আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সমাগমে আনন্দ বৃদ্ধি। চারুকলা শিল্পে উপার্জনের শুভ সূচনা। উচ্চশিক্ষায় সুযোগ। কর্মক্ষেত্রে অযথা হয়রানি। ... বিশদ
পয়লা বৈশাখ বাঙালির কাছে একটা অন্যরকম দিন। এমনিতেই প্রতি বছর এই দিনটিতে দীঘায় পর্যটকদের ভালোই ভিড় হয়। এছাড়া ভ্যাপসা গরমের হাত থেকে বাঁচতে একটু গা ভিজিয়ে নেওয়া আর খোলা হাওয়ায় ঘুরে বেড়ানোর টানেই ভ্রমণপ্রিয় বাঙালি দীঘায় ছুটে আসেন। শুধু তাই নয়, পর্যটকদের অনেকেই দীঘা সংলগ্ন চন্দনেশ্বর মন্দির সহ স্থানীয় মন্দিরগুলিতে পুজো দেন। দীঘা সহ আশপাশের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দিনটি একটু অন্যরকমভাবে কাটাতেই পছন্দ করেন বেশিরভাগ মানুষ। দীঘার পাশাপাশি মন্দারমণি, তাজপুর, শঙ্করপুরেও একইভাবে ভিড় থাকে।
প্রসঙ্গত, বেশকিছু জায়গায় ভোটও শেষ হয়ে গিয়েছে। মানুষ এই ফুরসতে যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচতে চাইছেন। গত এক বছরে তাঁদের বেশিরভাগ সময়টাই গৃহবন্দি অবস্থায় কেটেছে। তাই গরমের সময় তাঁরা কাছেপিঠে বেড়ানোর জায়গা হিসেবে দীঘাকেই বেছে নিচ্ছেন। করোনা সংক্রান্ত সমস্ত রকমের সতর্কতা অবলম্বন করেই তাঁরা বেড়াতে আসতে চাইছেন। তাছাড়া যেহেতু করোনার টিকা এসে গিয়েছে, তাই মানুষ কিছুটা হলেও বল পেয়েছেন। আর এতেই আশার আলো দেখছেন দীঘার হোটেল-লজ ব্যবসায়ী ও দোকানদাররা।
এদিকে, আজ দীঘার বিভিন্ন হোটেল-লজ বিশেষ খাওয়াদাওয়ার প্যাকেজের আয়োজন করে। ওল্ড দীঘার একটি বেসরকারি হোটেলের মালিক সাধনচন্দ্র দে বলেন, পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে আমাদের হোটেলে প্রতি বছর সব ধরনের বাঙালি খানাপিনার আয়োজন থাকে। অর্ডার দিলে ব্যবস্থা করা হয়। তবে এবার যেহেতু পরিস্থিতি অন্যরকম, তাই সেই অর্থে বিশেষ কোনও প্যাকেজের আয়োজন করা হবে না।
দীঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলেন, প্রতি বছর পয়লা বৈশাখে দীঘায় ভালোই ভিড় হয়। কিন্তু এবার একদিকে করোনার চোখরাঙানি। অন্যদিকে, ১৭ ও ২২এপ্রিল ভোট রয়েছে। তাই আজ কতটা ভিড় হবে, তা বোঝা যাচ্ছে না। তবে আশঙ্কা থাকলেও ভিড় হবে বলে আমরা আশা করছি। কারণ মানুষ আর বাড়ির চার দেওয়ালের মধ্যে বন্দি থাকতে চাইছেন না।
দীঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন সংস্থার মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক মানসকুমার মণ্ডল বলেন, করোনার প্রাথমিক বিধিনিষেধ আগে যা ছিল, এখনও তাই আছে। আগত পর্যটকদের অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। কোথাও জমায়েত করা যাবে না। পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।