আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সমাগমে আনন্দ বৃদ্ধি। চারুকলা শিল্পে উপার্জনের শুভ সূচনা। উচ্চশিক্ষায় সুযোগ। কর্মক্ষেত্রে অযথা হয়রানি। ... বিশদ
পাশাপাশি আগামী ২৯ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার বীরভূমের ১১টি বিধানসভার ভোট। তার আগে নানা দলের প্রচার, জনসভা অথবা মিছিলে যে পরিমাণ ভিড় হচ্ছে, তা নিয়েও চিন্তায় বাড়ছে প্রশাসনের। বোঝার উপর শাকের আঁটির মতো এরই মধ্যে চৈত্র সেলে মানুষের ভিড়ে করোনার সংক্রমণের আশঙ্কা আরও অনেকটাই যে বাড়িয়ে দিচ্ছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সিউড়ি শহরে বাসস্ট্যান্ডের নন্দগোপাল মোড় থেকে মাদ্রাসা রোড, সিউড়ি মসজিদ মোড়, টিন বাজার, রবীন্দ্রপল্লি এলাকায় ফুটপাতজুড়ে অস্থায়ীভাবে বসেছে জামা, কাপড়, জুতো সহ নানা সামগ্রীর দোকান। সেই সঙ্গে রয়েছে শহরের অন্যান্য জামা কাপড়ের দোকান ও বড় বড় শপিং মল। মলগুলিতে ঢোকার সময় করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্রেতাদের মাস্ক পরতে বাধ্য করা হলেও অন্যত্র মাস্ক ছাড়া অবাধেই ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা।
জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই বীরভূমের দু’টি স্বাস্থ্যজেলা মিলিয়ে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ চলতি মাসে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এই দুই স্বাস্থ্যজেলায় বর্তমানে দৈনিক সংক্রমণের হার দু’শোরও বেশি। ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্যদপ্তর করোনা নিয়ন্ত্রণে নমুনা পরীক্ষা ও ভ্যাকসিন দেওয়ার পরিমাণ অনেকটাই বৃদ্ধি করেছে। কিন্তু তারপরেও শুধুমাত্র মানুষের সচেতনতার অভাবে ভিড়ের কারণে করোনা সংক্রমণ রোখা যাচ্ছে না। চিকিৎসক মহলের মতে, যদি অবিলম্বে এই ভিড় বন্ধ না করা যায় তাহলে বীরভূমে করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ আকার নিতে পারে। সেক্ষেত্রে জেলায় যে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো আছে, তাতে প্রত্যেক আক্রান্তকে নূন্যতম চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়াও দুষ্কর হয়ে পড়বে।
বীরভূম জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক হিমাদ্রি আড়ি জানিয়েছেন, আমরা করোনার সংক্রমণ যথাসম্ভব নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছি। এজন্য দৈনিক নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি ভ্যাকসিন দেওয়ার হারও বেড়েছে। শেষ দু’দিনে করোনা সংক্রমণ কিছুটা নিম্নমুখী। কিন্তু সাধারণ মানুষ যদি এখনও সচেতন না হন অথবা তাঁরা যদি ভিড় এড়িয়ে না চলেন, তাহলে সংক্রমণ ভয়াবহ আকার নেবে। প্রত্যেকের আগের মতো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা খুব জরুরি।
এরই মধ্যে শিয়রে ভোট। ফলে রাজনৈতিক দলগুলি লাগাতার প্রচার চালাচ্ছে। কোনও স্বাস্থ্যবিধি ছাড়াই চলছে জমায়েত অথবা মিছিল। সিউড়ির তৃণমূল প্রার্থী বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, নতুন করে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়াটা সত্যিই চিন্তার। ভোট প্রচারে পথে নামতেই হচ্ছে। আমরা যতটা কম কর্মী-সমর্থক নিয়ে প্রচার চালানোর সম্ভব চেষ্টা করছি।
একই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা কালোসোনা মণ্ডল বলেন, করোনা একটা মরণব্যাধি। এজন্য রাজনৈতিক ভেদাভেদ ভুলে মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতন করা প্রয়োজন। আমরাও প্রচারে সেটাই করার চেষ্টা করছি।