শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে। ... বিশদ
এই পুজো এবার ৩১৭ বছরে পদার্পণ করল। দেবীর অভিমানের কারণে মাঝে ৩০ বছর এখানে বন্ধ ছিল পুজো। পরিবার সূত্রে খবর, জন্মাষ্টমীর দিন প্রতিষ্ঠিত পুকুরের নীচে থেকে এক ডুবে মাটি তোলা হয়। সেই মাটি দিয়েই গড়া হয় প্রতিমা। দশমীর দিন ওই পুকুরেই বিসর্জন হয় প্রতিমা। পরিবার সূত্রে খবর, আগে দামোদরে প্রতিমা নিরঞ্জন করা হতো। এখন সেই লোকবল নেই, তাই বাড়ির পাশের পুকুরেই নিরঞ্জনের ব্যবস্থা করা হয়। পুজোর দিনগুলিতে অন্ন, ভাজা, পাঁচ রকমের তরকারি ছাড়াও খিচুড়ি ও লুচি ভোগ দেওয়া হয় মাকে। আগে বলিদান হতো, তবে এখন সেসব বন্ধ। সন্ধিপুজোর বিশেষ মুহূর্তে সিঁদুর দান প্রথা এখনও চালু আছে।
মুখোপাধ্যায় বাড়ির পুজোর ইতিহাস বলতে গিয়ে পরিবারের সদস্য অনিমেষ মুখোপাধ্যায় বলেন, প্রতিমা বির্সজনের পর সেই কাঠামো তুলে রাখা হয়। পরের বছর সেই কাঠামোর উপরই প্রতিমা গড়া হয়। বাড়ির মহিলারা এই চারদিন পুজোর কাজে এতটাই ব্যস্ত থাকেন যে, তাঁরা সাজগোজ, গয়না পরার মতো অবস্থায় থাকেন না। অতীতে দামোদরে বিসর্জনের সময় সেই আক্ষেপের কথা মায়ের কানে কানে বলেছিলেন গিন্নিরা। তাতে অভিমান হয়েছিল মায়ের। তাই শেষমেশ ওই কাঠামো পাশের গ্রাম বিনোদবাটীর মুখোপাধ্যায় পরিবারের কাছে চলে যায়। মা ওই পরিবারের সদস্যদের স্বপ্নাদেশ দিয়ে পুজো শুরু করতে বলেন। পরিবারের আরেক সদস্য শুভঙ্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, তারপর প্রায় ৩০ বছর আমাদের বাড়িতে পুজো বন্ধ ছিল। পরে পূর্বপুরুষরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে ফের বাড়িতে পুজো শুরু করেন। সেই প্রতিমা গড়ার জন্য বিনোদবাটীর ওই কাঠামো থেকে একটু খড় নিয়ে এসে নতুন করে মূর্তি তৈরি করা হয়। তবে বাড়িতে পুজো শুরু হলেও প্রথম দিকে পরিবারে একাধিক বিপর্যয় নেমে এসেছিল। সব বিপদ কাটিয়ে আমরা মায়ের পুজো শুরু করেছিলাম। শুধু তাই নয়, মায়ের কৃপায় আজ আমরা সবাই প্রতিষ্ঠিত।