুরদার থেকে শোনা, একটা সময় পুজোয় প্রচুর ধুমধাম হতো। অর্থাভাবে এখন পুজোর জৌলুস হারিয়েছে। সরকারি অনুদান পেলে হয়তো দাদাঠাকুরের স্মৃতি বিজরিত এই পুজো পুরনো জৌলুস ফিরে পাবে। - নিজস্ব চিত্র